আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ভিকারুন্নিসার ঘটনার প্রেক্ষাপটে কিছু প্রস্তাবনাঃএটি একটি জরিপ,আপনার মতামত দিন

আমিও বাধ ভাংতে চাই... শিক্ষাব্যবস্থা মনে হয় আমাদের দেশের সবচেয়ে অস্থিতিশীল একটি ক্ষেত্র। প্রতি বছরই কিছু না কিছু মৌলিক পরিবর্তন হচ্ছে। সে যাই হোক, যা রয়ে যাচ্ছে তা-ই একটা শিক্ষাব্যবস্থা কে ধংস করার জন্য যথেষ্ঠ। আমি আমার সমগোত্রীয় কয়েকজন অর্থাৎ শিক্ষকের পরামর্শক্রমে এই জরিপের কাজ শুরু করছি। প্রস্তাবনা গুলো নিচে দেয়া হল, ব্র্যকেটে কিছু ব্যাখ্যা সহ।

দয়া করে আপনার মতামত দিন। কোন সংশোধনীথাকলে ক্রমিক উল্লেখ করে তারপর বলুন। ১। সকল সরকারী,বেসরকারি এবং ইংলিশ মিডিয়াম শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিক্ষক শিক্ষিকাদের জন্য প্রাইভেট কোচিং করানো নিষিদ্ধ করা হোক। বিকল্প হিসেবে স্কুল টাইমের পরে স্কুলেই ফুল টাইম টীচিং শুরু হবে যার জন্য একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ ছাত্রছাত্রী আবেদন করতে হবে।

এজন্য তারা যে পৃথক বেতন দেবে তার ৬০-৭০ ভাগ সংশ্লিষ্ট শিক্ষক পাবেন (এক্ষেত্রে তিনি কোন বাসা ভাড়া করতে হবে না বিধায় শিক্ষকের জন্যও সুবিধাজনক হবে। আর অভিভাবকরাও পয়সা দিতে দ্বিধা করবেন না কারণ বাচ্চাদের যাতায়াতের খরচ ও ঝুঁকি দুটোই কমে যাবে। ) ২। আগামী ৫ বছরের মধ্যে সকল সরকারী,বেসরকারি এবং ইংলিশ মিডিয়াম শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছেলে ও মেয়েদের জন্য পৃথক শিফট থাকবে এবং ছাত্ররা শুধুমাত্র পুরুষ শিক্ষক এবং ছাত্রীরা শুধুমাত্র শিক্ষিকাদের তত্ত্বাবধানে থাকবে। (নারী স্বাধীনতা তো এটাই সমর্থন করে যে আমরা আমাদের নিজস্ব পরিবেশে ই বড় হব।

যেহেতু পুরুষ ও মহিলাদের চিন্তা,কর্ম ও অনুভূতির প্রকাশ ভিন্ন সুতরাং ছোটবেলা থেকেই এ ব্যপারে পূর্ণ স্বাধীনতা দেয়া উচিত। আর একটা ব্যপার হল মেয়েরা যে হারে উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হচ্ছে সে হারে কর্মক্ষেত্রে আসছে না। যার ফলে জাতীয়ভাবে একটি পটেনশিয়াল ডিফারেন্স তৈরী হচ্ছে। এই ব্যবস্থায় সেই শিক্ষিত মেয়েদেরকে কাজে লাগানো যাবে যেহেতু তাঁদের স্কুলে বাচ্চা দেখাশুনা ইত্যাদির ব্যবস্থা করা হবে)। ৩।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গভর্ণিং বডিতে একাধিক ছাত্র/ছাত্রী প্রতিনিধি থাকতে হবে যাদের ভেটো প্রদানের ক্ষমতা থাকবে। এদেরকে সাংবাৎসরিক রেজাল্টের ভিত্তিতে বাছাই করা হবে। ৪। প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে একটি স্টুডেন্ট কাউন্সিল থাকবে যাতে প্রতি ক্লাসের প্রতিনিধি থাকবে। কাউন্সিল মাসে অন্তত একটি সিটিং করবে এবং সকল সমস্যা লিপিবদ্ধ করবে।

এই সমস্যাগুলো গভর্ণিং বডিতে আলোচনা হবে। জেলার অন্তর্গত সকল স্টুডেন্ট কাউন্সিল এর প্রেসিডেন্টকে নিয়ে জেলা প্রশাসক ৬ মাসে একটি মিটিং করবেন এবং এর অগ্রগতির ব্যপারে নির্দেশনা দিবেন। .............................................................................................. আপাতত এটুকুই। আমরা এটা নিয়ে আরো এগোতে চাই। আপনাদের মতামতগুলো আমাদেরকে সাহায্য করবে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।