আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অন্ধকে ‘দেখাবে’ চশমা

মাকে বড্ড ভালবাসি। যাদের চোখের আলো নেই, অন্ধ; অসুস্থতা কিংবা বার্ধক্যের ফলে এ অবস্থা হয়েছে, তাদের জন্য সুখবর। বিশেষ এক ধরনের চশমা আবিষ্কার করছেন বিজ্ঞানীরা, যা পরলে কারো সাহায্য ছাড়াই তারা পথ ‘দেখে’ চলতে পারবে। অঙ্ফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা অত্যাধুনিক এ চশমা তৈরি করছেন। ২০১৪ সালের মধ্যেই এ চশমা বাজারজাত করার উপযোগী হবে বলে তাঁরা আশা করছেন।

বিশেষ এই চশমার বৈশিষ্ট্য যেমন আলাদা, তেমনি এর ব্যবহারের প্রক্রিয়ায়ও রয়েছে কিছু ভিন্নতা। যেমন-এর ফ্রেমের সামনের দিকে কাচের ওপরের দুই পাশে পিন আকৃতির দুটি গোপন ক্যামেরা বসানো থাকবে। এর গ্লাস এলইডি মডেলের, যাতে অনেক বিন্দু (ডট) থাকবে এবং এ চশমা পরিধানকারীর বুক পকেটে থাকবে মোবাইল ফোন আকৃতির ছোট একটি কম্পিউটার। গোপন ক্যামেরা ও কাচের ডটগুলো প্রতিফলিত ব্যক্তি বা বস্তুর অবস্থান সম্পর্কে পকেটের কম্পিউটারে বার্তা পাঠাবে। পরে কম্পিউটার মুহূর্তেই তা বিশ্লেষণ করে পরিধানকারীর কানে কানে বিষয়টি জানিয়ে দেবে।

গবেষকরা বলছেন, এ পদ্ধতির চশমা ব্যবহার করে অন্ধ ব্যক্তি একা একাই কেনাকাটা করতে যেতে পারবে। ব্যস্ততম রেলওয়ে স্টেশনে চলাচল করতে পারবে। বাসের নম্বর ‘পড়তে’ পারবে এবং কম্পিউটার ব্যবহৃত মেশিনে টাকাও তুলতে পারবে। এ চশমার ওজন বেশি হবে না। আর এর দামও হবে তুলনামূলক কম, প্রায় এক হাজার পাউন্ড।

প্রথমে ব্রিটেনের সরকারি খাতায় যেসব অন্ধের নাম রয়েছে, তাদের এ চশমা সরবরাহ করা হবে। এতে সাফল্য পাওয়ার পর ২০১৪ সালের মধ্যে সর্বত্র বাজারজাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বার্ধক্যের কারণে যাঁদের চোখের আলো চলে গেছে, তাঁরা এ চশমা ব্যবহারে বেশি ফল পাবেন। অঙ্ফোর্ডের ক্লিনিক্যাল নিউরোসায়েন্সের গবেষক ডা. স্টিফেন হাইকস বলেন, ‘আমরা আশা করছি, খুব শিগগির বিশেষ পদ্ধতির এ চশমা মানুষের দোরগোড়ায় নিয়ে যেতে পারব। প্রাথমিক গবেষণাগুলো হয়ে গেছে, এখন চশমার নকশা তৈরির কাজ চলছে।

’ ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।