আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কণ্ঠস্বর বলিষ্ঠ ও আকর্ষণীয় করুন

আকর্ষণীয় কণ্ঠস্বরের অধিকারী আমরা সবাই হতে চাই । কিন্তু রেকর্ডিং করলে নিজের গলার স্বরকে নিজের কাছেই অপরিচিত মনে হয়। দেখতে অনেকেই আকর্ষণীয়,বলিষ্ঠ ও ব্যক্তিত্বসম্পন্ন,কিন্তু কথা বলতে গেলে কথা জড়িয়ে যায়, বাক্য স্পষ্ট হয় না। ফ্যাশফ্যাশে গলা বা নাকিস্বরের কথা ব্যক্তিত্বের প্রকাশকে দুর্বল করে দেয় । তাছাড়া অনেকের কথা মুখে আটকে যায়,বেরুতে চায় না,আর নার্ভাস হয়ে গেলে বা উত্তেজিত হলে তোতলাতে থাকে।

নানা কারণে এ কণ্ঠস্বরের এই সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। মেয়েদের চেয়ে পুরুষদের কথা বলা বা কণ্ঠস্বরের সমস্যা বেশি প্রকট। Winning with your voice গ্রন্থে কণ্ঠস্বর বিশেষজ্ঞ ডক্টর মরটান কুপার চমৎকার ভাবে বিষয়টি বর্ণনা করেছেন। তিনি লিখেছেন আমাদের কণ্ঠস্বর পরিণত হয়ে উঠতে থাকে ১২/১৩ বছর বয়সে। কিন্তু অধিকাংশ মানুষই তা ব্যবহার করতে শেখেন না।

প্রায় অর্ধেক সংখ্যক লোক তাদের ছেলেবেলার কণ্ঠস্বরকেপরিণত বয়সেও ব্যবহার করে চলেন । তাহলে স্বাভাবিক কণ্ঠস্বর কি হবে ? ডক্টর মরটান কুপার বলেছেন, আপনার খাবার টেবিল থেকে পোষা কুকুর যদি গোসতের টুকরাই মুখ দিয়ে নিয়ে যেতে চায় তাহলে ধমকের স্বরে "না" শব্দটি উচ্চারণ করলে যা শোনাবে তা-ই আপনার স্বাভাবিক কণ্ঠস্বর । আপনি শব্দটি উচ্চারণ করে দেখুন তা অনেক গভীর, বলিষ্ঠ ও দৃঢ় । সবচেয়ে বড় কথা, এই স্বাভাবিক স্বরে কথা বললে আপনি বহুক্ষণ কণ্ঠযন্ত্রের উপর কোন রকম চাপ প্রয়োগ করা ছাড়া কথা বলতে পারবেন । গলা ভাঙবেনা বা গলায় কোন অস্বস্তিও সৃষ্টি হবে না ।

একটু চর্চা করলেই আপনি সব সময় আকর্ষণীয় ও কমান্ডিং কণ্ঠস্বর প্রয়োগ করতে শিখতে পারবেন। আকর্ষণীয় কণ্ঠস্বরের অধিকারী শতকরা ৯০ জনই প্রচেষ্টা ও চর্চা দ্বারা তাঅর্জন করেছেন। আপনার কণ্ঠস্বরকে আকর্ষণীয় মনে না হলেবা কথা বলার ক্ষেত্রে সমস্যার সম্মুখীন হলে নিম্নোক্ত অনুশীলন চমৎকারভাবে আপনার সমস্যার সমাধান করবে এবং আপনি আকর্ষণীয় বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বরের অধিকারী হবেন। যাঁদের তোতলামির সমস্যা রয়েছে এই অনুশীলন তাঁদের চমৎকার উপকারে আসবে। আপনার কণ্ঠস্বরে যদি নাকিস্বর প্রাধান্য পায় তাহলে যোগব্যায়ামের একটি আসন আপনার জন্য অত্যন্ত কার্যকরহবে।

এটি হচ্ছে সিংহাসন । সিংহাসন খুব সহজ- হাঁটু ভেঙ্গে বসুন,দুই পা নিতাম্বের দুই পাশে থাকবে এবং পশ্চাদ্দেশ মেঝে স্পর্শ করবে। হাত দুটি থাকবে হাঁটুর উপরে । এরপর নাক দিয়ে লম্বা দম নিয়ে দন বন্ধ করে থুতনি দিয়ে কণ্ঠাস্থি স্পর্শ করুন এবং মুখ যতদূর সম্ভব হাঁ করে জিহ্বা সামনে বের করে নিয়ে আসবেন । এরপর আ.......আ........ আ .......আ......শব্দ করে দম বের করবেন।

দম ফুরিয়ে গেলে আবার নাক দিয়ে দম নিয়ে স্বাভাবিক স্বরে আ........ আ ......আ......শব্দ করে মুখ দিয়ে দম বের করবেন। এইভাবে দশবার করুনএবং প্রতিদিন নিয়মিত চর্চা করুন তিন মাস পরই আপনি স্বাভাবিক বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বরের অধিকারী হতে পারেন। আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করছি কারণ ২৯ বছর বয়স পর্যন্ত আমার কণ্ঠের সমস্যা ছিল । মহাজাতক এর আত্মনির্মাণ বইটি আমকে ভীষণভাবে সাহায্য করেছে। ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১০ বার

এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.