নেশার লাটিম ঝিম ধরেছে চোখের তারায় রঙ জমেছে এখন কোন দুঃখ নেই নেই কোন ভাবনা এমনি করেই দিন যদি যায়, যাকনা. পানি ও ফরমালডিহাইডের মিশ্রনের তৈরী হয় ফরমালিন। মানুষের শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী এই দ্রবনটির বিরুদ্ধে দেশ জুড়ে অপপ্রচারে মেতেছে এক বিশেষ মহল, না বুঝেই তাতে ঘি ঢালছে মিডিয়াগুলো। ফরমালিন শরীরের কোষগুলোকে বুড়িয়ে যাওয়া থেকে রক্ষা করে। মৃত দেহ ফরমালিনে ডুবিয়ে রেখে শত শত বছর অবিকৃত রাখা যায়। সজীব দেহ কোষগুলোও ফরমালিনের সাহায্যে দীর্ঘদিন বাচিয়ে রাখা যায়।

ফলমুল, শাক-সব্জীসহ যেকোন খাবার দীর্ঘদিন ভালো রাখতে সক্ষম এই ফরমালিন। বহু প্রাচীন কাল থেকে খাদ্যদ্রব্য সংরক্ষনে ফরমালিন ব্যবহার করা হচ্ছে। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে এক বিশেষ গোষ্ঠী এই ফরমালিন এর বিরুদ্ধে অপ্প্রচারে নেমেছে। এদের মূল লক্ষ্য ফরমালিন শিল্পকে ধংস করা। ফরমালিনে শিল্পের সাথে জড়িত ও ফরমালিন ব্যবহারকারী প্রায় দুইকোটি মানুষের রুটি-রুজি বন্ধ করার এক আনর্জাতিক ষড়যন্ত্র।

কারন ফরমালিন ব্যবহারের ফলে রেফ্রিজারেটর এর ব্যবহার অপ্রয়োজনী হয়ে পড়ছে। অথচ ফ্রীজে ব্যবহার করা হয় বিষাক্ত ফ্রেয়ন গ্যাস। রেফ্রিজারেটরের ব্যবসা টিকিয়ে রাখার জন্য বিশ্বজুড়ে ফরমালিনের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচারে নেমেছে কর্পোরেট বেনিয়া গোষ্ঠী। গবেষনায় দেখা গেছে নিয়মিত ফরমালিন গ্রহনে আয়ু বাড়ে। ১৭ শতাব্দীতে মধ্যপ্রাচ্যে ২০৬ বছর বয়স্ক আব আব্দেল্লাহ মারা যাবার পূর্বে তার ডাইরীতে তার দীর্ঘায়ু হবার গোপন রহস্য লিখে যান।

সেখানে ফেরমাহ নামক এক শরবতের নাম পাওয়া যায়। ধারনা করা হয় এটিই ফরমালিন। জাপানের মানুষজন নিয়মিত ফরমালিন গ্রহন করে তাদের গড় আয়ু প্রায়৯০ এর কাছাকাছি নিয়ে গেছে। তাই আমাদের উচিত নিয়মিত ফরমালিন গ্রহন করা। ।