আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সপ্তাহজুড়ে লেনদেনের শীর্ষে ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ

শেয়ারবাজারে ভ্রমণ ও অবকাশ খাতের তালিকাভুক্ত কোম্পানি ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ বাংলাদেশ লিমিটেডের শেয়ার লেনদেন সপ্তাহজুড়ে বেড়েছে। পুরো সপ্তাহে মোট ১ কোটি ৪৪ লাখ ১৮ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে কোম্পানিটি সাপ্তাহিক লেনদেনের শীর্ষতালিকার প্রথম স্থানে উঠে এসেছে। বি ক্যাটাগরির এই শেয়ারটি বোনাস অনুমোদন হলে এ ক্যাটাগরিতে স্থানান্তর হবে, ফলত বাজার আরো বাড়তে পারে। উল্লেখ্য, সরকারি ছুটির কারণে ১৫ আগস্ট শেয়ারবাজারে লেনদেন বন্ধ ছিল এবং এ কোম্পানির রেকর্ড ডেটের কারণে ১৮ আগস্ট শেয়ারবাজারে এ শেয়ারের কোনো লেনদেন হয়নি। বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত সপ্তাহের দুই কার্যদিবসে এ শেয়ারের লেনদেনে ছিল ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা।

তবে লেনদেনে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা থাকলেও বাজারের নিম্নমুখী প্রবণতায় সপ্তাহজুড়েই এর দর কমেছে। গত ১৭ জুলাই কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ ২০১১ সালের জন্য ১০ শতাংশ বোনাস শেয়ার দেয়ার প্রস্তাব করে। আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর সকাল ১১টায় ‘বসুন্ধরা কনভেনশন সেন্টার-২’-এ কোম্পানির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে ১৪ জুলাই পরিচালনা পর্ষদ কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদন নিয়ে আলোচনায় বসে। ২০১১ সালে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয় ১ টাকা ৪৯ পয়সা, শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) ১১ টাকা ৫৪ পয়সা, শেয়ারপ্রতি নিট নগদ প্রবাহ ১ টাকা ৭৮ পয়সা।

১৮ আগস্ট কোম্পানিটির রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়। ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ বাংলাদেশ লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ রাইট শেয়ারে প্রিমিয়াম কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর আগের কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ পরিশোধিত মূলধন বাড়ানোর জন্য রাইট শেয়ার ইস্যুর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। সম্প্রতি ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের একটি সাধারণ শেয়ারের বিপরীতে একটি রাইট শেয়ার ছাড়ার অনুমোদন দিয়েছে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি)। কিন্তু প্রতিটি রাইট শেয়ারের দর নির্ধারণ করা হয়েছে ১৫ টাকা (৫ টাকা প্রিমিয়ামসহ)।

এর মাধ্যমে কোম্পানিটি মোট ২১ কোটি শেয়ার ছেড়ে ৩১৫ কোটি টাকা সংগ্রহ করবে। প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ২০ মার্চ কোম্পানিটি ১০ টাকা প্রিমিয়ামসহ ২০ টাকা ইস্যু প্রাইজ ধরে ১:১ হারে রাইট শেয়ারের ঘোষণা দেয়। তবে নিয়ন্ত্রক সংস্থা প্রিমিয়াম ৫ টাকা কমিয়ে রাইট শেয়ারের অনুমোদন দেয়। ‘বি’ ক্যাটাগরির এই কোম্পানি ২০১০ সালে শেয়ারবাজারে আসে। বর্তমানে এর অনুমোদিত মূলধন ১ হাজার কোটি টাকা ও পরিশোধিত মূলধন ২১০ কোটি টাকা।

কোম্পানির মোট ২১ কোটি শেয়ার রয়েছে। এর প্রতিটির অভিহিত মূল্য ১০ টাকা ও মার্কেট লট ১০০টি শেয়ারে। কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে ১৩ শতাংশ উদ্যোক্তা ও পরিচালক এবং ৮৭ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।