আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কৃষ্ণের লীলা খেলা...

সুন্দরের কাছেই সব দায় ভার

"কৃষ্ণ করলে লীলা খেলা আমরা করলে দোষ" একথা শুনেনি বা বলেনি এমন বাঙালি বাক রসিক পাওয়া হয়ত বা একেবারেই দুঃসাধ্য। আমরা সব সময়ই কোন না কৃষ্ণার আওতায় থাকিই। এই কৃষ্ণদের স্ব-গর্ব বিচরন সর্বত্র-যেমন ঘরে বাইরে, কর্মে-ধর্মে এমন কি এসব কৃষ্ণরা তাদের লীলা খেলা দেখানোর জন্য মনের ভিতরও বিচরন করে। ফলে কখনো কখনো কৃষ্ণদের ভয়ে হৃদপিন্ডের রঙও হয়তো বা কৃষ্ণ (কালো)হয়ে যায়। তবে আমাদের নমঃষ্স এই সব কৃষ্ণদের পুরো কায়া জুড়ে যে মায়া আছে তা কেবল মাত্র সকলকে কৃষ্ণ (বড়ওয়ালা)শ্রেনীর বাহিরে রাখার মায়া।

এই মায়া কম বেশি যাই থাকুক বা না থাকুক সফেদ রঙের কোন বৈশিষ্টই এদের রঙিন করেনা। সে জন্যে চাঁদ দিনে উঠুক বা রাত্রে কৃষ্ণ যখন চাঁদ উঠাবেন ঠিক তখনই চাঁদ থাকবে। এটাকে মন্দ বলার যুক্তিতো নেইই আর কোন সাহসেরও সাহস নেই চাঁদের সময় নির্ধারন করার। চাঁদের এ দিনে-রাতে উঠার মাজেজা হলো লীলা খেলা। যা আপনি আমার পক্ষে বুঝা একেবারেই অ-সম্ভব।

আর এই লীলা বুঝার চেষ্ঠা করলে জ্ঞান পাপে পড়ে আপনি হবেন আ-জীবন মূর্খ। আর কৃষ্ণের দরবারে একবার মূর্খ-মন্ত্রে বশিবত হলে যতই জ্ঞান কুঁড়িয়ে বেঁড়ান না কেন সারা জিবন আপনার জ্ঞান আপনার কোন কাজেই লাগবে না। বেঁচে থাকবেন কিন্তু মেরুদন্ড থাকবেনা। মানুষ থাকবেন কিন্তু হাত পায়ের ধর্মানুযায়ী বিচরন করতে পারবেন না। শুধু গোলাকার বল বা নৌকার মত নদী-নালা, খাল-বিলে কৃষ্ণের ইচ্ছানুযায়ী ঘুরে বেড়াবেন।

নিজের অনিচ্ছায় এবং অন্যের ইচ্ছায় ঘুরে বেড়ানো ভাল না লাগলেও আপনার-আমার ঘাড়ে কৃষ্ণের লীলা খেলার খরগ গরুর কাঁধের জোয়ারের মত লেগে থাকবেই। .....

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ২০ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।