আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

দেবে গেছে খিলগাঁও ফ্লাইওভার, যান চলাচল বন্ধ, আতঙ্ক

Every emotion have a feelings. But every feelings have no emotion. রাজধানীর খিলগাঁও ফ্লাইওভার দেবে গেছে। গতকাল সকাল থেকেই শাহজাহানপুর অংশে খিলগাঁও রেলগেটের ঠিক উপরে তিনটি স্প্যান ১২ মিলিমিটার দেবে গেছে। এ নিয়ে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ ফ্লাইওভারের উপর দিয়ে যানবাহন চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ করে দিয়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টা ফ্লাইওভারের উপর দিয়ে যান চলাচল বন্ধ থাকবে।

ঘটনা তদন্তে ডিসিসির প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবু সাঈদকে সভাপতি করে বুয়েটের দুজন, সেনাবাহিনীর একজন, এলজিইডির একজন এবং এলজিইডির কনসালট্যান্ট ফার্মের একজন করে প্রতিনিধি নিয়ে ছয় সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি আজ প্রতিবেদন জমা দেবে। ফ্লাইওভার দেবে যাওয়ার খবর পেয়ে গতকাল রাত পৌনে ১০টায় ঢাকা সিটি করপোরেশন মেয়র সাদেক হোসেন খোকা, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু আলম মো. শহীদ খান, সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের প্রধান প্রকৌশলী ওয়াহিদুর রহমানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ সময় সিটি মেয়র বলেন, এটা নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। তদন্ত কমিটি রিপোর্ট দেওয়ার পর দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আজ বেলা ১১টার মধ্যে তদন্ত কমিটি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করবে এবং দুপুরের মধ্যে রিপোর্ট জমা দেবে। এরপর প্রয়োজনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলী ওয়াহিদুর রহমান বলেন, ফ্লাইওভারটি উত্তর-দক্ষিণ ও পশ্চিম কোণ থেকে আসা লুমের প্রধান সংযোগস্থল (এক্সপানশন জয়েন্ট) তিনটি স্প্যান ১২ মিলিমিটার দেবে গেছে। এটি বড় ধরনের কোনো বিপর্যয় নয়। ক্রটির কারণ সম্পর্কে তিনি বলেন, বিয়ারিং অথবা শেয়ারিং ক্রটির কারণে এটা হতে পারে।

বৃহস্পতিবার বিকালে ব্রিজের শাহজাহানপুর অংশের একটি স্প্যান সরে গেলে এলাকাবাসীর নজরে পড়ে। বিষয়টি স্থানীয় থানাকে জানানো হলে পুলিশ যানবাহন নিয়ন্ত্রণ এবং টহলের ব্যবস্থা করে। স্থানীয়রা জানান, খিলগাঁও ফ্লাইওভারের শাহজাহানপুর অংশের মাঝ বরাবর দুটি স্প্যানের মাঝখানে একটি সরু ফাটল আরও দুই মাস আগে থেকেই দেখা যায়। তবে গত তিন-চার দিন ধরে এই ফাটল বড় হতে থাকে। গতকাল সকালে ফাটলটি বড় হয় এবং দুটি স্প্যানের জোড়া অংশ বেশ কিছুটা ফাঁক হয়ে যায়।

এ অবস্থায় দুপুরে কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশ ফ্লাইওভার দিয়ে ভারী যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয়। এ নিয়ে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। রেললাইনের ঠিক উপরের এই অংশ যে কোনো সময় ভেঙে যেতে পারে বলে এলাকায় গুজব ছড়িয়ে পড়ে। ফলে ব্রিজের নিচ দিয়েও যানবাহন ও সাধারণ মানুষ সাবধানে চলাচল করছে। উল্লেখ্য, এ ফ্লাইওভারটি নির্মাণ করে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর।

৫৪৩টি পাইলের উপর আই গার্ডার প্রযুক্তি ব্যবহার করে নির্মিত এক দশমিক নয় কিলোমিটার দৈর্ঘ্য এবং ১৪ মিটার প্রস্থের এই ফ্লাইওভার নির্মাণে ব্যয় হয় ৮১ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। ২০০৫ সালের মার্চ মাসে এ ফ্লাইওভার যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়। তথ্যসূত্রঃ বাংলাদেশ প্রতিদিন,ঢাকা, শনিবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০১১  ।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।