আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

যারা সঞ্চয়পত্রের মাধ্যমে সঞ্চয়ে আগ্রহী তারা পড়ে দেখতে পারেন।

গ্রাম-প্রকৃতি-সবুজ-সারল্য যেখানে মিলেমিশে একাকার, সেখানে ফিরে যেতে মন চায় বার বার। সূত্রঃ- আজকের দৈনিক জনকন্ঠ ১ জুলাইয়ের আগের সঞ্চয় পত্র থেকে যে উৎসে কর কর্তন করা হয়েছে পরবর্তী কিস্তিতে সেটা সমন্বয় হবে অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ পরিবার ও পেনশনার সঞ্চয়পত্র নিয়ে ধূম্রজাল দূর হচ্ছে না। গোটা প্রক্রিয়াতেই সৃষ্টি হয়েছে একটি ধোঁয়াশা পরিস্থিতির। এ অবস্থায় বিভিন্ন সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগকারী গ্রাহকরা পড়েছেন হয়রানি ও দোটানায়। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে গিয়ে ঠেকেছে যেখানে খোদ জাতীয় সঞ্চয় পরিদফতরের নীতিনির্ধারণী সূত্রও দাবি করেছে, সাধারণ মানুষ সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে।

বিনিয়োগ করে ঠেকে গেছেন এমন গ্রাহকরা দাবি করছেন, এ সমস্যার দ্রুত নিরসন হওয়া দরকার। গ্রাহকরা অভিযোগ করে বলেছেন, সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ এখন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। কেননা গ্রাহকরা এতে একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্যই চুক্তিভিত্তিক বিনিয়োগ করেন। এটি দেশের রাষ্ট্রপতি কর্তৃক স্বীকৃত ও অপরিবর্তনীয়। সঞ্চয়পত্রের নির্দিষ্ট মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে এর ওপর নতুন কোন করারোপ কিংবা মুনাফার হার পরিবর্তনের নিয়ম নেই।

কিন্তু সরকার এ কাজটি প্রায় প্রতিবছরই করে যাচ্ছে। এতে করে সঞ্চয়পত্রের আগের সুযোগসুবিধা আর থাকছে না। যে কারণে সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগে মানুষ দিন দিন নিরাশ হচ্ছেন। জানা গেছে, চলতি ২০১১-১২ অর্থবছরের বাজেটে ঘোষিত নির্দেশনা অনুযায়ী ৩০ জুনের আগে যাঁরা বিভিন্ন ধরনের সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ করেছেন তাঁদের বিনিয়োগের বিপরীতে ওই সময়ের বিদ্যমান হারেই মুনাফাপ্রাপ্তির কথা রয়েছে। ১ জুলাই থেকে আরোপিত নতুন মুনাফা কিংবা সুদের হার তাঁদের ৰেত্রে প্রযোজ্য হওয়ার কথা নয়।

তবে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় জাতীয় সঞ্চয় পরিদফতরের স্থানীয় কার্যালয়গুলোতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সর্বত্র এ বিধান কার্যকর হচ্ছে না। নিয়ম না থাকলেও চলতি বছরের ১ জুলাইয়ের আগে অর্থাৎ গত অর্থবছরের ৩০ জুন পর্যন্ত যাঁরা পরিবার ও পেনশনার সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ করেছেন তাঁদের অর্জিত মুনাফা থেকেও উৎস্যে কর কাটা হচ্ছে। ওদিকে পরিবার ও পেনশনার সঞ্চয়পত্রের ওপর উৎস্যে কর নিয়ে সৃষ্ট জটিলতা দূরীকরণে সরকারের নীতিনির্ধারক পর্যায়ে দফায় দফায় আলোচনা চলছে। কিন্তু একাধিক আলোচনা থেকেও কার্যকর সুরাহা বের করতে পারেনি সরকার। তবে এ বিষয়ে জাতীয় সঞ্চয় পরিদফতর ও এনবিআরে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রবিবার দিনভর মিটিং শেষে একটি কার্যকর সমাধানের পথ খুঁজে পেয়েছে।

জাতীয় সঞ্চয় পরিদফতর সংশিস্নষ্ট সূত্র জানায়, সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগে মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে এবং সৃষ্ট জটিলতা নিরসনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এ লৰ্যে আজ কিংবা কাল দুই-একদিনের মধ্যেই বিভিন্ন গণমাধ্যমে বিজ্ঞাপন দিয়ে ভুল বোঝাবুঝির অবসান ঘটানো হবে। জানা গেছে, ১ জুলাইয়ের আগে যাঁরা পরিবার ও পেনশনার সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ করেছেন এবং মেয়াদপূর্তির আগেই যাঁদের অর্জিত মুনাফা থেকে ৫ শতাংশ হারে উৎস্যে কর কেটে নেয়া হয়েছে_ তাঁদের কেটে নেয়া টাকা ফেরত দেয়া হবে। এৰেত্রে পরের কিস্তিতে সেটি সমন্বয় করে নেয়া হবে। নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী যাঁরা গত অর্থবছরে ৩০ জুনের মধ্যে এক লাখ টাকার পরিবার সঞ্চয়পত্র কিনেছেন তাঁরা প্রতি মাসে ওই টাকা বিনিয়োগের বিপরীতে মুনাফা পাবেন ৯২০ টাকা।

তাঁদের কাছ থেকে কোন উৎস্যে কর কাটা হবে না। তবে এ বছর মুনাফার হার বাড়ানোর কারণে ১ জুলাই থেকে যাঁরা এক লাখ টাকার পরিবার সঞ্চয়পত্র কিনেছেন তাঁদের অর্জিত মুনাফার বিপরীতে ৫ শতাংশ হারে উৎস্যে কর কেটে নেয়া হবে। কিন্তু নতুন বিনিয়োগকারীরা উৎস্যে কর দেয়ার পরও প্রতিমাসে সামাজিক নিরাপত্তা প্রিমিয়ামসহ মুনাফা পাবেন ৯৬০ টাকা। উল্লেখ্য, গত অর্থবছরের শেষের দিন অর্থাৎ ৩০ জুন ২০১০ পর্যনত্ম পরিবার ও পেনশনার সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগের বিপরীতে প্রাপ্য মুনাফার হার ছিল করমুক্ত। তবে অন্য সঞ্চয়পত্রগুলোর মুনাফার বিপরীতে ১০ শতাংশ হারে উৎস্যে কর কর্তনের বিধান ছিল।

এ বছর সেটি কমিয়ে সব ধরনের সঞ্চয়পত্রের মুনাফার ওপর ৫ শতাংশ হারে উৎস্যে কর কর্তনের বিধান আরোপ করা হয়। এটি চলতি অর্থবছরের ১ জুলাই থেকে কার্যকর হচ্ছে। বর্তমানে পরিবার সঞ্চয়পত্রে সর্বোচ্চ সুদের হার ১২ দশমিক ৭ শতাংশ। পেনশনার সঞ্চয়পত্রে সুদের হার নির্ধারণ করা হয়েছে ১১ দশমিক ৮৭ শতাংশ। তবে মুনাফার ওপর ৫ শতাংশ উৎস্যে কর নির্ধারণ করা হয়েছে।

সরকারের দাবি, ক্ষুদ্র সঞ্চয়কারীদের স্বার্থের কথা বিবেচনা এবং মূল্যস্ফীতির চিন্তা করেই এবারের বাজেটে বিভিন্ন সঞ্চয়পত্রের সুদের হার পরিবর্তন করা হয়েছে। এ বিষয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত বলেছেন, স্বল্পমেয়াদে অর্থনীতির সার্বিক সুদের হার কাঠামোকে স্থিতিশীল ও বিনিয়োগবান্ধব করার লৰ্যে সঞ্চয়পত্রের সামঞ্জস্যপূর্ণ মুনাফার হার নির্ধারণ করে তার সঙ্গে সামাজিক নিরাপত্তা প্রিমিয়াম যোগ করে চূড়ান্ত মুনাফার হার নির্ধারণ করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।