আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পোস্ট ভিউ: বাংলাদেশ-শ্রীলংকা দ্বিতীয় টেস্টের দ্বিতীয় দিন।

১। দু'দিনেই প্রায় দুই ইনিংস হয়ে গেছে। সুতরাং এই ম্যাচে আবহাওয়া উটকো ঝামেলা না করলে জয়-পরাজয় অবশ্যম্ভাবীই মনে হচ্ছে। শ্রীলংকা ৪ উইকেট হাতে রেখে ৫৪ রানের লিড নিয়ে নিয়েছে ইতিমধ্যে। সাঙ্গাকারা ১২৭ করে অপরাজিত।

তবে কুলাসেকারার পরে আর কারোরই মোটামুটি অলরাউন্ডার হিসেবেও পরিচিতি নেই। সুতরাং আগামীকাল একটা-দু'টো আরলি উইকেট লিডটাকে ১০০ এর মাঝে রাখতে পারে। তবে এই উইকেটে ১০০ রানের লিডও বিশাল কিছুই। ২। দেবব্রত মুখোপাধ্যায় তার স্ট্যাটাসে লিখেছেন, 'ক্রিকইনফো বলেছে, রেফারির সামনে আইন অনুযায়ীই ঘাস কাটা হয়েছে।

ভালো কথা। কিন্তু বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে বিভিন্ন বিশেষজ্ঞদের প্রশ্নের সামনে তারাই থতোমতো খেয়ে বলেছে, এক রাতে ঘাস কী এক ইঞ্চি ছেটে ফেলার মত বড় হয়েছিলো কিনা, তারা বুঝতে পারছে না'। খুব স্পষ্ট ভাবেই বোঝা গেছে যে ঘাস একটু বেশি মাত্রায়ই কাটা হয়েছে। তবে পরিসংখ্যান দেখে কিন্তু খুব একটা বোঝা যাচ্ছে না। গতকাল ৮৬.৩ ওভারে রান হয়েছিলো ২৫৮।

আর আজ ৯০ ওভারে রান হয়েছে ২৭৬। ৩। সাঙ্গাকারা একটা অবিশ্বাস্য ভালো ব্যাটসম্যান। ও জানে এই উইকেটে বাজে শট না খেললেই টিকে থাকা যাবে। উচ্চভিলাষী শট খেলা ছেড়ে দিলো।

এক পর্যায়ে টিকে থাকার জন্য সংগ্রাম করলো। ফলটাও পেলো। নিচ্ছিদ্র সেঞ্চুরী। গ্রেট ইনিংস। ৪।

তিন পেসারই ভালো বল করেছে। রুবেলকে কন্সিসটেন্টলি ১৪০ প্লাসে বল করতে দেখলাম। কয়েকটা বল তো ১৪৪ কিলোমিটারেও করলো। রবিউল বেশ দারুণ লেট সুইং আদায় করেছে। ওর গতিটা রুবেলের কাছাকাছিও না দেখে আফসোসই বেড়েছে।

আবুলের বেশ বাউন্স আর স্কিড পেয়েছে। বরং সোহাগ গাজীকেই আজ অর্ডিনারি লাগলো প্রথমবারের মত। দূর্ভাগ্য, নাসিরের মিডিয়াম পেস বোলিংটা দেখতে পারিনি। একজন চ্যাটে জানালো, নাসির নাকি ১২৭.৬ কিলোমিটারে বল করেছে! ৫। ডি ভিলিয়ার্স আমার ভীষণ প্রিয় ব্যাটসম্যান।

আজ একটা দূর্দান্ত সেঞ্চুরী করে পাকিস্তানকে হারিয়ে দিয়েছে বলে বাংলাদেশের খেলার মাঝে ওকে টেনে আনিনি। ওর একটা ইনিংস খুব মনে পড়ছে। কিছুদিন আগে অস্ট্রেলিয়া সফরে একটা টেস্টে পরাজয় এড়াতে ভিলিয়ার্স ৩৩ রানের একটা ইনিংস খেলতে লাগিয়েছিলো পাক্কা ২২০ টা বল। নিশ্চিত নই তবে ফ্যাফ ডু প্লেসিসও প্রায় ৪০০র বেশি বল খেলে করেছিলো সেঞ্চুরী। আর আজ ওয়ানডেতে ১০৮ বলে ১২৮ করেছে ভিলিয়ার্স, ১৯ বলে ৪৫ ফ্যাফ ডু প্লেসিসের।

দলের প্রয়োজনে নিজেকে বদলিয়ে খেলা ইনিংসগুলো সারা জীবন স্মরণে রাখে দর্শক। দূর্ভাগ্য, মাহমুদউল্লাহ-জহুরুল পর্যন্ত এই লেখাটা পৌছাবে না! ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.