আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ঝোপের আড়াল থেকে প্রেমেও চলবে কড়া নজরদারি

working in DPL আজ একটা মজার খবর পড়লাম দু’জনে চেয়ে দু’জনের দিকে। বাক্যহারা। তা থাকুক। চেয়েই তো আছে। এক জনের হাত এসে পড়ল আর এক জনের হাতে।

তা থাকুক না। হাতই তো। এক জনের হাত আর এক জনের কোমরে। এই খেয়েছে। দু’জনের চোখে মদির ইশারা।

এক জনের ঠোঁট আর এক জনের ঠোঁটের একেবারে কাছে। ঘন ঘন নিঃশ্বাস। বুকের ভিতর দ্রিমি দ্রিম। ঠিক তখন, তখনই ঝোপের আড়াল থেকে তীব্র আক্রোশে বেজে উঠবে হুইসল। যার অর্থ, উঁহু, অনেক হয়েছে।

এ বার থামো। এই হুইসল কৃষ্ণের উথালপাতাল মোহনবাঁশি নয়, এ বাঁশিতে ছুটে আসবে পাইক-বরকন্দাজ। প্রেমিক-প্রেমিকার কপালে জুটবে মোক্ষম শাস্তি। জরিমানা তো আছেই। এই অনাসৃষ্টি অমিত-লাবণ্যের প্রেমের তীর্থ শিলংয়ে।

সেই ‘শেষের কবিতা’তেই তো ছিল জন ডানের কবিতা, ‘দোহাই তোদের, একটুকু চুপ কর, ভালবাসিবারে দে আমায় অবসর। ’ কিন্তু ইচ্ছে মতো ভালবাসতে দেবে না খাসি ছাত্র সংগঠন এফকেজেজিপি-র স্বেচ্ছাসেবকেরা। তাদের ফতোয়া, প্রেমে বাড়াবাড়ি চলবে না। বেচাল দেখলেই হাজির হবে পাইক-বরকন্দাজ। ভুবনে নয়, প্রেমের ফাঁদ পাতা যে ঝোপঝাড়ে।

ঝোপের আড়ালেই ঘাপটি মেরে থাকবে পাহারাদাররা। কার হাত কোথায়, কার অধরে কীসের ইশারা, এ-সব তারা জুলজুল করে জরিপ করবে। ‘বেচাল’ দেখলেই বেজে উঠবে হুইসল। শিলংয়ের প্রেম-কানন মূলত দু’টি। ওয়র্ডস সরোবর আর লেডি হায়দরি উদ্যান।

নামমাত্র মূল্যে প্রবেশাধিকার। তার পর মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশে দিনভর প্রমোদ বিহার, জলবিহার, আলিঙ্গন ও চুম্বনের অবাধ ছাড়পত্র। কিন্তু খাসি ছাত্র সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক কিতবোকলাং নোংফলাং ফতোয়া দিয়েছেন, “লজ্জার মাথা খেয়ে বেলেল্লাপনা চলবে না। খান কতক ছেলে- ছোকরার জন্য গোটা সমাজ গোল্লায় যাবে, তা তো হতে দিতে পারি না। পুলিশও চোর-ডাকাত ছেড়ে কে কোথায় চুমু খেল, তা নজর রাখবে না।

অগত্যা, আমাদের স্বেচ্ছাসেবকদেরই কাজে নামতে হচ্ছে। ” এই হুঁশিয়ারির জেরে ইতিমধ্যেই ওয়র্ডস লেক আর লেডি হায়দরি উদ্যান চত্বর জুড়ে যেন ঝুলে গিয়েছে অদৃশ্য বোর্ড , যাতে লেখা ‘নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখুন’। নোংফলাং জানান, উদ্যান দু’টিতে বেড়াতে আসা পরিবার বা উদ্যানের আশপাশ দিয়ে যাওয়া পথচারীদের কাছ থেকে প্রেমিক-প্রেমিকাদের অসংযত আচরণের অসংখ্য অভিযোগ এসেছে। এই ছাত্র নেতার দাবি, ওই উদ্যানে আসা তরুণ-তরুণীদের বহুবার সতর্ক করেও লাভ হয়নি। বাধ্য হয়েই তাই প্রেমের উপর এমন পাহারাদারির ব্যবস্থা।

খাসি ছাত্র সংগঠনের মতে, সব থেকে ‘বাড়াবাড়ি’ করে স্কুলকলেজের ছাত্রছাত্রীরা। স্কুল বা কলেজের ইউনিফর্ম পরেই তারা অভব্য আচরণ করে। কাউকে সম্মান দেয় না। ছাত্রছাত্রীদের হাতেনাতে ধরলে তাই শাস্তি হবে আরও কড়া। ডাকা হবে বাড়ির লোককেও।

অভিযানে সামিল হতে আপাতত স্বেচ্ছাসেবক নির্বাচন চলছে। কিন্তু ঝোপের আড়ালে যদি পাহারাদারেরও একটু-আধটু প্রেমের ইচ্ছে জাগে, তার হুইসল যদি আচম্বিতে বোবা হয়ে যায়, তা হলে? কিছুই যে বলা যায় না। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।