আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ফ্যাশন ডিজাইনার পরিচয়ে কে এই নির্লজ্জ আনিসুজ্জামান?

মা মাটি মানুষকে ভালোবাসি-এই মিথ্যে কথাটা বলতে আর ভালো লাগে না! অনুচ্চাকাঙ্ক্ষী, দৃঢ়, সত্য প্রকাশে অনঢ়... কেস স্টাডি-১ আনিসুজ্জামান আনিস। স্টাইল পার্ক নামের এক ফ্যাশন হাউসের মালিক সে। স্টাইল পার্কের শো রুম এলিফেন্ট রোডে। গত কয়েক বছর ধরেই এই আনিস বিখ্যাত হয়ে পড়েছে বিশেষ কিছু ফটোসেশনের জন্য। তার এই ফটোসেশন বিভিন্ন মডেল নামসর্বস্ব মেয়েদের সাথে।

এরা বেশিরভাগই উঠতি মডেল। আনিস এদের শরীরের সাথে শরীর লাগিয়ে বিভিন্ন কায়দায় ছবি তোলে। সরেজমিনে এবং বেশ কিছু মেয়ের সাথে কথা বলে জানা গেছে, কেউ যদি আনিসের সাথে ছবি তুলতে আপত্তি জানায়, তাহলে তাকে স্টাইল পার্কের "মডেল" হিসেবে ধরা হয় না। অর্থাৎ তার আর খাওয়া নাই। মডেল হতে গেলে আনিসের সাথে ছবি তুলতে হবেই! প্রশ্ন হলো, আনিসের এই বিকৃতি কি শুধু ছবি তোলাকে কেন্দ্র করে? অবশ্যই না।

বিভিন্ন অল্পবয়স্ক মেয়েদের সাথে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে তোলে এই আনিস। আর ব্ল্যাকমেইলিং হিসেবে ব্যবহৃত হয় এই ছবিগুলো। অর্থের লোভে নামকরা স্কুল-কলেজের পরিচয় দিয়ে কিছু মেয়েও এই ব্যবসাকে 'লাভজনক' হিসেবেই বেছে নিয়েছে। হয়তো শুধু ফটোশুট নয়, অনেক ক্ষেত্রে অনেক নোংরা কাজ করতে/বাধ্য হয়ে করতে হয় এইসব মেয়েদেরকে। ধরা যাক মেয়েটার নাম, "ক", কোনো এক কারণে সে গিয়েছিলো ইশতিয়াক ইমন নামের এক ফটোগ্রাফার এর কাছে।

এই ফটোগ্রাফার তার ছবি আনিসকে দেখায়। আনিসের ভালো লেগে যায় মেয়েটিকে। এরপর আনিস তাকে স্টাইল পার্কের মডেল হবার প্রস্তাব দেয়। মেয়েটা এই লাইনে নতুন, তাই সানন্দে রাজি হয়ে যায়। কয়েক মাস পর সে তার বেশ কিছু ছবি ইন্টারনেটে ফেসবুকে খুঁজে পায়, যেই ছবিগুলো আনিস তুলেছিলো তার ব্যক্তিগত বিশেষ কাজের (!) জন্য, এরপর যা হবার তা-ই।

মেয়েটার বন্ধুমহলে কুৎসা রটতে থাকে। আর তাকে বাধ্য হয়ে আনিসের সাথে অন্য সবার মতোই খারাপ কাজ করতে হয়। মূল ঐ ফটোগ্রাফার ছিলো আনিসের দালাল। মেয়েটা ভুল জায়গায় গিয়েছিলো। কেস স্টাডি-২ আনিসের বক্তব্য অনুসারে : ১৯৮০ সালে আমি স্টাইল পার্ক প্রতিষ্ঠা করি তখন বাংলাদেশে অন্য কোনো ফ্যাশন হাউস ছিলো না।

আমি মালয়েশিয়া থেকে ফ্যাশন ডিজাইনিংয়ে ডিপ্লোমা (!) করেছি। আমার ব্যবসার চাহিদা দিন দিন বেড়েই যাচ্ছে। আশা করি বিদেশেও এর ভালো ব্যবসা হবে। প্রশ্ন হলো, একজন ফ্যাশন ডিজাইনার, কিছু অশ্লীল পোশাক এর ডিজাইন করে সেগুলো উঠতি মডেলদের পরিয়ে ছবি তুলছে... ঠিক আছে! কিন্তু সেই মেয়েটার সাথে তার কুরুচিপূর্ণ ভঙ্গিতে ছবি তোলার কি দরকার? এ সম্পর্কে আনিসের ফোন নাম্বারে যোগাযোগ করা হলে (০১৭১১৫৪৪৯৮৯) তাকে জিজ্ঞাসা করা হয়, আপনি কাপড়ের ডিজাইন করেন, ওয়েস্টার্ন ডিজাইনার ভালো কথা, কিন্তু এভাবে ছবি তুলে ফেসবুকে, নিজের অফিসে সাজায়ে রাখেন কেন? কারণটা কি বলবেন? আনিস ফোন রেখে দেয়। এরপর ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

আনিস এরই মধ্যে বিশাল (!) পুরষ্কার পেয়েছে। সেই পুরষ্কার এর ছবিও তার ফেসবুকে আছে। সবমিলিয়ে আনিস বাংলাদেশ ফ্যাশন জগতের উজ্জ্বল নক্ষত্র! যার প্রতিভায় বাঙালি গুণমুগ্ধ... একটা দেশের মূল বিষয় নাকি তার সংস্কৃতি। এই সংস্কৃতি চীন যেমন বিক্রি করে দিয়েছিলো তেমন বিক্রি করেছে ভারত। আমরা বাংলাদেশিরা নিতান্তই দরিদ্র।

আমাদের আদৌ সংস্কৃতি বলে আছে কি? প্রতিভাবান সৎ মানুষদের আমরা থোড়াই কেয়ার করি। আর আনিসদের মতো লুইচ্চারা তাদের নির্লজ্জ কাজকর্ম আমাদের দেখায়। আমরাও ভয়ায়ুরিজমের মতো সেটা দেখে দেখে আনন্দিত হই। এরকম লুইচ্চাদের দেশ থেকে বের করে না দিয়ে সযত্মে লালন করি। এরাও বাংলা মদ খেয়ে হামলে পড়ে হয়তো বা কারো না কারো বোনের ওপর, প্রেমিকার ওপর, যারা নিজেদের বিক্রি করে দেয় এইসব আনিসদের কাছে! সবশেষে আনিসের ফ্যাশন হাউজ "স্টাইল পার্ক" এর পেইজে একজন অভিযোগকারীর বক্তব্য : Anis er moto manush ra Industry nosto kore... jotoshob Bessa ar Na khawa Model niya kaj kore Industry er 12 ta bajay..... this guy is nothing but a VIRUS of our fashion Industry,,,, we should hate and disrespect this typ of UGLY STUPID and 3rd class people..... kisu manush ase jara eder moto 3rd class typ manushder kaj korme khub bahoba day... tara actually kisu janeo na bujheo na.... R tai tara actually ANIS er Theke Boro Bainchod and BokaChodda...... ......Je shob Model ra kaj kore tara nitantoi GORDHOB or onno kothao kaj pay na..... সোর্স : যারা এই প্রতিবেদনটি তৈরী করতে সাহায্য করেছেন তাদের অনেক ধন্যবাদ।

প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস সরবরাহ করেছে ক, ম, ই, চ। এদের সবাইকে ধন্যবাদ। আরো ধন্যবাদ আনিসের কুকর্ম গুলোর বিশ্লেষণী তথ্যের জন্য। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.