আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হরতালকে বুড়ো আঙ্গুল দেখাচ্ছে জনগন: লেবু বেশি কচলালে তিতা হয়ে যায়’

লেবু বেশি কচলালে তিতা হয়ে যায়’, সেটি তখন খাওয়ার অযোগ্য হয়। হরতাল সর্ম্পকে এমন মন্তব্যই করলেন মহাখালী চেয়ারম্যান বাড়ি এলাকার ব্যবসায়ী রাসেল আহমেদ। শাষকগোষ্ঠীকে ঘায়েল করতে প্রতিবাদীদের অন্যতম রাজনৈতিক কর্মসূচি হরতালের অতিমাত্রায় প্রয়োগ এখন জনগনের কাছে বিরক্তির উদ্রেক হয়ে উঠেছে। তাই হরতালকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে নিজেদের ষোলো আনা উসুল করতে কর্মসংস্থানে ছুটেছে মানুষ। সরকারি দলের থেকে অধিকার আদায়ের একটি অস্ত্র হরতাল।

কিন্তু গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের পর গত ২৩ বছরে বিরোধীদলগুলোর হরতালের মিছিল এখন মূল্যহীনের পর্যায়ে নেমেছে। হরতালকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে পেট বাঁচাতে নেমে পড়েছে মানুষ। জামায়াত শিবিরের টানা চতুর্থ দিনের হরতালের রাজনৈতিক দর্শন বিশ্লেষন করছে না জনতা। তবে কোন ব্যাক্তিকে কেন্দ্র করে ডাকা হরতালে নিজেদের জীবন স্থবির করে রাখার পক্ষে নয় নগরবাসী। একসময় হরতালে শুধু রাস্তায় রিক্সা চলতে দেখা গেলেও সম্প্রতি হরতালগুলোতে মানুষ নিজের ব্যাক্তিগত গাড়িটিও বের করছে।

হরতাল আহ্বানকারীদের উপেক্ষা করে রাজপথে ছুটছে গাড়ি। গত তিনদিনের হরতালের মতো যুদ্ধাপরাধী মুজাহিদ এর ফাঁসির রায়ের প্রতিবাদে জামায়াতের ডাকা বৃহস্পতিবারের হরতালেও সাড়া দেয়নি জনগণ। স্বাভাবিক কর্মদিবসের মতোই নগরীর ব্যস্ত এলাকাগুলোয় দেখা যাচ্ছে সেই চিরচেনা যানজট। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, বেলা ১২টার মধ্যেই গাড়ির চাপে যানজটের কবলে পড়ছেন নগরবাসী। মাত্র দু’মাস আগেও বিভিন্ন ইস্যুতে হরতাল ডেকে ১৮ দলীয় জোটের অন্যতম শরিক জামায়াতে ইসলাম ও তাদের অঙ্গসংগঠন শিবির জনমনে আতঙ্ক তৈরি করতো।

তবে এবার হরতাল ডেকে বিএনপি’র মতোই ঘরে বসে থাকার সাহস দেখাচ্ছে জামায়াত। হরতালে জনগণের ক্ষোভ রাজনৈতিক দলগুলোকে বাধ্য করছে ঘরে বসিয়ে রাখতে। ঘর ছেড়ে বেরিয়ে আসছে জনগণ। হরতালের আগের সন্ধ্যায় বুধবার নগরীর কিছু এলাকায় গাড়ি পুড়িয়ে জনমনে আতঙ্ক তৈরির চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে শিবিরের। বৃহস্পতিবারে চতুর্থদিনের হরতালেও ফ্লপ শিবির।

সরকারি দলের হরতাল বিরোধী কার্যক্রম বা পুলিশি এ্যাকশন নয়, জনগণের প্রত্যাখানই ব্যর্থ করে দিয়েছে শিবিরকে। বৃহস্পতিবারে নগরীর রাস্তাঘাটে প্রচুর গাড়ি নেমেছে, উল্লেখযোগ্য পরিমাণে রয়েছে প্রাইভেট কার(ব্যাক্তিগত গাড়ি)। এরই মধ্যে ফুটপাতে বসে পড়েছে হকার। প্রধান প্রধান সড়কের আশপাশের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোও খোলা হয়েছে। গত তিনদিনের হরতালে ব্যার্থ শিবির মাঠে না থাকায় নগরীর কোথাও তেমন কোনো নিরাপত্তা নেই।

বনানী, মহাখালী, সাতরাস্তা, কারওয়ান বাজারেও দেখা যায় বেশ যানজট। হরতালে এখানে কখনও সিগন্যাল পড়তে দেখা যেত না, কিন্তু এখন জট সামলাতে বেশ হিমশিম খেতে হচ্ছে ট্রাফিকদের। সোয়া ১০টার দিকে বাংলামোটর সিগন্যালেও আটকে থাকতে দেখা যায় অসংখ্য গাড়ি। অন্য হারতালে বাস ফাঁকা থাকলেও বৃহস্পতিবার বেশ ভিড় দেখা যায়। অন্যদিনের মতোই বাস থামলেই যাত্রীদের ঠেলাঠেলি করে উঠার চেষ্টা করছেন।

মৎস ভবন থেকে পল্টন মোড় পর্যন্ত রাস্তা ট্রাফিক সিগন্যাল ছাড়া পেরোনো সম্ভব হচ্ছে না। এদিকে এলিফ্যান্ট রোড মার্কেট, নিউমার্কেট, ইস্টার্ন প্লাজা, আজিজ সুপার মার্কেট, মোতালিব প্লাজাও খুলে গেছে। ব্যাবসায়ীরা পুরো বছরের ব্যাবসা করেন এ মাসে। শিবিরের হরতালে নিজেদের ব্যক্তিগত কাজ স্থবির করতে রাজি নন তারা। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.