আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

রকমারী ইফতারী

পেশাগত দায়িত্ব পালনের জন্য এবারের রমজানে নানা রকমের ইফতারী খাওয়ার সুযোগ হয়েছে। লক্ষ্মীপুরে তাহের বাহিনীর হাতে আহত হয়ে প্রথম রমজান কেটেছে ইসলামী ব্যাংক সেন্ট্রাল হাসপাতালের কেবিনে। দ্বিতীয়, তৃতীয় ও ৪র্থ রমজান কাটে বাসায়। বাসার বাইরে প্রথম ইফতারী করি হোটেল রুপসী বাংলায়। সাবেক শেরাটন হোটেলে গতবছরও একদিন ইফতার করেছিলাম।

সঠিক না জানলেও শুনেছি রুপসী বাংলার এক প্লেট ইফতার দাম নাকি ২ হাজার টাকার ওপরে। তবে মানের দিক থেকে আমার কাছে ভালো লেগেছে। এরপর গত ১৫ রমজান পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন হোটেলে ইফতার করলাম। পূর্বানী হোটেল মতিঝিল, সারিনা হোটেল বনানী, ওয়েস্টিন হোটেল গুলশান ও রেডিসন হোটেলে ইফতার করলাম। এ ছাড়া সংসদ ভবনের এলডি হলের সামনে বিশাল প‌্যান্ডেল বানিয়ে দু'দিন ইফতারের আয়োজন করে বিএনপি।

একদিন খালেদা জিয়া আমন্ত্রণ করেছিলেন পত্রিকার সম্পাদক ও সমাজের বিশিষ্ট জনদের। অন্যদিন মহানগর বিএনপি ইফতারীর আয়োজন করেন দলীয় নেতাকর্মীদের জন্য। এসব ইফতার অনুষ্ঠানের সবগুলোতেই প্রধান অতিথি হিসেবে বিরোধী দলীয় নেতা বেগম খালেদা জিয়া উপস্থিত ছিলেন। এর মধ্যে সবচেয়ে ভালো ইফতার হয়েছে বিজেপির ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ'র আয়োজনে হোটেল ওয়েস্টিন এ। প্রতি প্লেট এর মূল্য জানা নেই।

তবে ৩ হাজার টাকার কম হওয়ার কথা নয়। এরপর দ্বিতীয় স্থানে কর্নেল অলি আহমদ আয়োজিত বনানীর হোটেল সারিনার আয়োজন। রুপসী বাংলা হোটেলে জামায়াতের আয়োজন তৃতীয় আর পূর্বানী হোটেলে বিএনপির সমমনা ৮টি দলের আয়োজনের ইফতারীও ভালো হয়েছে। আমার দৃষ্টিতে দেশের সবচেয়ে দামি হোটেল রেডিসন। গতকাল ১৬ আগস্ট বিকল্প ধারা বাংলাদেশ রাজনীতিবিদ ও বিশিষ্টজনদের সম্মানে যে ইফতারের আয়োজন করে তা ছিলো সবচেয়ে খারাপ আয়োজন।

একমাত্র সরবত ছাড়া তাদের আর কোনো আইটেম খাওয়ার মতো ছিলো না। জানিনা বড় হোটেলের নামে কেনো এই প্রতারনা। অবশ্য বিষয়টি আমার একান্তই ব্যক্তিগত। কারণ আমরা মুখে ভালো না লাগলেও অন্যের মুখে তা ভালো লাগতে পারে। তবে ২৬০০ টাকা দামের এক প্লেট ইফাতারীর মান এরকম হওয়া কতখানি যুক্তিযুক্ত তা যারা খাবেন তারাই বলতে পারবেন।

আর এবারের রমজানে আমার দৃষ্টিতে সবচেয়ে বড় তামাশা ছিলো মহানগর বিএনপির ইফতারি। গত ১৪ আগস্ট সংসদ ভবনের এলডি হলের সামনে বিশাল প্যান্ডেল বানিয়ে ইফতারির আয়োজন করে তারা। খরচ আনুমানিক ৫০ লাখ। উপস্থিতি ছিলো প্রায় দশ হাজার। কিন্তু তারা ইফতারিতে যে বিরানী পরিবেশন করে তা ছিলো খাবার অযোগ্য।

পরে খবর নিয়ে জানা গেলো দুপুরের আগে প্যাকেট করার কারনে ওগুলো নস্ট হয়ে যায়। তাই রোজাদারেরা শুধু কলা খেজুর আর পানি দিয়ে ইফতার করে বাড়ি যান। হাজার হাজার বিরানির প্যাকেট টেবিলেই পড়ে থাকতে দেখা যায়। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।