আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হোসনে আরা কি বলতাছে এসব দেখুনতো !!!!! ভর্তি বাণিজ্য বন্ধই ষড়যন্ত্রের কারণ

বন্যপ্রাণীদের বাঁচান, পরিবেশ রক্ষা করুন পরিমল জয়ধরকে 'রক্ষার' চেষ্টাসহ সব অভিযোগ অস্বীকার করে ভিকারুননিসা নূন স্কুল ও কলেজের অধ্যক্ষ হোসনে আরা বেগম বলেছেন, 'ভর্তি বাণিজ্য' বন্ধ করায় একটি মহল তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। হোসনে আরার দাবি, ধর্ষণ মামলার আসামি শিক্ষক পরিমলের বিরুদ্ধে 'যথাসময়ে' ব্যবস্থা নেওয়া হলেও এ বিষয়ে তাকে জড়িয়ে 'অপপ্রচার' চালানো হচ্ছে। ভিকারুননিসা নূন স্কুলের বসুন্ধরা শাখার এক ছাত্রীর অভিভাবক গত ৫ জুলাই বাংলার শিক্ষক পরিমল জয়ধরের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে দেশের নামকরা এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এরপর অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা পরিমলের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে আন্দোলনে নামে।

গত ৬ জুলাই পরিমলকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং তিনি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দেন। পরিমল জয়ধরকে স্কুল থেকে বরখাস্ত করা হলেও তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বিলম্বের অভিযোগে অধ্যক্ষের অপসারণ দাবি করেন অভিভাবকদের একটি অংশ। উৎকণ্ঠা আর অনিশ্চয়তার মধ্যে গত শনিবার থেকে শিক্ষা কার্যক্রম অচল হয়ে পড়ে ভিকারুননিসায়। অধ্যক্ষের অপসারণের দাবিতে বৃহস্পতিবারও আন্দোলন হয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটিতে। ক্লাস বর্জন করে বিক্ষোভ করেছে স্কুল ও কলেজ শাখার শিক্ষার্থীরা।

অধ্যক্ষ হোসনে আরা বেগম মনে করেন, এই আন্দোলনের পেছনেও একটি গোষ্ঠীর ইন্ধন রয়েছে। বৃহস্পতিবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, "প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্টদের ধারণা, আমি এখানে যোগ দেওয়ার পর প্রথম শ্রেণীতে লটারির মাধ্যমে ভর্তি চালু করায় এ প্রতিষ্ঠানকে ঘিরে বিপুল অর্থের ভর্তি বাণিজ্য বন্ধ হয়ে যায়। " ভিকারুননিসাসহ দেশের বেশ কয়েকটি 'নামকরা' স্কুলের বিরুদ্ধে বিগত সময়ে ভর্তি নিয়ে 'কোচিং বাণিজ্যের' অভিযোগ গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। ২০১০ সালের জুনে ভিকারুননিসায় যোগ দেওয়ার পর প্রথাগত ভর্তি পদ্ধতিতে পরিবর্তন আনেন হোসনে আরা বেগম। গত জানুয়ারি থেকে ভর্তি পরীক্ষার ব্যবস্থা বাতিল করে প্রথম শ্রেণীতে লটারির মাধ্যমে ভর্তি কার্যক্রম চালু করা হয়।

হোসনে আরা বলেন, "সচেতন মহল মনে করেন, পরিমল জয়ধরের ঘৃণ্য ও নিকৃষ্ট ঘটনাটিকে পুঁজি করে এবং জনমনের সংবেদনশীলতাকে ব্যবহার করে ওইসব স্বার্থান্বেষী মহল সম্পূর্ণ অযৌক্তিকভাবে আমাকে অপসারণের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। " এরইমধ্যে প্রতিষ্ঠানটির ১০ সদস্যের পরিচালনা পর্ষদের পাঁচজন সভা করে হোসনে আরাকে অপসারণের সিদ্ধান্ত নেয় বুধবার। ওইদিন সকালে স্কুলের বেইলি রোডের মূল ক্যাম্পাসে অধ্যক্ষের চেয়ারে বসেন জ্যেষ্ঠ শিক্ষক আম্বিয়া খাতুন। তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানায় শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। এমন এক সময়ে এই সভা করা হয় যখন পরিচালনা পর্যদের সভাপতি স্থানীয় সংসদ সদস্য রাশেদ খান মেনন দেশের বাইরে রয়েছেন।

ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ডা. দিলীপ রায়ও বলেছেন, অধ্যক্ষ পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত পর্ষদের নয়। বুধবার সন্ধ্যায় মেয়াদোত্তীর্ণ ওই পর্ষদ ভেঙে দিয়ে একটি অ্যাডহক কমিটি করে দেয় ঢাকা শিক্ষা বোর্ড কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার দুপুরে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ সাংবাদিকদের বলেন, "আইনত হোসনে আরা বেগমই এখনো অধ্যক্ষ। " পরিচালনা পর্ষদের একাংশের নেওয়া পদক্ষেপের বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, "ওই পর্ষদের মেয়াদ অনেক আগেই ফুরিয়ে গেছে। নতুন অ্যাডহক কমিটি গঠন করা হয়েছে।

তারাই এ সমস্যার সমাধান করবে। " বিলুপ্ত পরিচালনা পর্ষদের যে কয়েকজন সদস্য বৈঠক করে অধ্যক্ষ অপসারণের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, তাদের মধ্যে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সহকারী একান্ত সচিব জাকিরুল ইসলামও ছিলেন বলে জানা গেছে। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, "শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শোক কর্মসূচি চলাকালে ভিকারুননিসা স্কুল অ্যাড কলেজের মেয়েদের সামনে দুটো কেক হাজির হয়ে গেলো- এ থেকেই বোঝা যায়, কেউ কেউ সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করছিলো। " এদিকে বাংলার শিক্ষক পরিমল জয়ধরের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, গত মে ও জুন মাসে স্কুলের বাইরে একটি কোচিং সেন্টারে পরিমল জয়ধর ভিকারুননিসার এক ছাত্রীর ওপর যৌন নিপীড়ন চালান। ওই মামলার তিন আসামির মধ্যে অধ্যক্ষ হোসনে আরার নামও রয়েছে।

হোসনে আরার বিরুদ্ধে অভিযোগে বলা হয়েছে, মেয়েটির পরিবারের পক্ষ থেকে ২৭ জুন বিষয়টি তাকে (অধ্যক্ষ) অবহিত করা হয়। এরপর তিনি আলামত নষ্ট করার কাজে নিয়োজিত থাকেন এবং ওই ছাত্রীর পরিবারকে হুমকি দেন। পরিমল জয়ধরের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য স্কুলের দশম শ্রেণীর ৪০ জন ছাত্রী গত ২৮ জুন অধ্যক্ষ বরাবর আবেদন করেন। এরপর ৪ জুলাই ভুক্তভোগি মেয়েটির পক্ষ থেকে নির্যাতনের বিষয়টি লিখিতভাবে অধ্যক্ষকে অবহিত করা হয়। হোসনে আরা বেগম বলেন, "অভিযোগ পাওয়ার পরপরই ২৮ জুন ওই শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

এরপর ৫ জুলাই গভর্নিং বডির সভা ডেকে তাকে চূড়ান্তভাবে বরখাস্ত করা হয়। ওইদিনই পরিমলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য থানায় আবেদন করা হয়। " আলামত নষ্টের অভিযোগ প্রসঙ্গে হোসনে আরা বলেন, "দুটি ঘটনা ঘটার বেশ কিছুদিন পর আমাকে জানানো হয়েছে। এতোদিন পরে আমি আলামত নষ্ট করবো কীভাবে। আর আমার কাছে অভিযোগ আসার সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

" Click This Link  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.