আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

২০১৩ সালের মধ্যে কৃত্রিম উপগ্রহ পাঠাতে চায় বাংলাদেশ

ইতিহাসের পেছনে ছুটি তার ভেতরটা দেখবার আশায় Click This Link ১৯৫৭ সাল। সে বছর প্রথমবারের মতো মহাকাশে কৃত্রিম উপগ্রহ পাঠাতে সক্ষম হয় সোভিয়েত ইউনিয়ন। যার নাম ছিল ‘স্পুটনিক-১’। এর পরের বছর আমেরিকা এক্ষেত্রে সফলতা দেখায়। যদিও তারা পরিকল্পনা করছিল ১৩ বছর আগে থেকেই।

পরে আরও অনেক দেশ কৃত্রিম উপগ্রহ উেক্ষপণ করেছে। দক্ষিণ এশিয়ায় ভারত এবং পাকিস্তানেরও নিজস্ব উপগ্রহ রয়েছে। এর মধ্যে ভারত নিজেই মহাকাশে উপগ্রহ পাঠানোর সামর্থ্য অর্জন করেছে। আর পাকিস্তান অন্য দেশের সহায়তায় উপগ্রহ পাঠিয়েছে। এখন বাংলাদেশও সেটা করতে যাচ্ছে।

আগের কথা ১৯৯৭-৯৮ সালে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ মহাকাশে কৃত্রিম উপগ্রহ পাঠানোর পরিকল্পনা করেছিল। কিন্তু পরে সেটা আর বাস্তবে রূপ নেয়নি। এরপর আবার ঝোঁক উঠেছে উপগ্রহের ব্যাপারে। সে লক্ষ্যে কাজও শুরু হয়ে গেছে। ২০১৩ সালের মধ্যেই বাংলাদেশ তার নিজস্ব একটি উপগ্রহ মহাকাশে পাঠাতে চায়।

এ ব্যাপারে সক্রিয়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি। এ সংস্থার চেয়ারম্যান জিয়া আহমেদ সম্প্রতি জানিয়েছেন, এখন পরামর্শক নিয়োগের কাজ চলছে। সাতটি প্রতিষ্ঠান এ ব্যাপারে তাদের প্রস্তাব জমা দিয়েছে। এর মধ্যে দুটি কোম্পানি যুক্তরাষ্ট্রের। আর কানাডা, ফ্রান্স, রাশিয়া ও জার্মানির একটি করে কোম্পানি রয়েছে।

এসব কোম্পানির প্রস্তাব খুঁটিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও জানান তিনি। তিনি বলেন, পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে একটি প্রতিষ্ঠানকে পরামর্শক নিয়োগ দেয়া হবে। তারাই ঠিক করবে, কে উপগ্রহটি তৈরি করবে এবং মহাকাশে পাঠাবে। এছাড়া উপগ্রহটি মহাকাশের কোথায় থাকবে, এর বেস স্টেশনই বা কোথায় হবে, উপগ্রহটি কী কী কাজে লাগানো যেতে পারে, সেসব ব্যাপারে বুি্দ্ধ দেবে ওই পরামর্শক প্রতিষ্ঠান। পুরো প্রক্রিয়া শেষ করতে ২৮ মাস সময় বেঁধে দেয়া হবে বলেও জানালেন বিটিআরসি’র চেয়ারম্যান।

উপগ্রহ প্রেরণের জন্য বাংলাদেশ এরই মধ্যে আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ইউনিয়ন বা আইটিইউ’র কাছ থেকে কক্ষপথ বরাদ্দ নিয়েছে বলে জানা গেছে। সুবিধা সফলভাবে উপগ্রহ পাঠাতে পারলে বাংলাদেশের কী লাভ হতে পারে? জিয়া আহমেদ বলছেন, এটি হবে একটি কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট অর্থাত্ যোগাযোগ উপগ্রহ। ফলে টেলিযোগাযোগ, টিভি ও বেতার সম্প্রচারের মতো কাজগুলো এই উপগ্রহ দিয়ে করা সম্ভব হবে, এখন যেটা করা হচ্ছে অন্য দেশের উপগ্রহ ব্যবহার করে। যার জন্য খরচ হচ্ছে প্রচুর অর্থ। এছাড়া আবহাওয়ার পূর্বাভাস দেয়া এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার কাজও করা যাবে এই উপগ্রহের মাধ্যমে।

চাইলে অন্য দেশকেও উপগ্রহ ব্যবহারের জন্য ভাড়া দেয়া যেতে পারে। সেক্ষেত্রে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের একটা উত্স হতে পারে এই উপগ্রহ। আরও কিছু তথ্য কৃত্রিম উপগ্রহগুলো উেক্ষপণের সময়েই পর্যাপ্ত জ্বালানি দিয়ে দিতে হতো। কারণ মহাকাশে রিফুয়েলিংয়ের কোনো সুযোগ নেই। তবে কিছু উপগ্রহ জ্বালানি হিসেবে সৌরশক্তি ব্যবহার করে।

আগেই বলা হয়েছে, সোভিয়েত ইউনিয়ন প্রথমে কৃত্রিম উপগ্রহ মহাকাশে পাঠাতে সক্ষম হয়। সেটা ১৯৫৭ সালে। এরপর ওই বছরই ‘স্পুটনিক-২’ নামের আরেকটি উপগ্রহ পাঠায় দেশটি। সেটাতে ‘লাইকা’ নামের একটি কুকুরকেও পাঠানো হয়েছিল। যদিও উেক্ষপণের কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তাপনিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার ত্রুটির কারণে লাইকা মারা গিয়েছিল।

দুবছর আগে আমেরিকার কৃত্রিম উপগ্রহ ‘ইরিডিয়াম ৩৩’ এবং রাশিয়ার ‘কসমস ২২৫১’ উপগ্রহের মধ্যে ধাক্কা লাগার ঘটনা ঘটেছিল। মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসা’র উপগ্রহ বিজ্ঞানী মার্ক ম্যাটনির মতে, সেটাই ছিল দুটি গোটা কৃত্রিম উপগ্রহের মুখোমুখি সংঘাতের প্রথম ঘটনা। ২০১৩ সালের মধ্যে কৃত্রিম উপগ্রহ পাঠাতে চায় বাংলাদেশ হ আহসান হাবিব ১৯৫৭ সাল। সে বছর প্রথমবারের মতো মহাকাশে কৃত্রিম উপগ্রহ পাঠাতে সক্ষম হয় সোভিয়েত ইউনিয়ন। যার নাম ছিল ‘স্পুটনিক-১’।

এর পরের বছর আমেরিকা এক্ষেত্রে সফলতা দেখায়। যদিও তারা পরিকল্পনা করছিল ১৩ বছর আগে থেকেই। পরে আরও অনেক দেশ কৃত্রিম উপগ্রহ উেক্ষপণ করেছে। দক্ষিণ এশিয়ায় ভারত এবং পাকিস্তানেরও নিজস্ব উপগ্রহ রয়েছে। এর মধ্যে ভারত নিজেই মহাকাশে উপগ্রহ পাঠানোর সামর্থ্য অর্জন করেছে।

আর পাকিস্তান অন্য দেশের সহায়তায় উপগ্রহ পাঠিয়েছে। এখন বাংলাদেশও সেটা করতে যাচ্ছে। আগের কথা ১৯৯৭-৯৮ সালে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ মহাকাশে কৃত্রিম উপগ্রহ পাঠানোর পরিকল্পনা করেছিল। কিন্তু পরে সেটা আর বাস্তবে রূপ নেয়নি। এরপর আবার ঝোঁক উঠেছে উপগ্রহের ব্যাপারে।

সে লক্ষ্যে কাজও শুরু হয়ে গেছে। ২০১৩ সালের মধ্যেই বাংলাদেশ তার নিজস্ব একটি উপগ্রহ মহাকাশে পাঠাতে চায়। এ ব্যাপারে সক্রিয়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি। এ সংস্থার চেয়ারম্যান জিয়া আহমেদ সম্প্রতি জানিয়েছেন, এখন পরামর্শক নিয়োগের কাজ চলছে। সাতটি প্রতিষ্ঠান এ ব্যাপারে তাদের প্রস্তাব জমা দিয়েছে।

এর মধ্যে দুটি কোম্পানি যুক্তরাষ্ট্রের। আর কানাডা, ফ্রান্স, রাশিয়া ও জার্মানির একটি করে কোম্পানি রয়েছে। এসব কোম্পানির প্রস্তাব খুঁটিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও জানান তিনি। তিনি বলেন, পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে একটি প্রতিষ্ঠানকে পরামর্শক নিয়োগ দেয়া হবে। তারাই ঠিক করবে, কে উপগ্রহটি তৈরি করবে এবং মহাকাশে পাঠাবে।

এছাড়া উপগ্রহটি মহাকাশের কোথায় থাকবে, এর বেস স্টেশনই বা কোথায় হবে, উপগ্রহটি কী কী কাজে লাগানো যেতে পারে, সেসব ব্যাপারে বুি্দ্ধ দেবে ওই পরামর্শক প্রতিষ্ঠান। পুরো প্রক্রিয়া শেষ করতে ২৮ মাস সময় বেঁধে দেয়া হবে বলেও জানালেন বিটিআরসি’র চেয়ারম্যান। উপগ্রহ প্রেরণের জন্য বাংলাদেশ এরই মধ্যে আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ইউনিয়ন বা আইটিইউ’র কাছ থেকে কক্ষপথ বরাদ্দ নিয়েছে বলে জানা গেছে। সুবিধা সফলভাবে উপগ্রহ পাঠাতে পারলে বাংলাদেশের কী লাভ হতে পারে? জিয়া আহমেদ বলছেন, এটি হবে একটি কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট অর্থাত্ যোগাযোগ উপগ্রহ। ফলে টেলিযোগাযোগ, টিভি ও বেতার সম্প্রচারের মতো কাজগুলো এই উপগ্রহ দিয়ে করা সম্ভব হবে, এখন যেটা করা হচ্ছে অন্য দেশের উপগ্রহ ব্যবহার করে।

যার জন্য খরচ হচ্ছে প্রচুর অর্থ। এছাড়া আবহাওয়ার পূর্বাভাস দেয়া এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার কাজও করা যাবে এই উপগ্রহের মাধ্যমে। চাইলে অন্য দেশকেও উপগ্রহ ব্যবহারের জন্য ভাড়া দেয়া যেতে পারে। সেক্ষেত্রে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের একটা উত্স হতে পারে এই উপগ্রহ। আরও কিছু তথ্য কৃত্রিম উপগ্রহগুলো উেক্ষপণের সময়েই পর্যাপ্ত জ্বালানি দিয়ে দিতে হতো।

কারণ মহাকাশে রিফুয়েলিংয়ের কোনো সুযোগ নেই। তবে কিছু উপগ্রহ জ্বালানি হিসেবে সৌরশক্তি ব্যবহার করে। আগেই বলা হয়েছে, সোভিয়েত ইউনিয়ন প্রথমে কৃত্রিম উপগ্রহ মহাকাশে পাঠাতে সক্ষম হয়। সেটা ১৯৫৭ সালে। এরপর ওই বছরই ‘স্পুটনিক-২’ নামের আরেকটি উপগ্রহ পাঠায় দেশটি।

সেটাতে ‘লাইকা’ নামের একটি কুকুরকেও পাঠানো হয়েছিল। যদিও উেক্ষপণের কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তাপনিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার ত্রুটির কারণে লাইকা মারা গিয়েছিল। দুবছর আগে আমেরিকার কৃত্রিম উপগ্রহ ‘ইরিডিয়াম ৩৩’ এবং রাশিয়ার ‘কসমস ২২৫১’ উপগ্রহের মধ্যে ধাক্কা লাগার ঘটনা ঘটেছিল। মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসা’র উপগ্রহ বিজ্ঞানী মার্ক ম্যাটনির মতে, সেটাই ছিল দুটি গোটা কৃত্রিম উপগ্রহের মুখোমুখি সংঘাতের প্রথম ঘটনা। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.