আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

খোড় পাবলিকের ধরা খাওয়া!!

আসেন দুর্নীতি করি। আর এই দুনিয়াটাকেই খুচাই! : মামা, ঈদ মোবারক! : অখনো ৭ মিনিট বাকি। তোরে না কইছি রাইত বিরাইতে ফোন দিবি না, আবার ফোন দিছস কেন? : দুস্ত চেতো কেন? ঈদে কি করুম বুঝতাছি না। কালকা কারোই ফ্রি পাইলাম না। পড়া লেখা শেষ, কাম কাইজেও ছুটি।

কালকা ঈদ কি করুম বুঝতাছি না! : এই লিগা তুই আমার ঘুমের পরোটা ভাইজা নীহারী বানাইয়া খাবি! দেশে গিয়া বিয়া কর! : দুস্ত দেশের নাম কইবা না। দেশে সব দুই নম্বর! : তুই লন্ডনে বইসা দেশের র‌্যাংকিং কেমনে শুরু করলি? : তাইলে মামা কাহিনী শুনো। এফবিতে একখানের সাথে পরিচিত হইলো। কিছু দিন কথা হইলো, ভিডিও চ্যাট হইলো....দুস্ত আছো না ঘুমাই গেছো? ফুনটাতো আমিই করছি, বিল নিয়া টেনশন করো কেন? : আব্বে ক্যাচাল বন্ধ কইরা প্যাচালে আয়! : ওকে! পরে আমি আমার বন্ধু বান্ধবগো নক করলাম। ওরা আবার ওরে ভালো চিনে।

তো ওর ব্যাপারে আমি কিছু জিগাই নাই, মাগার এফবিতে ইদানিং ঘুরাঘুরি দেইখা আমারে জিগায় তার ব্যাপারে। আমি তো লজ্জায় কই না! তখন শুরু করলো ওর কাহিনী! ওর আগে একখান বিয়া হইছিলো পরে ডিভোর্স হইয়া যায়! এইটার খবর আমি নিজেও জানতাম। পরে একখান পোলা, ঐ পোলারে আমি চিনতাম তার লগে শুরু করে প্রেম। মাঝখানে আরেক পোলা যে কিনা ওর ভার্সিটিতে পড়তো তার লগেও প্রেম শুরু হইলো। তখন আগের পোলারে পাত্তাই দেয় না।

কিন্তু যখন নেক্সট পোলা ওরে প্রেসার দেয় তখন ওরে বাদ দিয়া ঐ আগের পোলার কাছে চইলা যায়। তখন ঐ পোলা জানায় দেয় মা বাপের সম্মতি ছাড়া বিয়া করন সম্ভব না! : ওরে শয়তান, ঘাড়ে উইঠা ধরলি কান, কুন পোলা কার পোলা মিলাইতে গিয়া আমার মাথা ঘুরে! নাম নাই? : নাম আছে মাগার কওন যাইবো না, তুই সব কয়টারে চিনবি! তুই তো আবার রাডার, দেখা গেলো মাইয়ার ঠাই ঠিকানা লইয়া নিজেই লটর পটর শুরু করছোস! তুই তো খোড়ে এ আজিম! : দেখ মদনা, লন্ডনে আইসা ডান্ডা মাইরা ঠান্ডা করুম। প্যাচাল শুরু কর দুরত! : তারপর আগের পোলার সাথে সম্পর্ক কাট হইয়া গেলো পরের পোলাটা হইয়া গেলো শুধু ফ্রেন্ড। এর মাঝখানে আরেক খান বাইরের পোলার লগে লটর পটর শুরু করছে। পরে জানলাম ঐ পোলারে বাদ দিয়া তোর আশেপাশের কুন দেশের এক পোলার লগে ভাব জমাইছে।

নাম বাইর করতে পারি নাই। পরে আরও যেইটা জানতে পারলাম ওর এফবি ঘাইটা যে আরেকখান নোয়াপাড়ার পোলা আরেকখান লন্ডনীরে গান শুনাইতাছে! : তুই এফবি ঘাইটা জানলি কেমনে? : আমি তাগো ডাইরেক্ট মারছিলাম, তারা ইনডাইরেক্ট হইয়া গেছে! : তো কথা শেষ হইছে? : মামা, একখান কথা কই? টাইম আছে? : বল। : দুস্ত দেশে যামু না! বিদেশেই ভালো আছি! : তুই থাক, আমি খাটে গেলাম! ফুন কাইটা মহা বিরক্তে বইসা রইলাম। সারা দিন কাজ কর্ম আর কাহিনীর পর ফুনে সবার গল্প শুননের কাম শুনতে ভালা লাগে না। এদিকে একখান এমবিএ থিসিসের কাম আটকাই আছে, রাসেল মামা আমারে খাড়া দাবড়ির উপর রাখছে! এমুন সময় রুম মেট জিগায়,"ওস্তাদ, কালকা নামাজে যাইবেন না?" : যামু তো, মাগার নামাজ কুনজায়গায় পড়ায়? : এই খান থিকা ১০ মিনিটের পথ, মসজিদ আছে একখান।

: অফকোর্স যামু! : জয়নাব গো বাড়ি পাশেই। লন যাই একটু ঘুইরা আসি? মনখান খিচা গেলো, মাইয়া মানুষের নেশা ইদানিং দেশ বিদেশ সব জায়গায়! পড়ালেখার লিগা বৈদেশ আইসা অনেক কিছু চিনা হইলো, অনেক কিছু জানা হইলো! ইদানিং নিজের বিয়া শাদী নিয়া ভাবি! দেশে গিয়া কি করুম? চাকরী একটা। আগের জায়গায় চাকরী না পাইলে অন্য কোনো সেক্টরে, একটা না একটা জায়গায় চাকরী হইবোই! আর থিসিসের সাথে সাথে এপ্লিকেশন। যদি পিএইচডি পাই, তাইলে শুকুরআলহামদুলিল্লাহ, যদি জব পাইয়া যাই আরো ভালা, যদি হেইডাও না পাই, তাইলে তো দেশ! অতীত তো সবারই আছে। কিন্তু কিছু মানুষ এডিকটেড হইয়া যায়।

আমারও এডিকশন ছিলো। কিন্তু অখন নাই! আমি খালি দেখি আর জানতে চাই! চোখ দেখলেই বুঝতে পারি তার এডিকশন আছে কি নাই! যদি এডিকশন পাই, তাইলে বাদ, আর যদি না পাই, তাহলে ভাববো একবার শুরু করি একটা সুন্দর জীবন! আর যদি ধোকা খাই, তাইলে লাইফটা অন্যরকম কইরা বানাবো, বডি বিল্ডিং, পয়সা আর আয়েসী...........এই তিনটা হবে তখন লাইফ! একটাই লাইফ, লেটস এনজয়! সবাইকে আয়েসী ঈদ মোবারক! এন্ড লাইফ রকস! ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.