আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

চুল ঘন হোক প্রাকৃতিক উপায়ে

বিভিন্ন কারণে চুলের অনেক ধরনের ক্ষতি হতে পারে। অনেক সময় চুল হয়ে পড়ে নিষ্প্রাণ, নির্জীব। চুল পাতলা হওয়ার সমস্যায় অনেকেই ভোগেন। অনেকেই চুল পড়ে যাওয়া থেকে রক্ষা পেতে নানা রকম হেয়ার ট্রিটমেন্ট করেন। এর কোনটিই দীর্ঘস্থায়ী হয়না।

বাড়িতে বসেই প্রাকৃতিক ভাবে পাতলা চুল ঘন করা সম্ভব।

 

তেলের ব্যবহার

চুলের যত্নে সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করা হয় তেল। চুল ঘন করার এবং যাদের চুল পড়ে যাচ্ছে তারা আমণ্ড অয়েল ও ক্যাস্টর অয়েল, তিলের তেল ও সরিষার তেল, অলিভ অয়েল ও ক্যাস্টর অয়েল এই তিনটি তেলের মিশ্রণের মধ্যে একটি ব্যবহার করলে ভালো ফল পাবেন। রাতে ঘুমানোর আগে এই তেলের মিশ্রণ হালকা গরম করে নিয়ে মাথার তালুতে ভালো ভাবে ম্যাসাজ করে নিতে হবে। অন্তত গোসলের ১ ঘণ্টা আগে চুলে তেল দিয়ে তারপর শ্যাম্পু করে নিতে হবে।

সপ্তাহে ২ বার যদি এটা করা যায়, ১ মাসের মধ্যেই চুল পাতলা ভাব কমে আসবে, চুল পড়া বন্ধ করে নতুন চুল গজাতে সাহায্য করবে।

 

ডিমের ব্যবহার

সবচেয়ে সহজতর এবং কম সময়ে ফল পাবার জন্য ডিম হতে পারে আপনার চুল ঘন করার উপাদান। ডিম হচ্ছে প্রাকৃতিক প্রোটিন, যা চুলকে ঘন করতে সাহায্য করে। এর ভিটামিন চুলের গোড়ায় পৌঁছে পুষ্টি যোগায়, চুলের স্বাস্থ্য ফিরিয়ে দিতে চমৎকার কাজ করে। একটি ডিমের সাদা অংশ নিয়ে ভালো ভাবে ফেটিয়ে নিতে হবে।

তারপর পরিষ্কার চুলে সরাসরি হাত অথবা ব্রাশের সাহায্যে ওপর থেকে নিচ পর্যন্ত লাগাতে হবে। ডিম দিতে গেলে অনেকে চুল জট বেঁধে এলোমেলো হয়ে যায় বলে এড়িয়ে যান। চুলে ডিমের সাদা অংশ লাগানোর পর একটি মোটা দাঁতের চিরুনির সাহায্যে সাবধানে চুল আঁচড়ে নিন। তারপর হালকা ঝুটি করে নিন বা শাওয়ার ক্যাপ পরে নিন। ২০-৩০ মিনিট রেখে নরমাল পানিতে চুল ধুয়ে নিন এবং শ্যাম্পু করুন।

যেদিন ডিম দেবেন সেদিন আর আলাদা করে কন্ডিশনার দেবার প্রয়োজন হবেনা। প্রতি ৭ দিনে ১ বার করুন দেখবেন চুল ঘন হওয়ার সাথে সাথে আসবে বাউন্স।

 

অ্যালোভেরার ব্যবহার

অ্যালোভেরার জেল বের করে নিন, ৪ চামচ মধুর সাথে মিক্স করে সরাসরি চুলে এবং মাথার তালুতে লাগিয়ে ফেলুন। চাইলে এর সাথে কোনও ট্রিটমেন্ট ক্রিমও যোগ করতে পারেন। চুল ঘন করার সাথে সাথে এটি আপনার চুলের আগা ফেটে যাওয়া রোধ করবে।

 

মধুর ব্যবহার

চুলে ব্যবহারের ক্ষেত্রে মধু খুবই আঠালো, সে জন্য খুব অল্প পরিমাণে (৪-৫ চামচ এর বেশি না) মধু নিয়ে তা মাথার তালুতে ব্যবহার করুন। তারপর চুল আটকে ১৫ মিনিট রেখে দিন। খেয়াল রাখুন যেন প্রতিটি চুলের গোড়ায় একটু হলেও মধু পৌঁছায়। সবশেষে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

 

পেঁয়াজের ব্যবহার

যেসব জায়গায় চুল বেশি পাতলা, পেঁয়াজ কেটে ঘষলে সেই অঞ্চলের ব্লাড সার্কুলেশন বাড়ে, ফলে তা নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে।

আপনার হেয়ার ফলিকল এর কোনও অংশ ক্ষতিগ্রস্ত থাকলে নিয়মিত ব্যবহারে তা সারিয়ে তোলে। যাদের চুল পাতলা তারা সপ্তাহে ২-৩ দিন ১০-১২ মিনিটের জন্য মাথার তালুতে পেঁয়াজ ঘষে ব্যবহার করলে কিছুদিনের মধ্যেই ফল পাবেন।

সোর্স: http://www.bd-pratidin.com     দেখা হয়েছে ২০ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।