আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ধর্ষণ শেষে মাথা ন্যাড়া, গ্রেপ্তার ৩

শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলায় চৈতাজানী গ্রামে এক স্কুল ছাত্রীকে অপহরণ ও ধর্ষণ শেষে মাথা ন্যাড়া করে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। পুলিশ অভিযুক্ত ধর্ষণকারীর মা ও দুই মামাকে গ্রেপ্তার করেছে। এ ঘটনায় মামলা করায় নির্যাতিত মেয়েটির বাবা ও মাকে ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে থাকতে হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে পরিবারটি। গত ২০ জুন (সোমবার) মেয়েটিকে অপহরণ করে। ২৩ জুন (বৃহস্পতিবার) মাথা ন্যাড়া করে প্যান্ট ও গেঞ্জি পরিয়ে তাকে বাড়ির সামনে রেখে যায় দুর্বৃত্তরা।

রোববার (২৬ জুন) এ ঘটনায় শ্রীবরদী থানায় ছয়জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। শেরপুরের ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপারিনটেনডেন্ট মো. আনিসুর রহমান মামলা ও মেয়েটির পরিবারের বরাত দিয়ে জানান, উপজেলার ঘোনাপাড়া গ্রামের হিন্দু পরিবারের এই মেয়েটি (১৭) শেরপুর সদর উপজেলার কুমড়ী কাটাজান বালিকা বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণীর ছাত্রী। প্রতিদিন প্রায় তিন কিলোমিটার হেঁটে সে স্কুলে আসাযাওয়া করে। ২০ জুন সকাল ১০টার দিকে স্কুলে যাওয়ার সময় মেয়েটিকে পাশের চৈতাজানি গ্রামের কুমড়ী তেঘরিয়া কামিল মাদ্রাসা থেকে আলিম পরীক্ষায় অংশ নেওয়া ছাত্র শাহ্ জামাল ধরে তাদের বাড়ি নিয়ে যায়। সেখানে ভয় দেখিয়ে মেয়েটিকে চেতনাশক ওষুধ মিশ্রিত বিস্কুট খাইয়ে অচেতন করে।

এরপর থেকে তিনদিন ধরে তার উপর পাশবিক নির্যাতন চালায় শাহ্ জামাল। ২৩ জুন মাথা ন্যাড়া করে প্যান্ট ও গেঞ্জি পরিয়ে মেয়েটিকে তাদের বাড়ির সামনে রেখে যায় শাহ জামাল ও তার সঙ্গীরা। এ ব্যাপারে আইনের আশ্রয় না নেওয়া এবং সাংবাদিকদের কাছে ঘটনাটি প্রকাশ না করার জন্য হুমকি দেয় ধর্ষক ও তার পরিবারের লোকজন। পুলিশ কর্মকর্তা আরো বলেন, ভয়ে মেয়েটির পরিবার তিনদিন কিছু প্রকাশ করেনি। রোববার (২৬ জুন) তার বাবা শ্রীবরদী থানায় ছয়জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন।

শ্রীবরদী থানার ওসি মোস্তাছিনুর রহমান জানান, মামলা হওয়ার পর পুলিশ ধর্ষকের মা সোরফা খাতুন, দুই মামা আয়নাল হক ও সৈয়দ আলীকে ধর্ষণের আলামত ধ্বংসের চেষ্টার অভিযোগে গ্রেপ্তার করেছে। এরপর আদালতে হাজির করলে তাদের জেল হাজতে পাঠানো হয়। পুলিশ ধর্ষকসহ অপর তিন আসামিকে ধরার চেষ্টা করছে। ওসি আরো বলেন, সোমবার শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে মেয়েটির ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়া তার রক্তে চেতনানাশক ওষুধের অস্তিত্ব পরীক্ষার জন্য রক্তের নমুনা ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

View this link ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।