আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

যৌতুকের যন্ত্রণা এবং দেনমোহর

আসুন,সরকারী কর্মচারীদের ঘুষগ্রহণসহ সকল দুর্নীতিবন্ধে সর্বাত্মক সহায়তা করি। কারন সরকারি কর্মচারীরা দেশপরিচালনার হাতিয়ার। তারা যদি না হয় দক্ষ ও সততার অধিকারী, আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন এবং বাংণাদেশকে কল্যাণরাষ্ট্রে পরিণত করার কাজটি হবে সুদূরপরাহত। নজরুল ইসলাম খান চট্টগ্রামের একজন কম্পিউটার ব্যবসায়ী। বিবাহের মোহরানাসংক্রান্ত জটিলতায় তার বিয়ে ভাঙ্গার উপক্রম হয়েছে বলে তিনি ক্ষোভে-দুঃখে সাবেক আইনমন্ত্রী ও ধর্মমন্ত্রীর নিকট সমাধান চেয়ে ‘‘বিবাহ অনুষ্ঠানে দেনমোহর প্রসঙ্গে’’ একটি পত্র লিখেছিলেন।

পত্রটির কিয়দাংশ নিম্নরূপ- ’’প্রিয় মহোদয়, আমি একটি মেয়েকে ভালোবাসি। সেও আমাকে ভালোবাসে। এ ভালোবাসার আনুষ্ঠানিকতায় বিয়ে করতে গিয়ে পড়েছি মহাসমস্যায়। পারিবারিকভাবে দু‘পক্ষই রাজি। কিন্তু দেনমোহরের কারণে আজ আমার বিয়ে ভেঙ্গে যেতে বসেছে।

দুইলক্ষ টাকা বাজেট করেছি বিয়ে করবো বলে। কিন্তু হায় সব আশা ঐ দেনমোহর নামক যৌতুকের কারণে ভেঙ্গে গেছে প্রায়। মেয়ের পরিবারের দাবি, বিয়ের কাবিননামায় দেনমোহর উল্লে¬খ করতে হবে বিশলক্ষ টাকা, যা তুমি আদায় করো আর না করো। পরে ১৭লক্ষ টাকা এবং আরও দরকষাকষির পর ১০লক্ষ টাকায় স্থির হয়। এছাড়াও স্বর্ণ দিতে হবে ১০ভরি।

আমি নগদ পাঁচলক্ষ টাকা এবং স্বর্ণ পাঁচভরি দিতে রাজি হই (স্বর্ণের অস্বাভাবিক বাজারদাম হেতু)। কিন্তু মেয়ের গার্ডিয়ান এবং তাদের আত্মীয়-স্বজন আমাকে এ দেনমোহর ও স্বর্ণে বিয়ে দেয়া সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দিলেন। এখন আপনার নিকট আমার প্রশ্ন-- ১. দেনমোহর যদি মেয়েদের অবলম্বনই হয়, তাহলে তা সর্বোচ্চ কত? এর কি কোনো সুষ্ঠু নীতিমালা থাকার দরকার নাই? ২. যৌতুকদেয়া এবং নেয়া অপরাধ। কিন্তু দেনমোহরের নামে যে অস্বাভাবিক টাকার পরিমাণ লেখা হয়, তাকি যৌতুকের মত আইনত দন্ডনীয় নয়? ৩. নবিজী (সাঃ) দুটো খেঁজুর দিয়ে বিয়ে করেছেন। এখন তা টাকায় গিয়ে ঠেকেছে, মানলাম।

কিন্তু সর্বোচ্চ টাকার পরিমান কত, তা এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তি, ওয়ার্ড কমিশনার, ইমাম, বিবাহরেজিস্ট্রার/কাজিকে তো আপনার মন্ত্রণালয় থেকে দিকনির্দেশনা দেয়া জরুরি? ৪. যে টাকা আদায় হয়না বাসরঘরের আগে বা যা কখনো আদায় হবে কিনা তার কোনো নিশ্চয়তাই নেই, সে নিয়ে এত বাড়াবাড়ি করা কি ঠিক? ৫. দেনমোহর যদি লোকদেখানোই হয়, তাহলে তা যৌতুকবিরোধী আইনের মত আইন করে নিয়ন্ত্রণ করা কেন যাবেনা? ৬. মাননীয় মন্ত্রী, আমার মত অনেক ছেলে আজ নীরবে এ যন্ত্রণা সহ্য করছে অথবা মেনে নিয়ে বিয়ে করে তা আদায় করছে না। যা আদায় হয়না তার অঙ্গীকার করে কী লাভ? ৭. ভালোবাসার মানুষটিই যদি তার জীবনে না থাকে তাহলে দেনমোহর নামক টাকা দিয়ে একটা মেয়ে কী অবলম্বন পায়, আপনিই বলুন? ৮. দেনমোহর আদায়ের প্রশ্ন আসে তখন, যখন বিয়েটা ভাঙ্গে। আপনিই বলুন, বিয়ে ভাঙলে এবং তা আদালতে উঠলেও এত টাকা কি আদায় করা আদৌ সম্ভব? যে ছেলে প্রতারক, তাকেতো আপনি বা আপনার মন্ত্রণালয় দেনমোহর দিয়ে আটকাতে পারবে না। সে যৌতুক নেবে, যেভাবেই হোক। অতএব মাননীয় মন্ত্রী, আপনি যদি বর্তমান বাজার যাচাইপূর্বক ধর্মীয় বিধিবিধান বিশেস্ন¬ষণ করে সর্বোচ্চ দেনমোহর নির্ধারণ করে দেন, তাহলে আমার মত আরো অনেক অবিবাহিত ছেলের উপকার হয়।

যৌতুকের মত অস্বাভাবিক দেনমোহর লেখাটা একটা সামাজিক অপরাধ--এ জাতীয় সামাজিক আন্দোলন কি আপনার থেকে আশা করতে পারি?‘‘ যৌতুকবিরোধী ও বিবাহেচ্ছুক এ যুবকের পত্রের উদ্দেশ্য ও বক্তব্য বুঝতে কারুরই অসুবিধে হবার কথা নয়। অর্থাৎ বিয়েতে যৌতুকদেয়া-নেয়া যেমন হারাম ও দন্ডনীয় অপরাধ, তেমনি সাধ্যাতিরিক্ত মোহরানানির্ধারণও সঠিক নয়। এমনকি যুবকটির মারাত্মক একটি ভুলধারণাও এখানে ফুটে উঠেছে যে, নারীর মোহরানার অধিকারটি কেবলমাত্র বিবাহবিচ্ছেদের সঙ্গেই সম্পৃক্ত। তার পত্রে আমাদের সমাজে বিরাজমান মারাত্মক যৌতুকব্যাধি ও বিবাহকালীন নারীর মোহরানানির্ধারণের বর্তমান স্বরূপটিও পরিস্কারভাবে উন্মোচিত হয়েছে। এতে আরও একটি বিষয় সুস্পষ্ট হয়েছে যে, জীবনসঙ্গিনী বা স্ত্রী বলতে সাধারণত যা বুঝায়, আজকাল বর বা বরপক্ষ সেই অর্থে একজন নারীর জন্য উতলা না হয়ে বরং যৌতুকের জন্যই পাগলপারা হয়।

অপরদিকে কন্যাপক্ষও আভিজাত্যরক্ষা কিংবা মেয়ের ভবিষ্যৎ বিবাহবিচ্ছেদের আশংকায় বিবাহবৈঠকেই অস্বাভাবিক মোহরানানির্ধারণের চেষ্টা করে থাকে। সত্য বলতে কী, আমাদের সর্বাত্মক নৈতিক ও সামাজিক অবক্ষয়ের কারণেই আজ বিয়ের মত পবিত্র ধর্মীয় বন্ধনের ক্ষেত্রেও ব্যবসায়িক মনোবৃত্তিসহ চরম ধর্মহীনতার কালোথাবা বিস্তৃত হয়েছে। অথচ পবিত্র ইসলামে বিবাহকে একটি সামাজিক চুক্তি হিসেবেই প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে। তাই একজন স্ত্রী বা পাত্রীকে কখনও ভোগের সামগ্রী বা যৌনদাসী হিসেবে দেখেনি ইসলাম। বরং তাকে দিয়েছে জীবনসঙ্গিনীর নজিরবিহীন মর্যাদা।

কোরআনে স্পষ্টই বলা হয়েছে যে, ‘নারীরা পুরুষের পোশাকস্বরূপ আর পুরুষরাও নারীদের পরিচ্ছদস্বরূপ!’ এজন্যই কোনো নারীকে জীবনসঙ্গিনী করার ক্ষেত্রে পুরুষের জন্য সর্বপ্রথম শর্ত হচ্ছে, সকল আনুষ্ঠানিকতার পূর্বেই অফেরতযোগ্য ফরজ জামানত হিসেবে স্ত্রীকে সুনির্দিষ্ট মোহরানা (আংশিক হলেও) প্রদান করতে হবে। অন্যথায় বিবাহ কোনোক্রমে সিদ্ধ ও শুদ্ধ হবে না। এক্ষেত্রে পাত্রীর পক্ষে পুরুষকে উল্টো যৌতুক দেয়ার প্রশ্নতো একেবারেই অবান্তর! বিয়েতে পাত্র-পাত্রীর গুণ হিসেবে শুধুমাত্র অর্থ-সম্পদকেও অগ্রাধিকার দিতে বলেনি ইসলাম। বরং দাম্পত্যসুখের পূর্বশর্ত হিসেবে নারী-পুরুষের সচ্চরিত্র ও খোদাভীতিকেই অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে। হাদিসে বলা হয়েছে যে, ’’তোমাদের (নারীদের) নিকট যখন কোনো পুরুষ বিয়ের প্রস্তাব পাঠায়, যার চরিত্র ও খোদাভীতির ব্যাপারে তোমরা সন্তুষ্ট, তবেই তোমরা কোনো নারীকে তার কাছে বিয়ে দাও।

অন্যথায় পৃথিবীতে গন্ডগোল ও বিপর্যয় দেখা দেবে (তিরমিযি)। ‘‘ অর্থাৎ চরিত্রহীন পুরুষকে বিবাহ করা কিংবা বিবাহের ক্ষেত্রে যৌতুক বা ধন-সম্পদকেই প্রাধান্য দেয়ার ফল কখনো শুভ হতে পারেনা। রীমাহত্যা ও খুকু-মনিরের কাহিনীই এর জ্বলন্তপ্রমাণ। আর মোহরানানির্ধারণের ক্ষেত্রেও বাড়াবাড়ি করতে নিষেধ করা হয়েছে, যদিও মোহরানার অপরিশোধিত অংশ বিয়ের পর পরিশোধের সুযোগ ব্যতীত পুরুষকে আর কোনো ছাড়ই দেয়া হয়নি। নবী সাঃ বলেন, ‘মোহরানার শর্তটি পূরণ করা সর্বাধিক অগ্রগণ্য যার কারণে তোমরা নারীর সতীত্বের অধিকার লাভ করেছো (বোখারি ও মুসলিম)।

’ আরেক হাদিসে বলা হয়েছে, ‘সর্বোত্তম মোহরানা হচ্ছে সেটি, যা সর্বাধিক সহজ হয় (নাইলুল আওতার)। ’ সুতরাং এটা পরিস্কার যে, মোহরানা হচ্ছে পুরুষের পক্ষ থেকে বিবাহেচ্ছুক নারীকে প্রদত্ত এককালীন অফেরতযোগ্য জামানত, যা থেকে পুরুষের মুক্তি পাবার কোনো সুযোগ নেই। অথচ আমাদের সমাজে বিয়ের নামে যা হচ্ছে, তা অধিকাংশক্ষেত্রেই নাটকীয়তা, স্ববিরোধিতা ও ধর্মহীনতায় ভরপুর। । প্রসঙ্গত দেশের শীর্ষস্থানীয় পত্রিকাগুলোর পৃষ্ঠপোষকতায় অবাধে ‘পাত্র-পাত্রী চাই’ শিরোনামে এবং ইন্টারনেটে ম্যাচমেকার ও বিবাহপ্রতিষ্ঠানগুলো যৌতুকলেনদেনের যে প্রকাশ্য ব্যবসায় চালাচেছ, সেদিকে সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

ইসলামধর্ম একজন বিবাহযোগ্যা নারীকে এতদূর পর্যন্ত মর্যাদাবতী করেছে যে, বিবাহ করতে হলে পাত্রীকে নয় বরং পাত্রপক্ষকেই যেতে হবে পাত্রীর বাসায় এবং বাধ্যতামূলকভাবে মোহরানা পরিশোধসাপেক্ষে আবার পাত্রীকে সসম্মানেই তুলে নিয়ে আসতে হবে নিজের ঘরে। তাছাড়া যেখানে আংশিক বা সম্পূর্ণ মোহরানা পরিশোধছাড়া একজন স্বামী তার নববধুকে স্পর্শ করার কোনো অধিকারই অর্জন করেনা, সেক্ষেত্রে আমরা সমাজে দেখি তার সম্পূর্ণ উল্টোটাই! বিবাহেচ্ছুক নজরুল ইসলামের ভাষায় ‘‘মাননীয় মন্ত্রী, আমার মত অনেক ছেলে আজ নীরবে এ যন্ত্রণা (অনাদায়যোগ্য মাত্রতিরিক্ত মোহরানা) সহ্য করছে অথবা মেনে নিয়ে বিয়ে করে তা আদায় করছে না। যৌতুক দেয়া এবং নেয়া অপরাধ। কিন্তু দেনমোহরের নামে যে অস্বাভাবিক টাকার পরিমাণ লেখা হয়, তাকি যৌতুকের মত আইনত দন্ডনীয় নয়? যে টাকা আদায় হয়না বাসরঘরের আগে বা যা কখনো আদায় হবে কিনা তার কোনো নিশ্চয়তাই নেই, সে নিয়ে এত বাড়াবাড়ি করা কি ঠিক? দেনমোহর যদি লোকদেখানোই হয়, তাহলে তা যৌতুকবিরোধী আইনের মত আইন করে নিয়ন্ত্রণ করা কেন যাবেনা ?’’ অর্থাৎ আজকাল পাত্রীর জন্য এত মর্যাদাপূর্ণ অধিকারস্বরূপ ফরজ মোহরানার ব্যাপারটা বিবাহ অনুষ্ঠানে যৌতুকের মতোও গুরুত্ব পাচ্ছনা বরং লোকাচার হিসেবে কবিননামায় কাগুজে বাঘ হয়েই লিপিবদ্ধ থাকছে মাত্র। পরিবর্তে যৌতুক নামের হারাম লেনদেনটি সেখানে শুধু মূখ্য হয়ে দাঁড়াচেছ না, বিবাহের মূল চালিকাশক্তিতেই পরিণত হয়ে যাচেছ।

যে মোহরানা ধর্মত: ও আইনত: একজন নারীর জন্য আত্মরক্ষার কবচস্বরূপ, সে স্থানই আজ দখল করে বসে আছে সর্ববিধানে নিষিদ্ধ ও ঘৃণিত সেই যৌতুক নামের কৌতুক, কী দূভার্গ্য আমাদের? এভাবে শুধু শহরকেন্দ্রিক শিক্ষিত সমাজ নয়, গ্রামীন ও অল্প-অর্ধশিক্ষিত সমাজেও যৌতুকের মহামারী অবাধেই চলছে। শুধু কি তাই, যৌতুকের কারণে শিক্ষিত-অশিক্ষিতনির্বিশেষে কত সংসার যে ভাঙছে, তার কি ইয়ত্তা আছে? এমনকি এজন্য শুধু নারীনির্যাতন নয় অহরহ খুন পর্যন্ত হচ্ছে কতশত নারী, তার নগণ্য অংশমাত্রই জানতে পারছি পত্রিকার পাতায়! তবে এটা অত্যন্ত লজ্জাজনক কথা যে, আমাদের অভিভাবক ও পাত্র-পাত্রীদের মোহরানাসংক্রান্ত চরম অজ্ঞতার কারনেই আজ পুরুষের পক্ষে বাধ্যতামূলক পরিশোধযোগ্য মোহরানার স্থানটি দখল করে আছে যৌতুক নামের সর্বনাশা সংক্রামক ব্যাধিটি। সুতরাং নারীজাতি বিশেষত: বিবাহের পাত্রীরা যদি বিবাহক্ষেত্রে মোহরানানির্ধারণ এবং তা আদায়ের বাধ্যবাধকতা সম্পর্কে সত্যিকার অর্থেই সচেতন হয়, তাহলে যৌতুকপ্রথাটি লেজগুঁটিয়ে পালাতে বাধ্য হবে। পাত্রী যদি বিবাহ অনুষ্ঠানে মোহরানানির্ধারণ ও আদায়ের ক্ষেত্রে সক্রিয়ভাবে উদ্যোগী ভূমিকা রাখে অর্থাৎ বিশেষ করে যৌতুকলোলুপ পাত্রকে মোহরানার ব্যাপারে কোনোরূপ ছাড় না দেয়, তাহলে পাত্রপক্ষকে যৌতুকের দাবি ছেড়ে দিয়ে পাত্রীর মোহরানার টাকা জোগাড় ও পরিশোধের ধান্ধাতেই গলদঘর্ম হতে হবে। এজন্য সর্বপ্রথম পাত্রীর অভিভাবকদেরই অধিকার হিসেবে মোহরানানির্ধারণ এবং তা পরিশোধসংক্রান্ত সমঝোতায় পাত্রীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে এবং তার মতামতকেই অগ্রাধিকার দিতে শিখতে হবে।

এতে ফলাফল অন্তত: এতটুকু দাঁড়াবে যে, পাত্রপক্ষ যৌতুকের পক্ষে আর শক্তভাবে দাঁড়াতে পারবেনা এবং মোহরানার টাকা পুরোপুরি শোধ করতে না পারলেও আংশিক পরিশোধসাপেক্ষে পাত্রীর কাছে ঋণগ্রস্ত হয়েই থাকতে বাধ্য হবে। এমনকি সংসার চলাকালীনও যদি পাত্র বা পাত্রপক্ষ কখনো যৌতুক চায় ও নির্যাতন করে, তবে নীরবে তা সহ্য না করে পাত্রীকে তাৎক্ষণিকভাবেই আদালতে মামলাদায়েরপূর্বক মোহরানা আদায়ের ব্যবস্থা করা উচিৎ। এতেও পাত্রী এতটুকু সুবিধে পেতে পারে যে, মোহরানার টাকা পরিশোধের চাপে পড়ে হলেও পাত্রপক্ষ তার সাথে সমঝোতায় আসতে পারে। এক্ষেত্রে ইমাম বা বিবাহরজিস্টার কাজিরাও মসজিদে, নামাজের জামায়াতে, বিবাহের খুৎবায় এবং বিবাহরেজিষ্ট্রির সময় মোহরানার সপক্ষে ও যৌতুকের বিপক্ষে জনমত গড়ে তুলে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকাপালন করতে পারেন। যৌতুকের লেনদেন থাকলে বা মোহরানার টাকা পাত্র আদৌ পরিশোধ না করলে, তারা সে বিবাহপড়ানো এবং বিয়েরেজিস্ট্রিও বর্জন করতে পারেন।

প্রয়োজনে গোপনে তারা বিষয়টি যেকোনোভাবে পুলিশকর্তৃপক্ষের গোচরে এনেও ধর্ম ও দেশপ্রেমের পক্ষে বীরত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন। ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১০ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.