আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

শীতের রাতে ভাবির সাথে

লিখতে পারিনা তাই চেষ্টা করি। ভাইয়র বিয়ার পর আমার সবচেয়ে বেশি আনন্দ হয়েছিলো। কারন যাকে বিয়া করছে তাকে আমি আগে থেকে চিনি সে আর আমি একই স্কুল পড়া শুনা করেছি। এস এস সি পাশের পরে আমার ক্লাস ফ্রেন্ড আমার ভাবি হয়ে গেলো কি মজা! সেই থেকে যখনই কলেজ বন্ধ থাকতো চলে আসতাম বাড়িতে কারন ভাবির সাতে গল্প করার মত আর কোন কিছুতে এতো মজা পেতাম না। একদিন ভাইয়া বাড়িতে নাই (ভাইয়াকে আবার আমরা ভিষন ভয় পাই) সেই সুযোগে দু'জন পরামর্শ করলাম আজ রাতেই তাহলে ...... পরামর্শ মত রাত ১২টা বাজে এমন সময় ভাবি এসে আমার দরজায় নক করলো সংগে আমার ছোট বোন।

আমি সজাগ ই ছিলাম সেই "শীতের রাতে ভাবির সাথে" চলে গেলাম পুকুর পাড়ে খেজুর গাছের রস পাড়তে। রাতে খেজুর রসের পায়েস খাওয়া হবে আহা কি মজা! আমি গাছে ওঠব এমন সময় ভাবি বল্ল দাড়াও আমি পুকুর থেকে পানি নিয়ে আসি। যতটুকু রস আমরা নেবো ওতোটুকু পানি ঢেলে রাখবো হাড়িতে। বুদ্ধিটা খারাপ না। এতে করে রস চুরি হইছে এই বিষয়টা গাছি টের পাবে না।

৫টা গাছের রস পাড়ার পর ছোট্র এক কলসী হলো তাই নিয়ে চলে গেলাম পায়েস রান্না করতে। ছোটবোনের উপর দায়িত্ব হলো রাতের বেলায় গাভীর থেকে দুধ চুরি করা। কিন্তু গোয়ালঘরে গিয়ে দেখা গেলো গাভীটা শুয়ে আছে অনেক চেষ্টা করে ও গাভিটাকে ওঠানো গেলোনা। ফলে ঘরে নারিকেল ছিলো তাই দিয়ে পায়েস রান্না করা হলো। ভিষন মজা করে খেলাম।

ভোর হতে না হতেই ভাইয়া বাড়ি চলে (মাহফিল শুনতে গেছিলো) আসছে আমরা ঘুমে থাকতেই। একটু পরে দেখি ভাইয়া এক কলস খেজুরের রস নিয়ে হাজির। ভাবি কে বল্ল আজকের রসটা না দেখো পানির মত পরিষ্কার হইছে তাই নিয়ে নিলাম কাল গাছিকে দিয়ে দেবো। এক কাজ করো ময়নার মাকে বলো গাভীটার দুধ যেন সকাল সকাল দোয়ায়। দুধ দিয়ে খেজুর রসের পায়েস রান্না করবে আজ।

আমি বল্লাম সত্যিতো ভাইয়া আজ রস এক্কেবারে পুকুরের পানির মত পরিষ্কার হইছ। আর একটি মজার ঘটনা আমার সবচেয়ে বড় ভাইয়ের শ্বশুর বাড়ি ঝালকাঠি পশ্চিম পার পালবাড়ির খেয়া পার হয় যেতে হয়। যারা ঝালকাঠির আছেন অবশ্যই লোকেশান টা চিনছেন। না চিনলে অসুবিধা নাই আসল কথায় আসি। সেই সময়টাতে বিয়াই বিয়াইনের মধ্যে বেশ রস হতো (এখন হতো তবে আমাদের সময় হতো) এই তো বেশিদিন আগের কথা না ১৯৯৩ সাল তালই বাড়ি বেড়াতে গেছি পরদিন দুই বিয়াইন ধরছে বিয়াই মোরা ছবি দেখমু।

হলে কি ছবি চলতেছে? ওরা বল্ল নাম জানিনা তয় শাবানা আছে। ঝালকাঠি তখন দুইটা হলো একটা "পলাশ" আর একটু "মিতু"। আমি রাজি হলাম শর্ত হলো আর এক চাচাতো বিয়াইন আছে তাকে ও রাজি করাতে হবে তাকে নিয়ে যাবো (মনে মনে তাকেই একটু বেশি পছন্দ করি)। মিতু হলে ছবি দেখতে গেলাম ছবির নাম "প্রায়াশ্চিত্ব"। ৬ টা থেক নয়টার শো ভিতরে ঢুকে দেখি ছবি শুরু হয়ে গেছে লাইট ম্যানের আলোয় কোনমতে আমাদের সীটের লাইনটা পেলাম কোন ছিটে লোক বসা আছে আর কোন ছিট খালি কিছুই বোঝা যাচ্ছেনা এমন সময় দেখলাম আর একটা ছিট খালি হলে আমি আর আমার ঐ চাচাতো বিয়াইন পাশাপাশি বসতে পারি।

আর এতোগুলো টাকাদিয়ে টিকিট কিনেছি যদি পাশাপাশি বসতে না পারলাম আর রাজ্জাক শাবানা যখন গান গাইবে পর্দায় তখন যদি বিয়াইনের হাতার পাতার উপর রাখা হাত একটু শক্ত করে ধরতে না পারি তাহলে ই তো পুরা টাকাটাই জলে যাবে। সেই কথা ভেবে পাশের ছিটের ভদ্রলোক বল্লাম ভাইয়া আপনি কি একটু ঐপাশের ছিট টাতে বসবেন। ওমনি দেখি লোকটা তার বান্ধবী কে সাথে নিয়ে হল থেকে বের হয়ে গেলো । আমি অবাক কি হলো? দেখি আমার বিয়াইন আমার কানে কানে বলছে ভাইয়া ..ভাইয়া। আরে কোন ভাইয়া লিপির ভাইয়া।

মানে ঐ চাচাতো বিয়াইনের বড় ভাই। ঐ হালায় ও ডুবে ডুবে জল খাচ্ছিলো আজ তা ধরা খাইলো সেই সাথে আমি ও পুরা ধরা খাইলাম । ভালো লাগলে কমেন্ট দিবেন আরো আছে.....। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।