আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আস্তিক নাস্তিক আসল ব্যাপার না। গালিবাজ জাতিয়তাবাদী ছাগু দলের ব্লগ সিন্ডিকেট চাইছে ব্লগে ১০০% জাতিয়তাবাদ কায়েম। সাথে বোনাস জাশি - ছাগু আর মৌলবাদীদের প্রজনন কেন্দ্র

অনেককাল ব্লগ দেখলেও লেখা হয় না। ব্লগার বলতে চিনি আরিফ জেবতিক, অমি পিয়াল, আনোয়ার সাদাত শিমুল সমসাময়িক প্রজন্মের অসাধারণ মেধাবী ব্লগারদের। সেই সময় অগামগাও ব্লগে ঢুকে যা লিখতো তা যদি আজকের ব্লগের সাথে তুলনায় যাই তাহলে বলতে হয়, কোথায় আগরতলা আর কোথায় ... । দিন বদলায়। সোনালী অতীত বেশিদিন টেকেনা।

তারপরও সোনালী অতীতের রেশ কিছুদিন থাকে। আর সেটার ধারাবাহিকতা আশা করাটাও অমূলক কোন আশা নয়। আজকাল ব্লগে ঢুকে দেখি ধীবর, বাংলাদেশ জিন্দাবাদের মতো ছাগুরা সম্মানিত ব্লগার। অথচ এরা এককালে আম ব্লগারদের লাথিগুতার চোটে ব্লগে ঠিকমতো নিঃশ্বাস নিতে পারতোনা। আর আজ এদের পিঠ থাবরে দেবার মতো অসংখ্য নির্বোধ ছাগ মনস্ক ব্লগার পাওয়া যায়।

এবং ব্লগে এদেরই জয়জয়কার। নিজেরা নিজেদের পিঠ থাবরে সাবাস বাহবা নিতে, কিংবা একে অন্যকে মহামহিম ব্লগার ভূষণে ভুষিত করতে। এটা ভাবতে খুব বেশি ঘিলুর প্রয়োজন হয়না যে এরা সংঘবদ্ধ গ্রুপ, সিন্ডিকেট করে ব্লগ দখলে রাখার প্রানান্ত চেষ্টা করছে। বিরুদ্ধ মত বা প্রতিপক্ষের কোন লেখা আসলেই ঝাপিয়ে পরে নেচে কুটে গালিগালাজে একটা দাঙ্গা বাধিয়ে দেয়। নিকের ফ্যাক্টরি এদের হাতে আছে।

নিক হারালে তাই ভয় নেই। চলুন চরম সাম্প্রদায়ীক মনভাবের এই সমস্ত হাটুজ্ঞানের জাতিয়তাবাদী ছাগুদের একটি মোটামুটি মানের ব্লগ এনালাইসিস করিঃ ধীবরের এই পোস্টটি দেখুন। পরিমল ইস্যুতে থেকে নাস্তিকতা, নাস্তিকতা থেকে পত্রিকা ডেইলি স্টার, প্রথম আলো, মন্ত্রী রমেশ চন্দ্র থেকে থেকে টিপাই মুখ বাধ, সংবিধানের বিসমিল্লাহ, কলকাতার ইলিশ মাছ, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ হয়ে সুলতানা কামাল, শাহরিয়ার কবির। বমি থেমে নেই, এরপর বিডিয়ারের ম্যাসাকার। এরপর হাসিনার চৌদ্দ গুষ্ঠি উদ্দার করে তবেই থামলেন।

আসলে ধীবর ছাগু যে কি বলতে চেয়েছে সেটা বোধ হয় সে কিজেই জানেনা। জানে কেবল বমি উগরে দিয়ে সাম্প্রদায়ীক বিষটাকে ছড়িয়ে দিতে সাম্ভাব্য ছাগু মহলে। নিখাদ নির্বোধ ছাগুদের মাথা নেই এসব ভালো মন্দ বিচার করা। সে তার রসদ পেলেই খুশি, ভাসিয়ে দেয় একমুহুর্ত দেরি না করে। পিঠ চাপড়ানি আর ভর পেট হম্বি তম্বির কাঠাল পাতায় তার রাতের ঘুম নির্বিঘ্ন হয়।

খুব অবাক লাগে, ব্লগের সোনালী অতীতে নিয়মিত কমেন্ট কারী বল্গাররা ছিল সবথেকে দায়িত্ববানের ভুমিকায়। কোন ব্লগ ভালো খারাপ গ্রহনযোগ্য অগ্রহনযোগ্য সেটা যাচাই করতে কখনও ভুল করতো না। সাম্প্রদায়ীকতা তো দুরের ব্যাপার সামান্য গোজামিলের পোস্ট দিলেও তার খবর হয়ে যেত। সাধারণ ব্লগাররাই তার পিন্ডি চটকাতো। সেই ভয়েই অনেক রামছাগলও সামলে আচরণ করতো।

আর এখন ধীবরের পোস্টে দেখি নিয়মিত কমেন্টকারী ব্লগাররা রীতিমত উৎসাহ উদ্দীপনায় পিঠ চাপরে বাহবা দিচ্ছে। অধঃপতনের কতো নমুনা। আর এই পিঠ চাপরানোদের দলে থাকেন মশিউর, প্রজন্ম৮৬, ছোটমির্জার মতো নিয়মিত কমেন্টকারী অর্ধছাগুরা। নিয়মিত কমেন্টকারী ব্লগাররা যখন বিবেক বুদ্ধি ছেড়ে স্রেফ কাঠাল পাতায় দম নিতে শুরু করে তবে ব্লগ বা দেশের সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে আর কোন আশা থাকেনা। অবস্থাদৃশ্যে ধারনা করি এই ধীবর বা বাংলাদেশ জিন্দাবাদ প্যাটার্নের ব্লগাররা নেতৃস্থানীয় মাথা।

এদের ব্যাকাপ দেয়ার জন্য এক পাল নিম্নস্থানীয় ছাগু ব্লগে সারাদিন হৈচৈ করে বেড়াচ্ছে। এদের ইদানিং এক্টিভ নিক গুলোও সবার পরিচিত। কালচার মিডিয়া, চ্যালেঞ্জার, চান মিয়া, অশ্বথবৃক্ষ, জসিম, ভুদাই, ডিজিটাল হাসি, কানন শাহ, শিবলী নোমান এবং আরো শত নিক। এরা যে সিন্ডিকেট ব্লগিং করে তার নমুনা পাবেন গবেট ভুদাই এর করা জসিমের পোস্টের এক কমেন্টে। বিশাল সে সিন্ডিকেট।

ব্লগার লালসালু, রাজিব খান, হেলাল এম রহমানের জারি জুরি উনি ফাস করে দিয়েছেন। আরো ভয়ংকর হচ্ছে এদের গালিগালাজ। এদের গালিগালাজের যে নমুনা ফেরেস্তা আরও ৪০ কোটি বছর পরেও মনে হয় না সামুতে ঢুকতে পারবে। বিরক্ত হয়ে নাজনীন১ গতকাল একটা পোস্ট দিলে সেখানে এই ছাগুপাল হামলে পরে চুরান্ত অশ্লীলভাবে। ডিজিটাল হাসি পুরোনো ব্লগার।

ডজন খানেরক নিক ব্যান খেয়েও পরে রয়েছেন ১০০% জাতিয়তাবাদী সামুর সুখস্বপ্নের আশায়। একটু বিবেক বিবেক পার্ট নিয়ে এই ছাগু বেশ ভালো ভাবেই ব্লগের ছাগুসমন্বয়কের দায়িত্বটা পালন করে যাচ্ছে বেশ নিষ্ঠার সাথে। তার ইদানিং পারফর্মেন্স সত্যি প্রশংসা যোগ্য। আর চ্যালেঞ্জার বা চান মিয়া তথা সেপ্লবাইন্ডারের পারফর্মেন্সেও বেশ প্রশংসার দাবী রাখে। সুশীল আন্দোলনের নেতা এই সেপ্লবাইন্ডার যে আসলে কতটা সুশীল তা তার পুর্ববর্তী এবং পরবর্তি নিকগুলো থেকেই অনুমান করা যায়।

ইদানিং তারা ব্যাপক এবং ভয়ানক অর্থেই হিংস্র হয়ে উঠেছে সেটা তাদের লাগাম ছাড়া গালিগালাজেই খুব ভালো ভাবে টের পাওয়া যায়। কুৎসিত এই গালিগালাজ গুলোর স্ক্রিনশট দিতে ইচ্ছে করছেনা। এবং তাদের দাবী নাস্তিকরাই তাদের গালিগালাজ দিতে উৎসাহ দিচ্ছে। তাই নাকি আসেন দেখি ব্যাপারটা সত্যি সেরকম কিনা। ১. এই পোস্ট আস্তিকতা নাস্তিকতার ধারে কাছে কিছু না।

মাত্র দুইদিন আগের এই পোস্টে এই ছাগু বাহিনি হামলে পরে গালিগালাজ করেছে কোন যুক্তি(!)তে? এরকম আরো কয়েকটা পোস্ট আছে সময়ভাবে লিঙ্ক দিতে পারছিনা, যেগুলোতে স্বপ্রনোদিত হয়ে এই ডিজিটাল হাসি বাহিনি ঝাপিয়ে পরেছে। ২. ব্লগে নিয়মিত এবং নুন্যতম ১ বছর হয়েছে অথচ নাজনীন১ কে চেনেনা, এরকম কোন রামছাগল আছে বলে আমার মনে হয়না। নাজনীন১ এর ব্লগে গতকাল ডিজিটাল হাসির বাহিনি যে তান্ডব করেছে তা ইচ্ছাকৃত এবং তারা বুঝে শূনেই করেছে যাতে আম ব্লগার সবাইকে বুঝিয়ে দেয়া যায় যে "দেখো আমাদের শক্তি কতটা", খবরদার আমাদের সাথে লাগতে আসবেনা! ৩. ব্লগের নাস্তিকরা ইসলাম নিয়ে তামাশা করছে, সেগুলা তারা করে বা করবে সেটা এই ডিজিটাল যুগে আটকে রাখা সম্ভব না। আমরা আস্তিকরা এটা নিয়ে মোটামুটি এখন হাল ছেড়ে দিয়েছি। আর তাদের তামাশা বা ইসলাম অবমাননা যেটাই বলি না কেন এটা আমাদের স্বীকার করতে হয় যে নাস্তিকদের ইসলাম অবমাননার একটা নুন্যতম ভব্যতা আছে।

বিনা কারণে কোন নাস্তিককে কখনও দেখিনি আস্তিকের বাপ মা তুলে গালি দিচ্ছে। অথচ আমরা আস্তিকরা এটা অহরহই করি। খুব খ্যাপা না হলে নাস্তিকরা ইসলামকে গালি দেয়না। আর দিলেও তারা আল্লাহকে বা নবী মুহাম্মদ সঃ কে গালি দেয় কিন্তু আমাদের বাপ মা তুলে বলতে শুনিনি। আমার কথা আমি যদি নিজে ঠিক থাকিতো তবে যতই নবীকে আল্লাহকে গালি দাও আমার কিছু যাবে আসবেনা।

ইউটিউব কিংবা ফেসবুকের সাথে একটু আধটু যাতায়াত আছে তারা জানেন ওসব সাইটে ইসলামের নবী বা আল্লাহকে কি পরিমান অপমান করা হয়। সে তুওলনায় সামুর নাস্তিকরা এখনও বাচ্চা পোলাপান। ৪. মোল্লার দৌড় যেমন মসজিদ পর্যন্ত, সামুর এই ইতর কুলাঙ্গার আস্তিক তথা ডিজিটাল হাসিম, সেপ্লু গংদের দৌড়াত্ম গালিগালাজ পর্যন্ত। কোনদিন এদের দেখলাম না নাস্তিকদের জবাবে এরা নুন্যতম বোধসম্পন্ন কোন একটা যুক্তি দিয়ে ইসলামের সন্মান বাঁচাতে। বরঞ্চ দেখুন সেপ্লুবাইন্ড রামছাগলটা তার আগের নিকের এই পোস্টটা সগর্বে প্রচার করে বেড়ায় যে সে ইসলামের কি না কি উদ্দ্বার করেছে।

অথচ বোধসম্পন্ন যে কেউ সে পোস্টে গেলে বুঝতে দেরি হবে না সে কি রামধরা খেয়েছে। অবশ্য ছাগুর পাল নির্বোধ হয় সেটা নতুন কিছু নয়। ধোলাই খেয়ে উঠে গা ঝারতে ঝারতে বলবে কি মাইরটাই না দিলাম! যা বলছিলাম, এই ইতর কুলাঙ্গারের দল পোক্ত আসন গেরেছে ভালো লেখক এবং দায়িত্বশীল ব্লগারদের এক এক করে চলে যাওয়ার সুযোগে। সামু নিজেও দায়ী অনেক সবোধ ব্লগারকে নিষ্ঠুর ভাবে হত্যা করে নির্বোধ দের স্পেস ছেড়ে দিয়ে। ফলে যা হবার তাই হয়েছে, হচ্ছে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.