আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ছাত্রীকে যৌন হয়রানির কারণে আখাউড়ায় শিক্ষক গ্রেপ্তারৎ অভিভাবকের মতো শিক্ষকের কাছেই যদি মেয়েরা নিরাপদ না থাকে তা হলে আমরা কোথায় যাব?

এই পৃথীবি আর ভাল লাগেনা চল আমরা চাঁদের দেশে চলে যাই ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় ষষ্ঠ শ্রেণীর এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানির কারণে পৌরশহরের দেবগ্রাম পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের শিড়্গক মো. সামছুল ইসলামকে (৩৬) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রোববার বিকেল চারটার দিকে নিজ বিদ্যালয় থেকে প্রথমে পুলিশ তাকে আটক করে। সন্ধ্যায় এই বিষয়ে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা হলে এই মামলায় ওই শিক্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়। হয়রানির শিকার ওই ছাত্রীর মা বাদি হয়ে মামলাটি করেছেন। থানার পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ২৯ জুন বুধবার বিকেল তিনটায় শ্রেণী কক্ষে পড়ানোর সময় অভিযুক্ত শিক্ষক পিছনের বেঞ্চে বসা ওই ছাত্রীর বেঞ্চে বসে।

তাকে আরো দুইজন ছাত্রীর মাঝ খান থেকে টেনে এনে ওই শিক্ষক তাঁর পাশে বসায়। এক পর্যায়ে ওই ছাত্রীর শরীরের বিভিন্ন স্থানে হাত দেয়। লজ্জায় ওই ছাত্রী কান্না করতে করতে পাঠদান চলা অবস্থায় শ্রেণী কক্ষ থেকে বেড়িয়ে যায়। বাড়ি গিয়ে বিষয়টি তার মাকে বললে ওই ছাত্রীর মা তাৎক্ষনিক তাঁর মেয়েকে নিয়ে বিদ্যালয়ে আসেন। প্রধান শিক্ষকের কাছে এই ঘটনার বিচার দাবি করেন।

বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা বলেছেন, ছাত্রীর মা ও ছাত্রীটির দেয়া ভাষ্য শুনে প্রধান শিক্ষক অভিযুক্ত শিক্ষককে তাঁর কক্ষে ডেকে । অন্যান্য শিক্ষকের সামনে ওই শিক্ষক জানান, শাসন করতে গিয়ে অসাবধানতা বসত ওই ছাত্রীর পিঠে হাত না লেগে তাঁর সামনে লেগেছিলো। এই ঘটনার পর ওই শিক্ষককে সাতদিনে মধ্যে বিদ্যালয় ত্যাগ করতে বলা হয়। ঘটনার ১২ দিন পর পুলিশ ওই শিক্ষককে বিদ্যালয় থেকে আটক করে। এই বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শেখ মাহফুজুর রহমান বলেন, ঘটনা জানার পর বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি ও অন্যান্য শিক্ষকদের সাথে কথা বলে ওই শিক্ষকের বিচার করা হয়।

আগামী শনিবার বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভায় তাঁর চূড়ান্ত বিচার হওয়ার কথা ছিলো। বিদ্যালয়ের ১০০ বছরের ইতিহাসে এমন ঘটনা ঘটেনি। এই শিক্ষক দোষী হলে তাঁর দৃষ্টান্তমূলক শান্তির দাবি জানান তিনি। অভিযুক্ত শিক্ষক পুলিশের হাতে আটক হওয়ার পর থানায় আসেন আখাউড়া উপজেলা চেয়ারম্যান শেখ বোরহান উদ্দিন, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির কয়েকজন সদস্য, শিক্ষক এবং এলাকার কয়েকজন গণমান্য ব্যক্তি। তাঁরা থানার ওসির সাথে কথা বলে বেড়িয়ে আসার সময় সাংবাদিকদের বলেন, পুলিশের কাছে অভিযুক্ত শিক্ষকের দৃষ্ঠান্তমূলক শান্তির দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।

এসময় থানা চত্ত্বরে জড়ো হওয়া বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর কয়েকজন ছাত্র বলেন, অভিযুক্ত ওই শিক্ষক পড়া ঠিক মতো বলতে না পাড়লে ছাত্রীদের গায়ে হাত তুলত। হয়রানির শিকার ওই ছাত্রীর মা বলেন, তাঁর স্বামী নেই। সেলাই করে দুইটি মেয়ের পড়াশুনা করান। বড় মেয়েটি ষষ্ঠ শ্রেণীতে পড়ে। তাঁর পড়াশুনা করার অনেক আগ্রহ।

তিনি বলেন, বিদ্যালয় থেকে বিচার করার আশ্বাসে আর মেয়ের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে তিনি চুপ ছিলেন। রোববার পুলিশ তাঁর বাড়ি গিয়ে ঘটনা জানতে চাইলে তিনি জানান। পড়ে থানায় এসে অভিযোগ দেন। তিনি বলেন শিক্ষকের মতো অভিভাবকের কাছেই যদি মেয়েরা নিরাপদ না থাকে তা হলে আমরা কোথায় যাব? কার কাছে ছেলে মেয়েদের শিক্ষা নিতে পাঠাবো? অভিযুক্ত শিক্ষক সামছুল ইসলামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার পাক শিমূল গ্রামের পূর্ব পাড়ায়। তাঁর বাবা মৃত হায়দার আলী।

ব্যক্তি জীবনে তিনি বিবাহিত। তার এক ছেলে সন্তান রয়েছে। আখাউড়া থানা পুলিশের হেফাজতে থাকা এই শিক্ষক তাঁর বিরুদ্দে আনা অভিযোগ স্বীকার করেন। এক প্রশ্নে তিনি বলেন, ভুল করে ওই ছাত্রীর গায়ে তার হাত লেগেছিলো। এই জন্য বিদ্যালয় থেকে এমন ঘটনা পরবর্তীতে আর ঘটলে বিদ্যালয় ছাড়ার যে সিদ্ধান্ত দেয়া হয় তা তিনি মেনে নিয়েছিলেন।

আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরম্নল ইসলাম বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্ত শিক্ষক যে দোষী তার সত্যতা পাওয়া গেছে। ছাত্রীটির মায়ের দেয়া অভিযোগের ভিত্তিতে থানাল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা হয়েছে। http://www.comillaweb.com/2011/07/11/11527/ এম ডি ইয়াছিন মিয়া . ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.