আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ভেঙেছ কলসির কানা, তাই বলে কি প্রেম দিব না? ভারত যতই পানি কম দিক হাসিনা তাকে একতরফা ও মাগ্না করিডোর দিবেই

আমি চাই শক্তিশালী স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ ভারতের সাথে বাংলাদেশের অভিন্ন ও অমিমাংসিত সমস্যা ও বিভিন্ন বিষয় গুলো হচ্ছে; ১) অভিন্ন নদ-নদীর পানির ন্যায্য বন্টন, ২) স্থল ও সুমুদ্র সীমা নির্ধারণ এবং তালপট্টি দ্বীপের মালিকানা, ৩) বাংলাদেশী পণ্যের শুল্ক মূক্ত ও অবাধে ভারতে প্রবেশ, ৪) বিএসএফ এর নির্বিচারে বাংলাদেশী হত্যা ও জুলুম বন্ধ করা, ৫) নেপাল, ভুটান ও চীনকে ভারতের উপর দিয়ে ট্রানজিট প্রদান করে চট্টগ্রাম ও মংলা সুমুদ্র বন্দর ব্যাবহার করার সুবিধা, ৬) নেপাল ও ভুটানের পানি বিদ্যুৎ আমদানী করতে ভারতীয় সহযোগীতা। উপরোক্ত মূল বিষয় গুলো ছাড়াও আরো কয়েকটি ক্ষেত্র আছে যা ভারতের হাতেই সব চাবি কাঠি। শেখ মুজিব কোন রকম পর্যলোচনা না করেই ভারতকে ফারাক্কা বাধ পরীক্ষার অনুমতি, বেরুবাড়ী দান এবং ১৯৭২ সালের চুক্তি মোতাবেক নৌকরিডোর প্রদান করেন। মুজিবের এই বেওকুফীর জন্য বাংলাদেশতো কোন লাভবান হয়ই নি উল্টো সীমাহীন ক্ষতির সম্মুখীন। আজও ভারত হাসিনার কল্যাণে(১৯৯৬ সংসদকে না জানিয়ে এবং গ্যারান্টি ক্লজ বিহীন ৩০ বছরের চুক্তি) পদ্মায় শুস্ক মৌসুমে ন্যায্য পানি পাচ্ছি না।

তিন বিঘার মালিকানা পাই নি পক্ষান্তরে বর্তমানে হাসিনা বাংলাদেশের ভারতে থাকা ভুখন্ড প্রাপ্তির নিশ্চয়তা না করেই ভারতকে সীমান্তের হাজার হাজার একর জমি দেওয়ার ষড়যন্ত্র করছে। আর নৌ করিডোরে ভারত এক পয়সাও বাংলাদেশকে দিচ্ছে না। মুজিবের বোকামী ও তার কন্যা হাসিনার ভারতকে প্রেম করে একের পর এক সুবিধা দেওয়াতে দিল্লী বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদী তথা সার্বভৌমের পক্ষের ব্যাক্তি ও দলকে পাত্তাই দেয় না। জিয়া সৎ, চৌকষ ও দক্ষ বলেই ১৯৭৭ সালে জাতিসংঘে ফারাক্কা বাধের বিরুদ্ধে বক্তব্য দিয়ে ৩৪ হাজার কিউসেক গ্যারান্টি ক্লজ সহকারে পানি আনতে পেরেছিলেন ৫ বছরের জন্য। তারপর এরশাদ ও খালেদা কেউই কিছু করতে পারে নি।

কারণ ভারত পানির বিনিময়ে নৌর পাশাপাশি রেল-সড়ক এবং সুমুদ্র করিডোর চেয়েছে। আর হাসিনাও ১৯৯৬ সালে প্রথমবার ক্ষমতায় আসার অজুহাত দেখিয়ে করিডোর না দিলেও বাংলাদেশের স্বার্থ বিকিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী দেব গৌড়ার সাথে ৩০ বছর মেয়াদী পানি চুক্তি করেছে। বিগত ১৫ বছরের এর প্রতিক্রিয়া হল অর্ধ শতাধিক পদ্মার শাখা নদীর বিলুপ্তি। এরপর ২০০১-০৬ মেয়াদে চার দলীয় জোট সরকার বার বার ৩০ বছর মেয়াদী চুক্তির সংশোধন তথা গ্যারান্টি ক্লজ অন্তর্ভূক্ত করতে চাইলে ভারত আবারও করিডোর দাবী করে। তখন জোট সরকার উপরোক্ত ৬ বিষয়ের বিনিময়ে, ন্যায্য লেভীর প্রাপ্তিতে ভারতকে করিডোর দিতে চাইলে দিল্লী আর অগ্রসর হয় নি।

জোট সরকারের সাফ কথা এক হাতে ভারত দিবে এবং আরেক হাতে নিবে। আর অন্যদিকে আলীগ ও এর বুদ্ধিজীবিরা জোট সরকারকে ভেংচি কেটে ছিল "পারলে আরো বেশী পানি আনোতো!" আর এই মহাবাল জোট সরকার ক্ষমতায় এসে সুরমা-কুশিয়ারার টিপাই ও তিস্তার গজল ডোবা বাধের পানি বন্টনের চুক্তি নিয়েও সংসদে আলোচনাতো দূর এতদিন তথ্যও প্রকাশ করে নি। টিপাই বাধ বিষয়ে আজও আমরা অজ্ঞাত। আর ইদানিং তিস্তার পানি বন্টন নিয়ে যানা যাচ্ছে বাংলাদেশ নাকি শুস্ক মৌসুমে মোট পানির ২৫% পাবে; Click This Link অর্থাৎ যে মৌসুমে পানির অতি প্রয়োজন সেই মৌসুমেই পানির সংকট থাকবে। এখন আমরা শুস্ক মৌসুমে চুক্তিবিহীন অবস্থায় ২৫% এর বেশী পানি পেলেও অনেক ঘাটতি ও সেচ সমস্যা দেখা দেয়।

আর ২৫% পানি প্রাপ্তিতে চুক্তি হলে অবস্থাটা কি দাড়াবে? তার উপর বর্ষা মৌসুমে ফারক্কার পাশাপাশি গজল ডোবা বাধের সব গেট খুলে দিলে বাংলাদেশে বড় ধরণের বন্যা দেখা দিবে। দেখা যাচ্ছে শুস্ক মৌসুমে বাংলাদেশকে ভারত শুকনা করে রাখবে এবং বর্ষা মৌসুমে ডুবাবে। কিন্তু তাতে কি মুজিবের বেটী হাসিনা বাংলাদেশের মানুষকে গোজামিল দিবে যে ভারত বাংলাদেশকে বর্ষা মৌসুমে বকেয়া পানি শোধ করে দিচ্ছে এক নম্বরে ৫৪-৫৫টি অভিন্ন নদ-নদীর পানিই যেখানে বাংলাদেশের জীবন-মরণ সমস্যা সেটাকে নিয়ে ছল চাতুরী করা এবং ৫ টি বিষয়ে সুরাহা না করেই হাসিনার মহাবাল জোট ভারতকে একতরফা-বিনা লেভীতে সড়ক-রেল এবং সুমুদ্র করিডোর দিতে উঠে পড়ে লেগেছে। ২০০৫ সালে ভারতীয় ডেপুটি হাইকমিশনার সর্বজিত চক্রবর্তীর সুরেই হাসিনার উপদ্ষ্টে মসিউর, এই চটি ইমাম, রিজভী এরা পারলে ভারতকে ২৪ ঘন্টার মধ্যেই বিনা পয়সায় করিডোর সুবিধা দিয়ে দেয়। যেন বাংলাদেশ হাসিনা ও তার উপদেষ্টাদের বাপের সম্পত্তি।

বিএনপি সহ অন্যরা যখন গোপন শর্তে, সংসদ ও দেশবাসীর অনুমোদন না নিয়ে চুক্তির বিরোধীতা করে হাসিনার সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন ও পতনের ডাক দেয় তখন বাল গংরা যুদ্ধাপরাধী-রাজাকার, হাওয়া ভবন ইত্যাদি ট্যাগ লাগিয়ে নিজেদের অপকর্ম আড়াল করতে চায়। অর্থাৎ আপনি ভারত হতে পানি, বাণিজ্য সহ ন্যায্য দাবী আদায়ে সোচ্চারতো আপনি যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষে রাজাকারী করছেন। আর হাসিনা ৩০ বছর ফারাক্কা চুক্তির মতন বাংলাদেশের বারোটা বাজালেও তারা এ বিষয়ে কিছুই বলে না। হাসিনার কথা ও ভারতের উদ্দেশ্যে মতলব পরিস্কার "করেছ কলসি কানা, তাই বলে কি প্রেম দিব না?" বাংলাদেশ জাহান্নামের চৌরাস্তায় চলে যাক, হাসিনার প্রভু ভারতের যেন পূর্ণ লাভবান হয়। যায় যাক বাংলাদেশের প্রাণ, মহারাজ ভারত ভগবান!  ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১১ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।