আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সস্তায় পশ্চিমবঙ্গে ‘বাংলাদেশি পদ্মার ইলিশ’ চায় । রাজ্য জুড়ে ইলিশের তীব্র আকালের কথা জানতে পেরে ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

চলতি বর্ষার মরসুমে বাংলাদেশ থেকে নিয়মিত ভাবে ইলিশ আসা শুরু হল। শনিবার উত্তর ২৪ পরগনার পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়ে প্রায় ২০ টন ইলিশ ঢুকল এ রাজ্যে। রাজ্যের অন্যতম ইলিশ আমদানিকারী সংস্থা ‘হিলশা ফিশ ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন’ জানিয়েছে, সেপ্টেম্বরে প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহের বাংলাদেশ সফর পর্যন্ত নিয়মিত ভাবে ইলিশ আমদানির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তাদের আশা, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের সঙ্গে কথা বলে ইলিশের রফতানি মূল্য কমানোর ব্যাপারে উদ্যোগী হবেন। রাজ্য জুড়ে ইলিশের তীব্র আকালের কথা জানতে পেরে ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

ঢাকা সফরে ইলিশের অত্যধিক রফতানি মূল্য নিয়ে তিনি যাতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কথা বলেন, সে জন্য মমতা অনুরোধ জানিয়েছেন। শেখ হাসিনার সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ব্যক্তিগত সম্পর্ক ভাল। তা ছাড়া, দিন কয়েক আগে বাংলাদেশ সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা গহর রিজভি এবং আর্থিক উপদেষ্টা মসিউর রহমান মহাকরণে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করেন। সেই সময়ে সস্তায় পশ্চিমবঙ্গে ‘বাংলাদেশি পদ্মার ইলিশ’ পাঠানোর জন্য তাঁদের কাছে অনুরোধ করেন পার্থবাবু। রাজ্য সরকার তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানাতেই প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফর পর্যন্ত ইলিশ আমদানি করা হবে বলে জানিয়েছেন ‘হিলশা’র সভাপতি অতুলচন্দ্র দাস।

তিনি বলেন, “আশা করি, প্রধানমন্ত্রীর সফরে সমস্যাটি মিটে যাবে। মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগকে স্বাগত জানাচ্ছি। ” চলতি মরসুমে এত দিন বিক্ষিপ্ত ভাবে ব্যবসায়ীদের কারও কারও ব্যক্তিগত উদ্যোগে দু’তিন টন করে বাংলাদেশের ইলিশ এসেছে এ রাজ্যে। কিন্তু সেই সব ইলিশ পদ্মার নয়। ধরা হয়েছিল পটুয়াখালির সমুদ্র থেকে।

শনিবার যে ইলিশ এসেছে, তা বরিশালের পদ্মা-মেঘনার মোহনা থেকে ধরা বলে জানিয়েছেন আমদানিকারীরা। ইলিশগুলির গড় ওজন ৬০০ গ্রাম থেকে এক কেজি। কয়েকটি ট্রাকে মাছগুলি আসে বেনাপোল হয়ে। অত ইলিশ দেখতে স্থানীয় লোকজনের মধ্যে তুমুল আগ্রহ দেখা যায়। এর পরে ট্রাকভর্তি ইলিশ চলে যায় হাওড়ার এইচআইটি মাছ বাজারে।

সেখানে ন্যূনতম ৩০০ টাকা কেজিতে মাছগুলি নিলাম হয়। এ দিনই এই ইলিশ মানিকতলা, গড়িয়াহাট, বেহালা, দমদম-সহ কলকাতা এবং সংলগ্ন জেলাগুলির বড় বাজারগুলিতে চলে যায়। উত্তরবঙ্গের মানুষকে অবশ্য পদ্মার ইলিশের জন্য আরও কয়েক দিন অপেক্ষা করতে হবে। আমদানিকারীরা জানিয়েছেন, এ রাজ্যে বাংলাদেশি ইলিশের দৈনিক চাহিদা প্রায় ৫০ টন। ওই জোগান স্বাভাবিক হলে তখনই উত্তরবঙ্গের মানুষ ইলিশ কিনতে পারবেন।

খোলা বাজারে অবশ্য ইলিশ কিনতে কেজিপ্রতি অন্তত ৪০০ টাকা দিতে হবে। ওজন অনুযায়ী দাম আরও বাড়তে পারে। বাংলাদেশে ইলিশের অত্যধিক রফতানি মূল্যের কারণে গত তিন বছর ধরেই বর্ষার মরসুমে সে ভাবে ইলিশ আসছিল না। আমদানিকারীরা এ জন্য সরকারের নানা মহলে তদ্বিরও করেছিলেন। কিন্তু সমস্যার সুরাহা হয়নি।

রফতানি মূল্য কমায়নি বাংলাদেশ। আমদানিকারীরা জানিয়েছেন, এক কেজি, দেড় কেজি বা তার বেশি ওজনের ইলিশের রফতানি মূল্য বাংলাদেশে যথাক্রমে ৬, ৮ ও ১২ ডলার। এই চড়া দামের কারণেই বাংলাদেশ থেকে সে ভাবে ইলিশ আনা হচ্ছিল না। লেখাটি নেয়া ২৪ জুলাই ২০১১  ।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।