আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

প্রাকৃতিক সপ্তাশ্চর্য্য নির্বাচন: কতবড় ধান্দাবাজী!!!

প্রাকৃতিক সপ্তাশ্চর্য্য নির্বাচন: কতবড় ধান্দাবাজী!!! লেখাটা আমার না, প্রকৃত লেখকের লিংক । তথাকথিত প্রাকৃতিক সপ্তাশ্চর্য্য নির্বাচনে সুন্দরবনকে বিজয়ী (?) করতে দেশে এখন মাতোম চলছে। বিষয়টা অনেকটা 'কান নিয়ে গেছে চিলে'র মতোই ঘটনা। সবাই এই ভোটাভুটি নিয়ে দারুন ব্যস্ত। কিন্তু কেউ একবারও প্রশ্ন করছে না যে কে বা কারা কাদের এই দায়িত্ব দিয়েছে পৃথিবীর প্রাকৃতিক সপ্তাশ্চর্য্য নির্বাচন করার? সেভেন ওয়ান্ডার্স ফাউনেন্ডশন মূলত নেদারল্যান্ডের কিছু ধান্দাবাজ মানুষের সংগঠন।

বিশ্ব নিজেদের পরিচিত করাতে বেশ কয়েক বছর আগে এরা প্রথমে পৃথিবীর সপ্তাশ্চর্য্য (যা আমরা ছোটবেলায় সাধারণ জ্ঞানের বইতে শিখেছি--তাজমহল, পিরামিড ইত্যাদি) কে পুন:নির্বাচন করলো। আর এটাই তাদের পথ করে দিলো বিশ্বজুড়ে ধান্দাবাজী করার। মনে হতে পারে একটি সংগঠন প্রাকৃতিক সপ্তাশ্চর্য্য নির্বাচন করার উদ্যোগ নিয়েছে তাতে সমস্যাটা কী কিম্বা ধান্দাটা কী? সমস্যাটা হচ্ছে....প্রথমত তাদের এই নির্বাচনের কোন আন্তর্জাতিক গ্রহণযোগ্যতা নেই। কারণ এটি কোন আন্তর্জাতিক সংগঠন নয়। এটা হলো ইন্টারনেট ভিত্তিক একটি ভূইফোড় সংগঠন।

যার ফলে তথাকথিত এই ফাউন্ডেশনের তথাকথিত নির্বাচনে (কারণ এই নির্বাচনে যেসব প্রাকৃতিক স্থানের নাম প্রথম দিকে রয়েছে যেমন: আমাজন, এভারেস্ট...ব্যক্তিগত ফেসবুক আলাপচারিতায় আমি জেনেছি এসব দেশের সাংবাদিকরা এই প্রতিযোগিতার নামও শোননি আজ পর্যন্ত) যদি আমাদের প্রিয় সুন্দরবন ৭টি স্থানের একটিও হয় তাতেও কোন কিছু যাবে আসবে না। কারণ এই সেভেন ওয়ার্ন্ডস ফাউন্ডেশন নামের সংগঠনটির কোন আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি নেই। যে সংগঠনের কোন আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিই নেই তারা কী করে পৃথিবীর সাতটি স্থানকে স্বীকৃতি দেবে প্রাকৃতিক সপ্তাশ্চর্য্য হিসেবে??????????? আর ধান্দাটা হলো এরা মানুষকে ধোকা দিয়ে এবং দেশেপ্রেম এর সেন্টিমেন্টকে এক্সপ্লয়েট করে স্রেফ ব্যবসা করছে। এসএমএস এর মাধ্যমে যে ভোট দেয়ার সুবিধা তারা বাংলাদেশ পর্যটন কপোর্রেশন এর কাছে বিক্রি করেছে মোটা টাকার বিনিময়ে। আর এই এসএমএস-এ সুযোগ দেয়া হয়েছে যত খুশি তত ভোট দেয়ার।

মনে রাখবেন কোন এসএমএস প্রতিযোগিতায় একজন মানুষকে যখন যত খুশি তত ভোট দেয়ার সুযোগ করে দেয় তখন সেটি আসলে কোন সুষ্ঠু নির্বাচনই নয় বরং সেটি স্রেফ পয়সা কামানোর ধান্দা। এ ধরণের যে কোন প্রতিযোগিতায় প্রতি এসএমএস-এ কমিশন পায় আয়োজকরা। এছাড়া গত তিন বছর ধরে এই প্রতিযোগিতার জন্য ওয়েবসাইট খুলে বিভিন্ন সুভিনির বিক্রি করছে। তারা নিজেদেরকে ব্যাপক পরিবেশ দরদী হিসেবে তুলে ধরে পরিবেশ সংরক্ষণের জন্য চাদাও তুলছে। এক কথায় বলতে চাই, আমাদের সুন্দরবনের জন্য কারো সার্টিফিকেটের প্রয়োজন নেই।

কারণ সুন্দরবন পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ বন এটা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। আর জাতিসংঘ সুন্দরবনকে বহু বছর আগেই ওয়ান্ড হেরিটেজের অন্তর্ভুক্ত করেছে। তাই আমাদের সুন্দরবন সেভেন ওয়ান্ডর্স ফাউন্ডেশনের মতো একটি ভুইফোড় এবং অস্বীকৃত সংগঠনের ব্যবসার উপাদানে পরিণত তা কোনভাবেই মেনে নিতে পারিনা। . প্রকৃত লিংক তথাকথিত প্রাকৃতিক সপ্তাশ্চর্য্য নির্বাচনে সুন্দরবনকে বিজয়ী (?) করতে দেশে এখন মাতোম চলছে। বিষয়টা অনেকটা 'কান নিয়ে গেছে চিলে'র মতোই ঘটনা।

সবাই এই ভোটাভুটি নিয়ে দারুন ব্যস্ত। কিন্তু কেউ একবারও প্রশ্ন করছে না যে কে বা কারা কাদের এই দায়িত্ব দিয়েছে পৃথিবীর প্রাকৃতিক সপ্তাশ্চর্য্য নির্বাচন করার? সেভেন ওয়ান্ডার্স ফাউনেন্ডশন মূলত নেদারল্যান্ডের কিছু ধান্দাবাজ মানুষের সংগঠন। বিশ্ব নিজেদের পরিচিত করাতে বেশ কয়েক বছর আগে এরা প্রথমে পৃথিবীর সপ্তাশ্চর্য্য (যা আমরা ছোটবেলায় সাধারণ জ্ঞানের বইতে শিখেছি--তাজমহল, পিরামিড ইত্যাদি) কে পুন:নির্বাচন করলো। আর এটাই তাদের পথ করে দিলো বিশ্বজুড়ে ধান্দাবাজী করার। মনে হতে পারে একটি সংগঠন প্রাকৃতিক সপ্তাশ্চর্য্য নির্বাচন করার উদ্যোগ নিয়েছে তাতে সমস্যাটা কী কিম্বা ধান্দাটা কী? সমস্যাটা হচ্ছে....প্রথমত তাদের এই নির্বাচনের কোন আন্তর্জাতিক গ্রহণযোগ্যতা নেই।

কারণ এটি কোন আন্তর্জাতিক সংগঠন নয়। এটা হলো ইন্টারনেট ভিত্তিক একটি ভূইফোড় সংগঠন। যার ফলে তথাকথিত এই ফাউন্ডেশনের তথাকথিত নির্বাচনে (কারণ এই নির্বাচনে যেসব প্রাকৃতিক স্থানের নাম প্রথম দিকে রয়েছে যেমন: আমাজন, এভারেস্ট...ব্যক্তিগত ফেসবুক আলাপচারিতায় আমি জেনেছি এসব দেশের সাংবাদিকরা এই প্রতিযোগিতার নামও শোননি আজ পর্যন্ত) যদি আমাদের প্রিয় সুন্দরবন ৭টি স্থানের একটিও হয় তাতেও কোন কিছু যাবে আসবে না। কারণ এই সেভেন ওয়ার্ন্ডস ফাউন্ডেশন নামের সংগঠনটির কোন আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি নেই। যে সংগঠনের কোন আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিই নেই তারা কী করে পৃথিবীর সাতটি স্থানকে স্বীকৃতি দেবে প্রাকৃতিক সপ্তাশ্চর্য্য হিসেবে??????????? আর ধান্দাটা হলো এরা মানুষকে ধোকা দিয়ে এবং দেশেপ্রেম এর সেন্টিমেন্টকে এক্সপ্লয়েট করে স্রেফ ব্যবসা করছে।

এসএমএস এর মাধ্যমে যে ভোট দেয়ার সুবিধা তারা বাংলাদেশ পর্যটন কপোর্রেশন এর কাছে বিক্রি করেছে মোটা টাকার বিনিময়ে। আর এই এসএমএস-এ সুযোগ দেয়া হয়েছে যত খুশি তত ভোট দেয়ার। মনে রাখবেন কোন এসএমএস প্রতিযোগিতায় একজন মানুষকে যখন যত খুশি তত ভোট দেয়ার সুযোগ করে দেয় তখন সেটি আসলে কোন সুষ্ঠু নির্বাচনই নয় বরং সেটি স্রেফ পয়সা কামানোর ধান্দা। এ ধরণের যে কোন প্রতিযোগিতায় প্রতি এসএমএস-এ কমিশন পায় আয়োজকরা। এছাড়া গত তিন বছর ধরে এই প্রতিযোগিতার জন্য ওয়েবসাইট খুলে বিভিন্ন সুভিনির বিক্রি করছে।

তারা নিজেদেরকে ব্যাপক পরিবেশ দরদী হিসেবে তুলে ধরে পরিবেশ সংরক্ষণের জন্য চাদাও তুলছে। এক কথায় বলতে চাই, আমাদের সুন্দরবনের জন্য কারো সার্টিফিকেটের প্রয়োজন নেই। কারণ সুন্দরবন পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ বন এটা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। আর জাতিসংঘ সুন্দরবনকে বহু বছর আগেই ওয়ান্ড হেরিটেজের অন্তর্ভুক্ত করেছে। তাই আমাদের সুন্দরবন সেভেন ওয়ান্ডর্স ফাউন্ডেশনের মতো একটি ভুইফোড় এবং অস্বীকৃত সংগঠনের ব্যবসার উপাদানে পরিণত তা কোনভাবেই মেনে নিতে পারিনা।

. প্রকৃত লিংক ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.