আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

গত কাল রাতের ডায়েরিঃ নিজেদের রান্না,টাইট খানাপিনা আর ভুতের সাথে কাটানো horror night

I deem them mad because they think my days have a price... ঘটনাটার শুরু ঠিক এভাবেই- "চাচীর হাতের রান্না খাইতে খাইতে তো গালে পছন ধইরা গেল রে, এখন অবস্থা এমন যে চাইনিজ খাইলেও লাগে পান্তাভাত আর আলুভর্তা খাইতেছি"--আমার বন্ধু মিরাজের গত তিন বছরের একমাত্র ও নিয়মিত আক্ষেপ। আমরা একসাথে আছি ভার্সিটির প্রথম থেকেই। সব মিলিয়ে মোট চারজন। অধিকাংশ ব্যাপারে আমাদের চারজনের মত না মিললেও চাচির রান্নার ব্যাপারে আমরা সবাই একপায়ে খাড়া হয়ে একমত হই। আশিক বলল চল আজকে নিজেরা রান্না করি।

কইতে দেরি আমরা প্যান্টটা পইড়া বাজারে দৌড়াইতে দেরি হয়নাই। মহাউৎসাহে বাজার থেইকা পোলাও মুরগী ডিম আরও হাবিজাবি কিনা আনলাম। এরপরে রান্না করতে গিয়া একজনের হাতে গরম ডেকচির ছ্যাঁক লাগে তো আরেকজন রে পেঁয়াজ কাটতে দিয়া অন্যজনেরই পাশে দাঁড়াইয়া থাকতে হয় টিস্যু দিয়া চোখ মুইছা দেওয়ার জন্য। হায়রে কপাল!!!(বাপ মায় যে কবে বিয়া করাইব আর কবে যে বৌ রাইন্দা খাওয়াইব আল্লাই জানে) রান্না শেষ হইছে। অবশ্য সে এক বিরাট ইতিহাস।

আমাদের মধ্যে নয়ন বেচারিই একটু রান্তে জানে তাও খালি ডিম ভুনা। ওরে জিগাইলাম ডিমের না হইলে একটা বেবস্থা হইল কিন্তু মাংস করবি কি??ওই দেখি চেইতা গেল। আমারে কয় ব্যাটা বেকুব দুনিয়ার সব রান্ধন তো ডিম ভুনা দিয়াই শুরু অয়। ডিম যেমতে যেমতে ভুনা করে মাংসও একই রকম। রান্ধনের সময় খালি ডিমের জায়গায় মাংস মনে কইরা নিবি।

মনে মনে কইলাম এইটা কি ব্যাটা ম্যাথের কোর্স পাইছস যে এক থিওরি দিয়া দুনিয়ার সব অঙ্ক কইসা দিবি?? রান্না শেষে দেখা গেল চারজনের মধ্যে সবাই কমবেশি বিধ্বস্ত। এর মধ্যে আমার আবার আইজকা হরর মুভি দেখার লাইগা পরানে কান্তাচে। দিলাম ডাউনলোড। imdb মামুরে খুইজা দেইখা দেখলাম গত কয়েক বছরের মধ্যে rec টার রেটিং ভালোই। সবাই মিইলা ঠিক করলাম ভাত খাইয়া রাইত বারোটার দিকে মুভিটা দেখতে বমু।

খাইতে বইয়া দেখলাম মাংসে লবন হয় নাই। নয়ন কইল লবন আইনা ডেকচির মধ্যে ডাইলা দে এরপর চামচ দিয়া নাইরা দে। দেখবি সব চেপা কেরকেরা হইয়া গেছে। লবন দিলাম , খাইয়া দেখলাম আসলেই সব ছেপা কেরকেরা হইয়া গেছে। যাই হোক সব মিইল্লা খানা খুব একটা অসুবিধার হয় নাই,যদিও মাঝে মইদ্ধ্যে গলা দিয়া নামতে চায় নাই।

মুভি দেখতে বইয়াই গেল কারেন্ট। না এই কারেন্টটার আর হিউমার অভ সেন্স গজাইলনা। এমনেই দেখতাচি হরর, তার উপর কারেন্ট নাই। মুভির প্রথম ২০ মিনিট ভালোই যাইতেছিল কিন্তু পরের ৫০ মিনিট যে ক্যামনে গেছে ওইটা খালি আল্লা না আমাগো মেসের বড় ভাইরাও জানে। এক এক টা হরর সিন আহে আর আমাগো চারজনের কার রেসিং এর মত চিক্কুর পারার রেসিং শুরু হয়।

আর পাশের রুমের মনির ভাই আইসা কইয়া যায় ওই মিয়া তোমাগো জালায় তো দেহি মেস ছাইড়া রাস্তায় স্ট্রীটল্যাম্পের নীচে ঘুমান লাগব। যেমনে চিল্লাচিল্লি করতেছ পাশের বাড়ীর লোকজন তো ডাকাত আইছে মনে কইরা পুলিসে খবর দিব। মুভি দেইখা আসলেই ভয় পাইচিলাম। ভুতের আর সাইকো মুভি দেইখা মনে হইতাছিল মুভি শেষেও ভূত খাটের নিচে আর বারান্দায় ঘুরাঘুরি করতাচিল। কি আর করা।

মুভিশেষে কারেন্টহীন অবস্থায় মুভি(তাও হরর) দেখানোর লাগি বাকি তিন জনের থেইকা ফ্রি ফ্রি ঝাড়ি খাইলাম কয়েকহালি। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।