আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সঞ্চয়পত্রের উপর সরকারের সাড়াশি আক্রমণ কেন?

গ্রাম-প্রকৃতি-সবুজ-সারল্য যেখানে মিলেমিশে একাকার, সেখানে ফিরে যেতে মন চায় বার বার।

সঞ্চয়ে উৎসাহী মানুষ সাধারণত তার কষ্টার্জিত অর্থ নিরাপদে সঞ্চয় করতে চায়। এক্ষেত্রে তারা প্রথমেই বেছে নেয় সঞ্চয়পত্রকে। একে তো সরকারী খাতে বিনিয়োগ তার উপর আকর্ষণীয় সুদের হার- দুটোর কারণেই আমরা আকৃষ্ট হই সঞ্চয়পত্রের দিকে। কিন্তু বর্তমান সরকার ২০১০-১১ অর্থ বছরের বাজেট পাস হওয়ার প্রাক্কালে অর্থবিল-২০১০ এ অনেকটা নির্দয়ভাবে এই সঞ্চয়পত্রের উপর সাড়াশি অভিযান চালিয়েছে।

সরকারের এই সাড়াশি অভিযানে সঞ্চয়পত্রের যে অঙ্গকর্তন হয়েছে তা হতাশ করেছে সাধারণ মানুষকে। যেমন প্রথমতঃ-এখন থেকে সঞ্চয়পত্র কিনতে জাতীয় পরিচয়পত্র দেখাতে হবে। দ্বিতীয়তঃ-পাঁচ বছর মেয়াদী বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্রের সুদের হারে সর্বোচ্চ ১২% থেকে কমিয়ে করা হয়েছে সর্বোচ্চ ১০.৫%। তৃতীয়তঃ-তিন বছর মেয়াদী (তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক) সঞ্চয়পত্রের সুদের হার সর্বোচ্চ ১১% থেকে কমিয়ে করা হয়েছে সর্বোচ্চ ১০%। চতৃর্থতঃ-পাঁচ বছর মেয়াদী পেনশনার সঞ্চয়পত্রের (তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক) সুদের হার সর্বোচ্চ ১২% থেকে কমিয়ে সর্বোচ্চ ১১% করা হয়েছে।

পঞ্চমতঃ-এর আগে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত মুনাফা বা সুদের উপর উৎসে আয়কর প্রযোজ্য ছিলনা। এবারের বাজেটে সেই সীমা সংক্রান্ত বিধান প্রত্যাহার করা হয়েছে। ষষ্টতঃ-এখন থেকে এক নামে সর্বোচ্চ ৩০ লাখ এবং যৌথ নামে ৬০ লাখ টাকা পর্যন্ত সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ করা যাবে। এর আগে তা ছিল ৫০ লাখ ১ কোটি টাকা। সপ্তমতঃ-এর আগে সঞ্চয়পত্রের মুনাফা ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা হলে তবেই সেই মুনাফা থেকে ১০% আয়কর কেটে নেয়া হতো।

এখন থেকে যে কোন অংকের সুদ বা মুনাফা থেকে ১০% হারে মুনাফা কেটে নেয়া হবে। সদ্য চালু হওয়া পরিবার সঞ্চয়পত্রের বেলায়ও এটা প্রযোজ্য। আরও উল্লেখ্য যে ব্যক্তি/শ্রেণীর করসীমা অনুযায়ী সঞ্চয়পত্র থেকে কারও আয় যদি ৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকার উপরে হয় তবে তাকে ২৫% হারে আয়কর প্রদান করতে হবে। অষ্টমতঃ-এই বিধান ১ জুলাই ২০১০ থেকে কার্যকর হবে। জুন, ২০১০ পর্যন্ত মেয়াদ উত্তীর্ণ কোন সঞ্চয়পত্র যদি জুলাই ২০১০ এর পরে ভাঙানো হয় তবে সেই সঞ্চয়পত্রের মুনাফা প্রদানের বেলায় এই বিধান কার্যকর হবে।

তবে আগের মতই মহিলাদের ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করমুক্ত। তবে সার্বিক হিসাবে আপাত দৃষ্টিতে মনে হয় নিরাপদ সঞ্চয়কে নিরুৎসাহিত করাই সরকারের মূখ্য উদ্দেশ্য। অথচ এই সেদিন সরকার সাধারণ ও ুদ্র পরিসরে সঞ্চয়কে উৎসাহিত করার জন্য পূর্ণ বয়স্ক মহিলাদের জন্য চালু করেছে পারিবারিক সঞ্চয়পত্র। সরকারের এই দ্বিমুখী নীতি সঞ্চয় উৎসাহী সাধারণ মানুষের মনে যথেষ্ট অসন্তোষ সৃষ্টি করেছে।



এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।