আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অমানুষের বাংলাদেশ

I believe, "জীবে প্রেম করে যেই জন, সেই জন সেবিছে ঈশ্বর"। এতগুলো উঠতি বয়সের ছেলেকে এভাবে কোন মানুষের বাচ্চারা পিটিয়ে মেরে ফেলতে পারে না। যদি তারা নেশাখোর, চোর, ডাকাতও হত তবুও না। আমাদের দেশের মানুষগুলোর মানবিকতা একেতারে শূণ্যের কোঠায় গিয়ে ঠেঁকেছে। এ দেশের মানুষের না আছে সততা, না আছে অন্যের প্রতি অনুভূতি।

এই অল্পবয়সের ছেলেদের মেরে ফেলার আগে কি কারও মনে হয়নি যে একবারের জন্য হলেও এদের কারও একটু কথা শুনি, এদের পরিচয় জানি। দেশটা জানোয়ারে জানোয়ারে ভরে গেছে। কমনসেন্স এর লেভেল এত নিচে নেমে গেছে যে নিজের কাছেই ঘেন্না লাগে। আপনারা কেউ কি কখনও দেখেছেন রাস্তার পকেটমারকে অথবা ছিনকারীকে গনধোলাই দিতে? কিভাবে রাস্তার সাধারণ মানুষগুলো হিংস্র হাঁয়েনার মত জানোয়ার হয়ে ওঠে? পকেটমার অথবা ছিনকারীর সারা শরীর রক্ত ভরে গেলেও কারও মনে দয়ার ভাব উদয় হয় না। মার চলতেই খাকে।

আমার মত গননার বাইরের মানুষ খুব কমই আছে যারা গায়ে হাত তোলে না বা তুলতে পারে না। বিবেক নামক উদ্ভট জিনিসটা বাধা দেয়। জানান দেয় যে কারও গায়ে হাত তোলার অধিকার আমার ধর্ম, রাষ্ট্র আমাকে দেয়নি। কোনভাবে কারও মোবাইল, টাকা বা যেকোন মূল্যবান জিনিস রাস্তাঘাটে হারিয়ে যাওয়া মানে একেবারেই যাওয়া। এরকম উদাহরণ খুব কমই আছে যে কেউ একজন পেয়ে আবার ফিরিয়ে দিয়েছে।

কম আছে বলেই কেউ তার হারানো জিনিস ফেরত পেলে সেটা একটা আনকমন গল্প হয়ে যায়। তার মানে কি এদেশের রাস্তায় আপনার আমার মত চলাচল করা বেশীরভাগ মানুষরাই অসত? আমার কাছে এর উত্তর হল "হ্যাঁ"। যেকোন এলাকায় পাশের জমির কিছু অংশ নিজের মধ্যে নিয়ে নেয়া এবং সেটা নিয়ে অন্যায় যুক্তি দাঁড় করানো খুবই কমন একটা বিষয়। হারাম খাওয়া রীতিমত অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। সরকারী অফিস, থানা.................টাকা ছাড়া কাজ করতে মানা।

১০০ জনের মধ্যে কয়জন পাবেন যে ঘুষ খায় না? কোন কোন জায়গায় গিয়ে একজনও পাবেন না। আম, কাঁঠাল সব থাদ্যে ভেজাল। শিশুদের জন্য তৈরী খাদ্য তাও ভেজালে ভরপুর। কোথায় গিয়ে ঠেকেছে মানবতা!! এদেশে ব্যবসায়ীদের লাভের কোন সীমা-পরিসীমা নাই। যে যার মত ধান্ধা করে পকেট ভরতে মরিয়া।

এজন্য যেকোন কিছু করতে সেটা যত অন্যায়ই হোক না কেন বিবেক বাধা দেয় না। বিবেক থাকলেত বাধা দিবে। আমরা হলাম বিবেক ছাড়া জাতি। এত বছর যাবত এত রোড এক্সিডেন্ট, কিন্তু আজ পর্যন্ত কি কোন পদক্ষেপ আছে এগুলো কমানোর? কোন পদক্ষেপ ভবিষ্যতেও খাকবে না। কারন যে তার প্রিয়জন হারায় সেই বোঝে কষ্টটা।

যাদের পদক্ষেপ নেয়ার কথা তাদের কেউ রোড এক্সিডেন্টে মারা যায় না, তাই তারা বোঝেও না। এই দেশের মানুষের জন্য ছোট বয়স থেকেই বাধ্যতামূলক নৈতিক ও মানবিকবোধ জাগ্রত করার শিক্ষা দেয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। জানি তাতেও লাভ হবে না। কারণ দেশটা পুরোপুরিই নষ্ট হয়ে গেছে। আর এদেশে যখন যারাই আমাদের শাসন করে তাদের মধ্যেইত নৈকিতকা, মানবতা বিষয়গুলো নাই।

যারা শিখাবেন তাদের মধ্যেও নাই। তবু একটু শান্তনা যদি আমাদের মত এত এত অমানুষের ভীরে একজনও মানুষ হয়ে উঠতে পারে !। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.