আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

উখিয়ায় এসি ল্যান্ড নেই দীর্ঘদিন, ইউএনও পদও শুণ্য: চলছে বাঁধাহীন ঘুষ বানিজ্য

অনিয়ম, দূর্নীতি আর ঘুষ লেনদেনের মধ্য দিয়েই চলছে উখিয়া ইউনিয়ন ভূমি অফিসের যাবতীয় কাজকর্ম। উখিয়া ইউনিয়ন ভূমি অফিসের কাজ কর্মে প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ টাকার ঘুষ লেনদেন হয়। অফিসের কিছূ বহিরাগত কর্মচারী এই ঘুষ বাণিজ্যের সঙ্গে সরাসরি জড়িত। উখিয়া ভূমি অফিসের এই অবৈধ লেনদেনকে ঘিরে গড়ে ওঠেছে শক্তিশালী দালাল সিন্ডিকেট। ভূমি অফিসের একাধিক কর্মকর্তার ও রয়েছে নিজস্ব একান্ত সহকারী।

উখিয়া ইউনিয়ন ভূমি ও তহসিল অফিস সরেজমিন পরিদর্শনে ঘুষ, দূর্নীতি অনিয়মের এ চিত্র পাওয়া গেছে। জানা গেছে, সার্ভে রিপোর্ট, নামজারি, খাজনা দাখিল থেকে শুরু করে সবকিছুতেই চলে মোটা অংেকের অর্থের লেনদেন। দীর্ঘদিন এসি ল্যান্ড না থাকার ফলে কর্মকর্তা কর্মচারীদের বেপরোয়া আচরনে অতিষ্ট হয়ে পড়েছে এলাকাবাসী। এতদিন এসি ল্যান্ড না থাকায় এসিল্যান্ডের যাবতীয় কাজকর্ম করতেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। কিন্তু বিদায়ী নির্বাহী কর্মকর্তা আসিফ বিন ইকরাম বদলী হয়ে চলে যাওয়ার পর গত ২ সপ্তাহ ধরে উখিয়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকতা হিসেবে কেউ যোগদান না করায় স্থানীয় জনগনের ভোগান্তি আরো বেড়েছে।

ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে টেকনাফ সহকারী কমিশনার (ভূমি) খোকন চন্দ্র সাহাকে দ্বায়িত্ব দেওয়া হলেও তিনি নিজ উপজেলা নিয়েই ব্যাস্ত থাকেন বেশী। একে তো এসিল্যান্ড নেই দীর্ঘদিন, তার উপর নির্বাহী কর্মকর্তা ও নেই। ফলে বর্তমানে উখিয়া ভূমি অফিসে চলছে বাঁধাহীন ঘুষ বানিজ্য। জমির নিবন্ধন, খাজনা প্রদান, , নামজারি, খতিয়ান ইস্যু ইত্যাদি সবকিছুর জন্য জনগনকে প্রথমে যেতে হয় উখিয়া ইউনিয়ন ভুমি অফিসে। এখান থেকে রিপোট দেওয়ার পর কানুনগো সহ উপজেলা ভুমি অফিসের মাধ্যমে যাবতীয় কাজ চুডান্ত হয়।

তাই এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে এ অফিসে দ্বায়িত্ব পালনরত তহসিলদার ফিরোজ আহমেদ এলাকার জমিজমা সংত্র“ান্ত কাজে আসা জনগনকে একপ্রকার জিম্মি করে রেখেছে। অভিযোগ রয়েছে উখিয়া ইউনিয়ন ভূমি অফিসের তহলিদার ফিরোজ আহমদ সরাসরি অর্থ লেনদেনের সাথে জড়িত না হলেও সে তার নিয়োজিত একান্ত সহকারীর মাধ্যমে এখানে আসা সাধারণ জনগনের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। উখিয়া ভূমি অফিসে ত্র“য় কৃত জমির দাগ নং ঠিক আছে কিনা দেখতে আসা রাজাপালং এর এজাহার মিয়া, হদলিয়া পালং এর ইকরামুল হক ও কবির আহামদ অভিযোগ করে জানান, গত কয়েক মাস ধরে একটি দাগ নং ঠিক আছে কিনা দেখতে দিয়েছি তহসিলদার ফিরোজ আহামদের কাছে। তিনি জমি ভেজাল আছে, আরো দেখতে হবে বলে সময় ক্ষেপন করতে থাকেন। এভাবে দীর্ঘদিন আসা যাওয়ার এক পর্যায়ে অবশেষে তার একান্ত সহকারী দাবিদার হদলিয়ার রওশন আলীর সাথে কন্টাকের পর আমার কাজটা হয়েছে।

তবে তিনি কত টাকা দিয়ে কাজটা করেছেন তা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন। এমন অভিযোগ এখানে কাজে আসা রুমখার আমিনুল হক, রতœাপালং এর শামশুল আলম , কুতুপালং এর খোকন বড়–য়া সহ আরো অনেকের। সবার একই কথা এখানে টাকা ছাড়া কিছু হওয়াতো দুরের কথা ,কেউ কথাও বলেনা। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এখানে খাজনা প্রদান, নামজারি, খতিয়ান ইস্যু সহ বিভিন্ন কাজে আসা ব্যাক্তিটি সরাসরি ভূমি অফিসের সংশিষ্ট কর্মকর্তার কাছে গেলে তারা কাজটি না করে তাদের নিয়োজিত সহকারীর নিকট তা পাটিয়ে দেয়। পরিবর্তিতে তার বিশ্বস্ত সহযোগী কন্টাক করার পর কাজগুলো হয়ে থাকে।

এক্ষেত্রে সবকিছু ঠিকমত দেখার জন্য ভূমি অফিসের উক্ত কর্মকর্তা নিয়ম বর্হিভুতভাবে হলদিয়ার রওশন আলী সহ ২জনকে একান্ত সহকারী হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন। ঘুষ, অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে ভূমি অফিসের উক্ত কর্মকর্তার পাশাপাশি আজ এসব একান্ত সহকারীরা ও লাখ টাকার মালিক বনে গেছে। বিভিন্ন ভাবে নিয়ন্ত্রণ করছে উখিয়া ভূমি অফিস। এথচ বর্তমান সরকার ঘুষ দুর্নীতি মুক্ত অফিস,আদালত, প্রসাশন জনগনের সামনে উপহার দিতে প্রতিংগা বন্ধ। কিন্তু এসব দুর্নীতি মুক্ত হবে কবে এটাই এখন জনগনের প্রশ্ন ?।

এ ব্যাপারে উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অতিরিক্ত দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত টেকনাফ সহকারী কমিশনার (ভূমি) খোকন চন্দ্র সাহার সাথে যোগাযোগ করা তিনি বলেন, আমি সবেমাত্র অতিরিক্ত দ্বায়িত্ব হিসেবে উখিয়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তার পদে রয়েছি, তাই সবকিছু এখনো সেভাবে দেখতে পারিনি । আপনি পরে যোগাযোগ করুন । ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।