আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এ টপেস্ট স্কলারশিপ KHAZANAH এশিয়া স্কলারশিপ ফর বাংলাদেশী স্টুডেন্টস!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!

বাংলাদেশী স্টুডেন্টদের অনেকেরেই স্বপ্ন তাকে যে ,এইচ এস সি পাশ করার পর উচ্চশিক্ষা তথা গ্রাজুয়েট বিদেশে করার জন্যে । আর অনেকেরেই সপ্ন তাকে যে –সে বৃত্তি নিয়ে বিদেশে পরাশুনা করবে । বাংলাদেশী স্টুডেন্টদের সপ্ন পূরনের একটি স্কলারশিপ হছ্ছে খাজানা এশিয়া স্কলারশিপ । এটি একটি ফুল-ব্রাইট স্কলারশিপ । স্কলারশিটির স্পন্সরস হছ্ছে মালেশিয়ার বিগেস্ট অরগেনাইজেশান YAYASAN KHAZANAH এবং বাংলাদেশের GRAMEEN BANK ।

প্রতিবছর বাংলাদেশ থেকে পাঁচটি স্কলারশিপ দেওয়া হয়। আর এ বৃত্তি পাওয়ার প্রধান শর্ত হছ্ছে –পার্থীকে অবশ্যই গ্রামীন ব্যাংকের সদস্যের ছেলে-মেয়ে হতে হবে । মানে এই স্কলারশিপটা শুধু সারা বাংলাদেশের গ্রামীন ব্যাংকের সদস্যের ছেলে-মেয়েদের মধ্যে থেকে পাঁচ জনকে দেওয়া হয় । এই বৃত্তিটি একশভাগ দূর্নিতি্মুক্ত ও স্বজনপ্রীতিমুক্ত স্কলারশিপ । কেবল মাত্র পরিক্ষার মাধ্যমে বাছাইকৃত সর্বোচ্ছ পাঁচ জন মেধাবিকে এই স্কলারশিপটা দেওয়া হয় ।

এতে গ্রামীন ব্যাংকের কোন উচ্ছপদস্ত কর্মকর্তা , এমন কি এম ডি স্যারেরও কোন হাত থাকে না । সব কিছু নিয়ন্ত্রিত হয় মালেশিয়ান এক্জামিনি কমিটি দ্বারা। সুযোগ-সুবিধা : মূলত YAYASAN KHAZANAH হচ্ছে মালেশিয়ান গভার্ণমেন্ট এজেন্সি । মালেশিয়ার ৬০% বেশি সরকারি বিজনেজ খাজানার অধীনে । তাই স্কলারশিপটির সুযোগ-সুবিধাও অনেক ।

আমাদের বাংলাদেশেও খাজানার একটি বিজনেজ আছে সেটি হচ্ছে রবি (একটেল) । ১। স্কলারশিপটির এক্জাম শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত যাবতীয় খরচ খাজানা বহন করে। যেমন—পরিক্ষার জন্যে গ্রামীন ব্যাংকে আসা যাওয়ার ট্যাক্সি ভাড়া, সি এন জি ভাড়া, রিক্সা ভাড়া সব দেওয়া হয় প্রত্যেক এপলিক্যান্টকে । ২।

নির্বাচিত পাঁচ জনের জন্যে আর্জেন্ট পাসপোর্ট করার জন্যে সমস্ত টাকা দেওয়া হয় । ৩। বাংলাদেশে থাকতেই শপিং এর জন্যে প্রত্যেক কে ২০০০০ করে টাকা দেওয়া হয় । ৪। ফ্লাইট টিকেটও তারা করে দেয় ।

৫। পার্থী নিজের পচ্ছন্দের সাবজেক্টে পরার ৯৫% নিশ্চয়তা আছে । এর আগে যারা এই স্কলারশিপ নিয়ে এসেছে ,সবাই নিজের পচ্ছন্দের সাবজেক্টেই পরতেছে । ৬। ভার্সিটির সকল টিউশন ফি ,তারা নিজেরাই দিবে ।

৭। খাওয়া-দাওয়া এবং হোস্টেল খরচ তারা বছরে চার কিস্তিতে দেয় । অর্থাৎ প্রত্যেক তিন মাস অন্তর অন্তর টাকা দেয়। বছরের প্রথম তিন মাসের জন্যে ৫৬০০ রিঙ্গিত (১৩৫০০০ টাকা) এবং বাকি তিনটি কিস্তি ৩৩০০ রিঙ্গিত (৮০৩৫৫ টাকা) করে । ৮।

সাথে সিলেক্টেড স্কলার পাচ্ছে মালেয়শিয়ার সর্বোচ্ছ মেধাবী স্টুডেন্ট এর সম্মান । কারণ খাজানা স্কলার মানেই টপেস্ট স্টুডেন্ট ইন মালায়শিয়া । ৯। কোন কারণে খাজানা স্কলার হিসাবে নিজেকে পরিচয় দিতে হলে বন্ধুরা সেকেন্ড টাইম হেন্ডসেক করে । ১০।

প্রত্যেক সেমিস্টার ব্রেকে বাংলাদেশে যাওয়া যায়, এতে কোন রেসট্রিকশান নেই । ১১। গ্রাজুয়েট শেষে যোগ্যতা অনুযায়ী খাজানার যে কোন কম্পানিতে চাকরি করার সুযোগ আছে । নির্বাচন পদ্ধতি : ১। প্রতিবছর গ্রামীন ব্যাংকের সদস্যের ছেলে-মেয়েদের কাছ থেকে যারা(এস এস সি এবং এইচ এস সি উভই এ+) তাদের কাছ থেকে আবেদনপএ আহব্বান করা হয়।

২। এখান থেকে রেজাল্ট এর ভিওিতে ৪০ জন কে নির্বাচন করা হয়। ৩। নির্বাচিত ৪০ জনের এক্জাম হয় গ্রামীন ব্যাংকের হেড অফিসে । ৫ দিন যাবৎ পরিক্ষা নেয় মালায়শিয়া থেকে আগত (৫-১০) জনের একটি কমিটি ।

পরিক্ষা শেষে তারা সব এক্জাম পেপার নিয়ে মালায়শিয়া চলে যায় এবং ১-২ মাসের মধ্যে রেজাল্ট পাঠায় । যেভাবে KHAZANAH SCHOLARSHIP সূচনা : ডঃ মোহাম্মদ ইউনূস খাজানা ফাউন্ডেশান এর আমনএনে মালায়শিয়া আসেন কয়েকবছর আগে । এখানে খাজানা ফাউন্ডেশানের ডিরেক্টর ট্যান শ্রী আযমান মোখতার এর সাথে উনার বৈঠক হয় । এই বৈঠকেই তিনি মূল্যবান ৫ টি বৃত্তির ব্যাবস্থা করেন । বতমানে ২ বছরে ১০ জন বাংলাদেশী স্টুডেন্ট এই বৃত্তি নিয়ে মালায়শিয়া পড়াশুনা করছে ।

এদের ৪ জন ইউনিভার্সিটি টেনেগা ন্যাসানাল ( ইউনিটেন) ইন (ইইই) এবং ৪ মালায়শিয়া ইসলামিক ইউনিভার্সিটি(ইউ আই এ) ইন (ইকোনোমিক্স, আইন ,জেনেটিক্স, একাউন্টিং) ,বাকি ২ জন মাল্টিমিডিয়া ইউনিভার্সিটি (এম এম এউ) ইন মেকানিক্যাল ইন্জিনিয়ারিং এবং ইনফরমেশান টেকনোলজিতে অধ্যয়নরত । ডঃ মোহাম্মদ ইউনূসের অবদানে প্রতি বছর এই ৫ টি মূল্যবান বৃত্তি নিয়ে ৫ টি ছেলে-মেয়ের সপ্ন পূরন হচ্ছে । সকল ধন্যবাদ তারেই প্রাপ্প । অথচ তার প্রতি কিছুদিন আগে আমরা কি আচরনটাই না করলাম । থাক এসব কথা ।

এই স্কলারশিপ সম্পর্কে আরও জানতে এইখানে একটা ক্লিক মারেন— http://www.khazanah.com.my/scholarship.htm ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।