আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কৃষ্ণের লীলাখেলা, পরি-মলে(?)র বে-লীলা, হোসনে আরার মিউচুয়ালিটি এবং রাশেদ খান মেনন-দের ন্যাড়া(বাম)হাতের কীত্তন! এভাবে আর কত দিন ???

আমি কোন সু-শীল(?) সমাজের সদস্য নই। তবে এক হতভাগা যে কিনা আমার এক ছোট ভাইয়ের প্রশ্নে থমকে গিয়েছিলাম । আমার তৃতীয় শ্রেণী পড়ুয়া ছোট ভাই আমাকে প্রশ্ন করেছিল ধর্ষক অর্থ কি ? কারোও হয়তো বুঝতে অসুবিধা হবে না এই প্রশ্নের উৎসমূল প্রসঙ্গে। কিছুক্ষণের জন্য আমি খেই হারিয়ে ফেলেছিলাম তার এই প্রশ্ন শুনে। হ্যা আমি বলছি সেই পরিমলের কথা।

যে কিনা নিজের নামের শেষাংশের (মল) যথেষ্ট সদ্ব্যবহার করেছেন। সেই সব মানুষরুপী পশুর জন্য বিপর্যস্ত আজ আমাদের সমাজব্যবস্থা। আর এ ধরনের ব্যক্তিরা পাচ্ছে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ ব্যক্তিদের কাছ থেকে আশ্রয়-প্রশ্রয়। অপকর্মের সাথে জড়িত হলেও, এই পরিমল পেয়েছে ওপর মহল থেকে পৃষ্ঠপোষকতা পেয়েছে। শুধুমাত্র বর্তমান ক্ষমতাসীন দলের ছাত্ররাজনীতির সঙ্গে একসময় যুক্ত থাকার কারণে।

‘ছাত্রীর শ্লীলতাহানি করলেন ভিকারুননিসা নূন স্কুলের শিক্ষক’ শিরোনামে ভিকারুননিসা নূন স্কুলের বসুন্ধরা শাখার বাংলার শিক্ষক পরিমল জয়ধরের ছাত্রী ধর্ষণের খবরটি প্রথম প্রকাশ পায় ২ জুলাই নয়া দিগন্তে। যদিও ঘটনাটির সূত্রপাত মে মাসের প্রথম দিকে। এই পরিমল কোচিং করানোর নামে একটি বাসায় নিয়ে ছাত্রীটির শ্লীলতাহানি করে এবং সে দৃশ্য মোবাইলের ক্যামেরায় ধারণ করে। ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে একদিন নয়, একাধিক দিন ছাত্রীটিকে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনে বাধ্য করে। মোবাইল ক্যমেরায় দৃশ্য ধারণ তারপর কিনা ইন্টারনেটে ছেড়ে দেয়ার হুমকি, কি সুন্দর ডিজিটালাইড ব্যবহার(!), সত্যিই ক্ষমতাসীন দল ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষে একধাপ এগিয়ে গেল।

পরবর্তী সময়ে ছাত্রীর পক্ষ থেকে স্কুল কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবহিত করা হয়। লিখিতভাবে তাদের জানানো হয়। কিন্তু সেই শিক্ষকের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি স্কুল কর্তৃপক্ষ। কারণ তার মদদদাতা স্কুলের গভর্নিং বডির সভাপতি ন্যাড়া হাতের রাশেদ খান মেনন যে হাতুড়ি কাস্তে নিয়ে কফিনে শেষ পেরেক মারার অপেক্ষায় এবং প্রধানমন্ত্রীর বান্ধবী স্কুলের অধ্যক্ষা হোসনে আরা যে Mutual Stimulating তত্ত্বের প্রবক্তা। বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠা অভিভাবক এবং শিক্ষার্থীরা যখন প্রতিবাদ বিক্ষোভ করেন তখনো স্কুলটির অধ্যক্ষ শাখা স্কুলটিতে যাননি।

শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা যখন আন্দোলন করেছেন, তখন শিক্ষার্থীদের কঠোরভাবে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন অধ্যক্ষ। অবশেষে শিক্ষার্থীর বাবা থানায় মামলা দায়ের করেন। নারী ও শিশু নির্যাতনের এই মামলায় আসামি করা হয় পরিমল জয়ধর, বসুন্ধরা শাখার প্রধান শিক্ষক লুৎফর রহমান ও ভিকারুননিসা নূন স্কুলের অধ্যক্ষ হোসনে আরা বেগমকে। কিন্তু অদ্ভুত ব্যাপার হচ্ছে, এ ধরনের মামলার আসামিদের দ্রুত গ্রেফতার করা হলেও এখন পর্যন্ত দুই আসামিকে গ্রেফতার করা হয়নি। হোসনে আরার বিরুদ্ধে অভিযোগ- তিনি অধ্যক্ষা হিসেবে যোগ দেয়ার পর থেকে প্রধানমন্ত্রীর বান্ধবী পরিচয় দিয়ে দাপট দেখিয়ে চলছেন।

তাকে ২০১০ সালে রাজনৈতিক বিবেচনায় আজিমপুর গার্লস স্কুল থেকে দুই বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেয়া হয়েছিল। তার বিরুদ্ধে আইন প্রয়োগের যে চিত্র আমরা দেখছি তাতে প্রমাণ হয় তিনি যথেষ্ট ক্ষমতাবান। আর রাশেদ খান মেনন – এর কথা নাই বললাম। তিনি কোন মাপকাঠিতে নিয়োগ দিয়েছিলেন পরিমল জয়ধরকে। শুধূ গোপালগঞ্জের অধিবাসী এবং ছাত্রলীগের এক সময়কার সদস্য এই কারণে ? (বিশেষ জেলা, বিশেষ সম্প্রদায় আর বিশেষ রাজনৈতিক মতাদর্শ।

) মেধা-যোগ্যতা বিবেচনা না করে এই শিক্ষকদের যদি নিয়োগ দেয়া না হতো, তাহলে ভিকারুননিসা স্কুলে এ ধরনের ঘটনা ঘটত না। সেলুকাস ! এবার আসি মুন্নি সাহার কথায়। ATN বাংলার এক অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলনকে যে কিনা বললেন সরকারী দলকে চাপে ফেলার অপকৌশল হিসেবে। এভাবে আর কতদিন তা আমরা জানি না। তবে গোপালগঞ্জের সেই সোনার সন্তানদের জন্য আর আমরা সোনার বাংলাকে বিপর্যস্ত করতে পারি না।

আজ আন্দোলনের দরকার নরপশুদের বলি দেয়ার নিমিত্তে । ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।