আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কুত্তা পরিমলের পরে এবার কুত্তা মদন

........................... ধানমন্ডি সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত সহকারী প্রধান শিক্ষক মদন মোহন দাস। এবার সে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (স.) এবং পবিত্র হজ নিয়ে কটূক্তি করার দুঃসাহস দেখাল! ২৬ জুলাই তার সহকর্মী শিক্ষকদের এক সভায় সে মন্তব্য করে, ‘এক লোক সুন্দরী মহিলা দেখলেই বিয়ে করে। এভাবে বিয়ে করতে করতে ১৫-১৬টি বিয়ে করে। মুহাম্মদও ১৫-১৬টি বিয়ে করেছে। তাহলে মুসলমানরা মুহাম্মদের হজ করা স্থান মক্কায় গিয়ে হজ না করে ওই ১৫-১৬টি বিয়ে করা লোকের বাড়িয়ে গিয়ে হজ করলেই তো হয়।

’ অভিভাবকদের লিখিত অভিযোগ এবং কলেজের শিক্ষক ও কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে এমন কটূক্তির সত্যতা মিলেছে। এমন মন্তব্যে কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ ও উত্তেজনা দেখা দেয়। প্রতিবাদে গতকাল দুপুরে কলেজ ক্যাম্পাসে ব্যাপক বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থীরা। এসময় ফুলের টব ও আসবাবপত্র ভাংচুর করে বিক্ষুব্ধরা। বিক্ষোভকালে শিক্ষক মদন মোহন দাসকে চাকরি থেকে অপসারণ ও তার বিচার দাবি করা হয়।

কলেজ প্রশাসনের সহায়তায় প্রায় এক ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। অভিভাবকরাও দুপুরে ওই শিক্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে কলেজ গেটে এক ঘণ্টারও বেশি সময় অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। এমন পরিস্থিতিতে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ গতকাল দুপুরেই মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক অধিদফতরের ডিজিকে ঘটনা তদন্ত করে খুব দ্রুত ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। ওই কটূক্তিতে শিক্ষক ও অভিভাবকদের মধ্যেও তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। ২৮ জুলাই শিক্ষক ও অভিভাবকরা কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে মহানবীকে কটূক্তির বিষয়টি অবহিত করেন।

এসময় তারা মদন মোহন দাসের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান। ওইদিনও মদন মোহন দাস স্কুলে আসে, অফিসও করে। সহকর্মী কারও কারও সঙ্গে আঙুল উঁচিয়ে মদন ‘কলা’ দেখায় (তোমরা আমার কিছুই করতে পারবে না)। তার বিরুদ্ধে প্রধান শিক্ষকের কাছে নালিশ দেয়ায় তিনি তা পাত্তাই দেননি। শুক্রবার ছুটির দিনের পর গতকাল সকাল থেকে ওই ঘটনায় কলেজ ক্যাম্পাসে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে চাপা ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।

দুপুর ১টার দিকে শত শত শিক্ষার্থী মদন দাসের অপসারণ ও শাস্তির দাবিতে ক্যাম্পাসে ব্যাপক বিক্ষোভ করে। শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে পুলিশের সাহায্য নেয়া হয়। স্কুলের প্রধান শিক্ষক রওশন আরা আক্তার ঘটনাস্থলে এসে শিক্ষার্থীদের শান্ত করার চেষ্টা করেন। এসময় তিনি ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিগগিরই ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে সন্ধ্যা পর্যন্ত পুরো ক্যাম্পাস ঘিরে রাখে পুলিশ।

এমন পরিস্থিতি চলাকালে মদন মোহন দাস গতকালও তার কার্যালয়ে অফিস করে। প্রধান শিক্ষকও তার কার্যালয়ে এসে শিক্ষকদের সঙ্গে সভা করেন। তিনি সরকারের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ, শিক্ষামন্ত্রী, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক অধিদফতরের মহাপরিচালকের (ডিজি) কাছে বিষয়টি অবহিত করেন। তবে কলেজ প্রশাসন ও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এ ব্যাপারে কলেজের প্রধান শিক্ষক রওশন আরা আক্তার বলেন, ‘আমরা ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের অভিযোগ পেয়েছি।

ব্যবস্থা নেয়ার জন্য শিক্ষামন্ত্রী ও ডিজিসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। তারা দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। ’ শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ গতকাল বিকালে আমার দেশকে বলেন, কলেজ কর্তৃপক্ষ জানানোর আগেই আমি ঘটনা শুনে সঙ্গে সঙ্গে কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করি। তাদের বলেছি, বিস্তারিত তথ্য মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক অধিদফতরের ডিজিকে জানাতে। আমি এ ব্যাপারে ডিজিকে খুব দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছি।

জানা যায়, টাঙ্গাইলের অধিবাসী মদন মোহন দাস ২০১০ সাল থেকে ভারপ্রাপ্ত সহকারী প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছে। সে বিভিন্ন সময় শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সঙ্গে হজরত মুহাম্মদ (স.) এবং ইসলাম ধর্মের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কটূক্তি করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। অভিভাবকদের উপরোক্ত কটূক্তির অভিযোগ ছাড়াও লিখিত অভিযোগে আরও বলা হয়—এর আগে বিদ্যালয়ে এই মদন মোহন দাস আরও অনেক অনৈতিক কার্যকলাপ করেছে। কোনো ছাত্র দাড়ি রাখলে তাকে ছাগল বলে ডাকে এবং মারধর করে। মদন মোহন মুসলিম ছাত্র, শিক্ষক, কর্মচারী, অভিভাবক সবার সঙ্গে অত্যন্ত খারাপ আচরণ করে।

বিশেষ করে মুসলিম শিক্ষিকা ও অভিভাবকদের সঙ্গে কুকুরের মতো আচরণ করে। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।