আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

শাহবাগ ডাইরি ২০১৩ (এক) ডাইরি ২০১৩ (এক)

Bangladesh is not just a land, Bangladesh is a concept...like Muslim...like nationalist...every country is a concept...this concept make their life's law & order... ---------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------- শাহবাগ ৫২ ভাষা আন্দোলন, ৬০ দশকের ছায়ানটের বাঙ্গালী আন্দোলন, ৮৯ এর বৈশাখ র‌্যালি, ৯২ এর জাহানারা ইমামের অন্দোলন এর ধারাবাহিকতা... --------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------- ৭মার্চ Click This Link সমস্যা হইলো চীনপন্থিরা শেষে গিয়া আলী বিরোধীতা করবই... কেন? এরা কি একটা কথা বুঝেনা বাংলাদেশটা বাংলাদেশ আর বাংলাদেশের ইতিহাসটাই এমুন যে আলী বিরোধীতার এই অহেতুক খেলা বাংলাদেশ বিরোধীদেরই শক্তি যোগায়, চীন বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাকালে (১৯৭১) বাংলাদেশ বিরোদী ছিল, যুদ্ধবন্দি পাকিস্তানীদের ফেরত না পাঠানো পর্যন্ত বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয় নাই, ২০০৮ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে তাদের কোন উৎপাদনশীল বিনিয়োগ নেই, ২০০৪ সালে তাইওয়ান বিনিয়োগ করতে চাইলে প্রকাশ্যেই তার বিরোধীতা করে... এর পরও??? জামাতের না হয় ইসরাইলের বিপরীতে একটি মুসলমি রাস্ট্র প্রতিষ্ঠার মিশন, চীনপন্থিদেরটা কি আজো বুঝলাম না... চীনপন্থি বা অস্ত্রবাদী কমুনিষ্টরা সুযোগ পেলেই দেশের কোন না কোন সামরিক শাষকের প্রশংসা করবে এ লেখাটিতে তাও আছে... এ লেখাতে আনু সাহেব বলেছেন-আন্দোলনের মধ্যে জাহানারা ইমামকে একবার জিজ্ঞেস করেছিলাম, ‘আপনি কি মনে করেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় গেলে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হবে?’ জাহানারা ইমাম স্পষ্ট ভাবেই বলেছিলেন, ‘এমনি এমনি হবে না। আন্দোলন থাকতে হবে। ’ আমার প্রশ্ন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় না থাকলে এ আন্দোলন এতোক্ষনে শান্তিপূর্ন ভাবে কতগুলো সরকারী মামলায় পড়তো? জাহানারা ইমাম রাস্ট্রদ্রোহ মামলার আসামী হয়েছেন খালেদা জিয়ার আমলে... “এমনি এমনি হবে না। আন্দোলন থাকতে হবে” এটা আমরাও বিশ্বাস করি, কিন্তু লীগ ক্ষমতায় না থাকলে নূন্যতম রাস্ট্রদ্রোহ মামলার আসামী হতে হবে, কারন যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করতে ইচ্ছুক ব্যাক্তিটি, ৭ নভেম্বর ১৯৭৫ জাসদের সিপাহী জনতার বিপ্লবের মধ্যদিয়ে দেশের প্রথম সামরিক শাষক* হিসেবে সপথ গ্রহনকারী জেনারেল জিয়া, তার হাতেই আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন ১৯৭৩ বাতিল হয়েছিল ৩১ ডিসেম্বর ১৯৭৫-এ এবং জামাত রাজনীতি শুরু করে ১৯৮০তে, তার শাষনামলে, তা ভুলে গিয়েছিলেন জনাব আনু মুহম্মদ, ওহো জামাত, মুসলীম লীগ আর আপনারা মিলেই তো তার দল বিএনপি বানিয়েছিলেন... *চেতনা বা নীতি হত্যাকারীরা সবচেয়ে বড় দূর্নীতিবাজ... ------------------------- শিক্ষাই জাতীর মেরুদণ্ড বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধীরা ৭৫-৮০ সময়কালে রাস্ট্র ক্ষমতা দখল করে, পাঠ্য পুস্তকে ইতিহাস বিকৃতির মাধ্যমে তারা জন্মদেয় এক ছাগু-প্রজন্ম, এই প্রজন্মের সহায়তায় তারা তাদের ক্ষমতা জারি রাখে ১৯৯৬ পর্যন্ত। এটা হয়তো আরো দীর্ঘায়িত হত কিন্তু কম্পুটার ও নেট নামক প্রযুক্তি মিথ্যাচারের এই জালকে চ্যালেঞ্জ জানাতে থাকে... কম্পুটার ও নেট-এর বিরুদ্ধে তাই তারা ছিল খড়গহস্ত (৯১-৯৬ সময়কালে নিরাপত্তার নামে সাইবার কেবল লাইন-এর সঙ্গে যুক্ত না হওয়া, কম্পুটার পন্যে বিশেষ সুল্ক বহাল রাখা, মুঠো ফোনের লাইসেন্স উম্মুক্ত না করা, ভারতীয় বিনোদন ও পন্য বিজ্ঞাপন টিভি চ্যানেল সমূহকে অবাধ প্রবেশাধিকার দেয়া ইত্যাদী)।

তবুও সীমিত সুযোগের মধ্যেই ঘটে যায় জাহানারা ইমামের নের্তত্বে ৯২ এর ঘাতক দালাল নিমূল কমিটির আন্দোলন। ৯৬ থেকে দ্রুতই বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ইতিহাসটির বিস্তার ঘটতে থাকে... কিন্তু পাঠ্য পুস্তকের বাইরে যারা কোন পাঠ নেয় না, যারা কোরান-হাদিসকে নামাজ শিক্ষার বই ব্যাতিত অন্য কিছু মনে করে না, ১৯৭৫-২০০৮ কালের পাঠ্যপুস্তকের ছাত্র (১৯৯৭-২০০০ কালের পাঠ্যুস্তকও খুব ইতিহাস সমৃদ্ধ নয়), তারা তো রয়েই গ্যাছে... ‘শিক্ষাই জাতীর মেরুদণ্ড’ এটা বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধীরা ভালো মতই জানে তাই সেই মেরুদণ্ডে আঘাত হানতে তারা মরিয়া... Click This Link ৬মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতা বিরোধীরাই ৭ মার্চে হরতাল দেবার ইচ্ছে রাখে... বাংলাদেশের স্বাধীনতা বিরোধীরাই ৭ মার্চে হরতাল দেবার ইচ্ছে রাখে... বাংলাদেশের স্বাধীনতা বিরোধীরাই ৭ মার্চে হরতাল দেবার ইচ্ছে রাখে... বাংলাদেশের স্বাধীনতা বিরোধীরাই ৭ মার্চে হরতাল দেবার ইচ্ছে রাখে... বাংলাদেশের স্বাধীনতা বিরোধীরাই ৭ মার্চে হরতাল দেবার ইচ্ছে রাখে... বাংলাদেশের স্বাধীনতা বিরোধীরাই ৭ মার্চে হরতাল দেবার ইচ্ছে রাখে... বাংলাদেশের স্বাধীনতা বিরোধীরাই ৭ মার্চে হরতাল দেবার ইচ্ছে রাখে... Click This Link Click This Link ৫ মার্চ ‘সন্দেহ বা অবিশ্বাস কে নিয়ন্ত্রন কর, লড়াই সন্ত্রাস শাষন তথা মানুষ তোমার নিয়ন্ত্রনে’ জামায়াত চক্র, সামরিক শাষকেরা উপরের উল্লেখিত ফর্মূলাতেই কাজ করে, এই ফর্মূলা কাজে লাগিয়েই তারা ১৫ আগস্ট’৭৫ ঘটিয়েছে, ৭৫ থেকে ৯০ (জিয়া-এরশাদ) পর্যন্ত ভারত, আওয়ামী, মুজিব, ইসলাম বিষয়ক সন্দেহ উসকে দিয়ে এদেশের মানুষের উপর চালিয়েছে সামরিক শাষনের রোলার, এরাই গত ক’দিনের তান্ডব চালালো সরকারের উপর আমাদের আস্থা, সরকারী নীল নকশা, নাস্তিক আলোচনা ইত্যাদি ইত্যাদি সন্দেহকে কাজে লাগিয়ে... এখন প্রচার করবার চেস্টা করছে ইমরান এইচ সরকার-এর বাবা-দাদা রাজাকার... আমরা ইমরান এইচ সরকারের চেহারা দেখে শাহবাগ আসিনি, আমরা এসেছি আমাদের তাগিদে... ইমরানের কাছে আমাদের কৃতজ্ঞতা এ জন্য যে তিনি আমাদের চাওয়াটা আমাদের মনে করে দিয়েছেন... আমাদের চাওয়াটাকে ইমরান এইচ সরকার যতদিন ধারন করবেন ততদিন তিনি আমাদের সাথে থাকবেন... তিনি যদি সেটা থেকে বিচ্যুত হন তাহলে আমাদের পথ দু’ই দিকে হবে... একটি কথা আছে কুকুর ভুগে যায় হাতি চলে যায়... আমার দেশ পত্রিকা ভৌ ভৌ করেই যাচ্ছে করতে দিন... আমরা আমাদের ইমান শক্ত রাখী, এটাই আমাদের দায়ীত্ব... -------------------------------------- রাসুল (সাঃ) বৃক্ষ লাগানোর জন্য উৎসাহিত করেছিলেন, এরা কি তাঁর উম্মত? এরা মুনাফিক, গাছের জীবন আছে এ গনহত্যার বিরুদ্ধে ফরহাদ মজহার, খালেদা জিয়া কি বলবেন? (সংখাটা যখন ১০ হাজার, হত্যাটা য়খন নির্বিচার তখন এটা গনহত্যা) জামায়াত-শিবিরের নির্মমতায় প্রাণ হারাল ১০ হাজার গাছ! Click This Link ----------------------------------------------- গণহত্যা যার ইংরেজী Genocide, বেগম জিয়া তার বিবৃতিতে এ শব্দটিই ব্যবহার করেছেন, কিছুদিন আগে বি এন পি-র এক ব্যরিস্টার ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ এর আত্মসর্মপন দলীলে বাংলাদেশের নাম খুজে পাচ্ছিলেন না, এবারো ৩১ ডিসেম্বর ১৯৭৫-এ তাদের নেতা ৭ নভেম্বর ১৯৭৫ জাসদের সিপাহী জনতার বিপ্লবের মধ্যদিয়ে দেশের প্রথম সামরিক শাষক* হিসেবে সপথ গ্রহনকারী জেনারেল জিয়া কতৃক আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন ১৯৭৩ বাতিল হয়েছিল তা ভুলে গিয়েছিল... যাই হোক বি এন পি -জামাতের বুদ্ধিজীবি শ্রেষ্ঠ ফরহাদ মজহার, মাহমুদুর(আমার দেশ সম্পাদক) সহ সকলকেই গনহত্যা শব্দাট ব্যবহার করবার আগে এটা দেখে নিতে বলছি (http://en.wikipedia.org/wiki/Genocide)... মাননীয় বিরোধী দলীয় নেত্রী আপনার চারপাশে যারা, তারা কারা? Najib Tareque সঙ্গে গনতন্ত্র http://en.wikipedia.org/wiki/Democracy, ফ্যাসিস্ট http://en.wikipedia.org/wiki/Fascism শব্দ সমূহ সম্পর্কেও তাদের অবগতির জন্য... ৪ মার্চ আমরা ইমরান এইচ সরকারের চেহারা দেখে শাহবাগ আসিনি, আমরা এসেছি আমাদের তাগিদে... ইমরানের কাছে আমাদের কৃতজ্ঞতা এ জন্য যে তিনি আমাদের চাওয়াটা আমাদের মনে করে দিয়েছেন... আমাদের চাওয়াটাকে ইমরান এইচ সরকার যতদিন ধারন করবেন ততদিন তিনি আমাদের সাথে থাকবেন... তিনি যদি সেটা থেকে বিচ্যুত হন তাহলে আমাদের পথ দু’দিকে হবে... একটি কথা আছে--কুকুর ভুগে যায় হাতি চলে যায়... আমার দেশ পত্রিকা ভৌ ভৌ করেই যাচ্ছে, করতে দিন... আমরা আমাদের আত্মবিশ্বাস বা ঈমান শক্ত রাখী, এটাই আমাদের দায়িত্ব... ......................................................................................................শাহবাগ প্রজন্ম চত্বর আন্দোলনকে বিবিধ প্যাঁচালের প্যাঁচে ফেলে বিভ্রান্ত করবার প্রয়াস নেয়া হচ্ছে, আর সেটা সম্ভব হবে আমাদের পণ্ডিতি ফলানোর ইচ্ছার কারনে, পণ্ডিতি ফলাতে গিয়ে আমরা কাক ও শিয়ালের গল্পের মত সুকন্ঠি হতে গিয়ে ঠোটের মাংস খন্ডটি শিয়ালকে দিয়ে দিচ্ছি.... আসুন আমরা একদিন কোন স্ট্যাটাস দেবনা, খুব ইচ্ছে হলে স্বাধীনতা প্রজন্ম চত্বর বিরোধীদের বিভিন্ন পোস্ট-এ যুক্তিপূণ ও শালীন ভাষায় প্রতিবাদী কমেন্ট দেব ও ৮ ফেব্রুয়ারী ২০১৩-এ স্বাধীনতা প্রজন্ম চত্বরে নেয়া শপথটি নিজে বার বার উচ্চারন করবো ও সবার সঙ্গে শেয়ার করবো... যারা পারেন এ শপথটি মুদ্রিত আকারে ছড়িয়ে দিন গ্রামে ও খেটে খাওয়া মানুষের মাঝে... Click This Link জনৈক ছাগু পুলিশ কতৃক মিছিলে এক নারীকে নির্যাতনের ছবিতে ‘আমরা কোন সমাজে বাস করি’ টাইটেল লাগিয়ে পোস্ট করেছে, তার জবাব... যে সমাজ ৭১ এ আমাদের মা বোনকে ধর্ষন করে, যে সমাজ ৮৯-এ ছাত্রী মিছিলে হামলা করে, যে সমাজ ছাত্রী হলে রাতে পুলিশী হামলা করে (৯৪), যে সমাজ একাত্তরের ধর্ষক রাজাকারদের পূনঃবাসিত (৭৫-৮০) ও সমর্থন (২০১৩) করে.... ৩ মার্চ জনৈক ফর্দ মাজার* বলছেন----'যদি আমরা মনে করি ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে শাহবাগে ‘ফাঁসি চাই ফাঁসি চাই’ বললে পুলিশ আমাদের পাহারা দেবে, খানাপিনা, টয়লেট, পানি সরবরাহ করবে। আর কেউ সে স্লোগান না দিলে তাকে গুলি করে হত্যা করতে হবে, তখন এ রাষ্ট্রকে আর যা-ই হোক, গণতান্ত্রিক বলা চলে না। ’ জিজ্ঞেস করুন, রাস্ট্র আগে না গণতন্ত্র আগে? রাস্ট্র ব্যতিত গনতন্ত্র হয় কি না? রাস্ট্র যদি রাস্ট্রবিরোধীদের চিনতে না পারে তখন তাকে রাস্ট্র বলে কি না? *ফরহাদ মাজহার নামে লেখালেখি করে, আমেরিকান বহুজাতিক কোম্পানির হয়ে এন্টি মার্কেটিং এজেন্সি (উবিনিগ-প্রবর্তনা) চালায়, উনি ৭১-এর চীনপন্থি বা অস্ত্রবাদী কমুনিষ্ট ও ঘোষিত নাস্তিক, আওয়ামী বিরোধীতার ছলে যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে আওয়ামী করনের দিকে ঠেলে দিয়েছে তাদের মধ্যে অন্যতম বাখোয়াজ.... চলমান সহিংসতার প্রেক্ষিতে জীবনহানি সমূহকে গণহত্যা আখ্যাদিয়ে গণহত্যার সংজ্ঞাকে বিকৃত করবার প্রয়াস চালানোর প্রবক্তা এই ফ ম, এর সঙ্গে আছেন সাদেক খান, আসফদৌলা প্রমূখ... Matiar Raphael ‘রাষ্ট্রবিরোধী’ বলতে কি বোঝায়? কেউ আদৌ ‘রাষ্ট্রবিরোধী’ হতে পারে কি না। সেটা কিভাবে? সবাইই তো কোনো না কোনো ভাবে ‘রাষ্ট্র’পক্ষেই থাকে।

নয়তো এ দেশ ‘রাষ্ট্রের ভিতর’ থেকেই ‘স্বাধীন’ হলো কিভাবে? Najib Tareque Matiar Raphael যখন তুমি ইসলামের বিরোধীতা কর তখন তুমি ইসলাম বিরোধী, হিন্দু বা খ্রীস্টান বিরোধী নও, হয়তোবা ধর্ম বিরোধীও নও,কিন্তু মুসলমানের কাছে ধর্মবিরোধী ...ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের ভেতর থেকে জন্ম নেয় অনেক গুলি রাস্ট্র—যুক্তরাস্ট্র, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিন আফ্রিকা...এদের অধিকাংশকে নিয়েই কমনওয়েলথ সংস্থা(Click This Link), এই ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের ভারতবর্ষই দুটি রাস্ট্র আকারে জন্ম নিল ভারত ও পাকিস্তান নামে। পাকিস্তান ভৌগলিক ও সংস্কৃতিক ভাবেই ছিল দু’অংশে বিভক্ত। পাকিস্তানের পূর্ব অংশ, যা পূর্ব পাকিস্তান নামে পরিচিত ছিল তারা তাদের হাজার বছরের ভাষা ও সংস্কৃতিক পরিচয়কে কেন্দ্র করে ১৯৭১ এর ১৭ এপ্রিল (৫২ ভাষা আন্দোলনে যার সূচনা, ৭০ নির্বাচনে যা ম্যন্ডেট প্রাপ্ত, ২৬ মার্চ ৭১ এ যার ঘোষনা) একটি রাস্ট্র প্রতিষ্ঠা করে, যার নাম হয় বাংলাদেশ। ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের ভেতর থেকেই জন্ম নেয়া রাস্ট্রগুলির প্রতিষ্ঠার সময় কোথাও অস্ত্র হাতে যুদ্ধ হয়েছে (যুক্তরাস্ট্র) কোথাও শান্তিপূর্ন ও সশস্ত্র আন্দোলন হয়েছে (ভারত, পাকিস্তান, দক্ষিন আফ্রিকা) কোথাও আলেচনার মাধ্যমে (কানাডা, অস্ট্রেলিয়া)। সবখানেই রাস্ট্রটির প্রতিষ্ঠার প্রশ্নে বিরোধীতা ছিল, তবে কোথাও রাস্ট্রটির প্রতিষ্ঠার পর এই সব বিরোধীতাকে প্রশ্রয় দেয়া হয়নি, যুক্তরাস্ট্রে যুদ্ধের পর এইসব বিরোধীদের হত্যা(বাউন্টি কিলিং), দেশত্যাগে বাধ্যকরা হয়, অনেককে মৃত্যুদন্ড দেয়া হয়।

১৯৭১ এ যেহেতু একটি যুদ্ধ বা সশস্ত্র সংগ্রাম সংগঠিত হয়েছিল, তাই যারা এ দেশের ভুগোলের মধ্যে জন্মনেয়া এবং বসবাসরত বাংলাদেশ বিরোধী ছিল (জামাতে ইসলামী, মুসলীম লীগ, নেজামে ইসলামী, চীনপন্থি বা মাওবাদী কমুনিস্ট{একাংশ}) তাদের ১৬ ডিসেম্বরের পর বিচারের আওতায় আনবার প্রক্রিয়া শুরু হয়, এ প্রক্রিয়ার ধারাবাহিকতায় ১৯৭৩-এ গঠন করা হয় আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন ১৯৭৩, অনেকের প্রশ্ন আন্তর্জাতিক অপরাধ মানেটা কি? যাদের বিচার করা হবে তারা যেহেতু বিরোধী রাস্ট্রের প্রতি অনুগত, তারা কেহই বাংলাদেশ নামক রাস্ট্রটির নাগরিক নয়, যদিও সেই রাস্ট্র(পাকিন্তান) তাদের নাগরিক হিসেবে এখন আর স্বীকার করে না, তাদের অপরাধটি এ দেশের(বাংলাদেশ) নাগরীকদের বিরুদ্ধে, তাদের অপরাধটি তাই আন্তর্জাতিক অপরাধ। (দেশ বিহিন নাগরীকের অপরাধের বিচার কে করবে? এ দেশে বসবাসরত বিহারি ও রোহিঙ্গাদের বিচারও এ আদালতে হতে পারে) তাদের অপরাধটির বিচার তাই সাধারন আদালতে নয় বিশেষ আদালতে হওয়া প্রয়োজন। যেহেতেু এদের জন্ম বাংলাদেশ ভুগোলের মধ্যে তাই যারা খুন-হত্যা, ধর্ষন, লুটতরাজ বা অন্যান্য শাস্তি যোগ্য অপরাধ করেনি তাদের সাধারন ক্ষমা করা হয় ও এদেশের নাগরীক হয়ে উঠবার সুযোগ দেয়া হয় (এ সংখাটি ২৬ হাজার)। আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন ১৯৭৩ বাতিল করেন ৩১ ডিসেম্বর ১৯৭৫-এ, ৭ নভেম্বর ১৯৭৫ জাসদের সিপাহী জনতার বিপ্লবের মধ্যদিয়ে দেশের প্রথম সামরিক শাষক* হিসেবে সপথ গ্রহনকারী জেনারেল জিয়া এবং বিএনপি গঠিত হয় এই সব মুক্তিপ্রাপ্ত যুদ্ধাপরাধীদের সঙ্গে নিয়ে (৭৩ এ সাধারণ ক্ষমা প্রাপ্ত ২৬ হাজার+১১ হাজার বিচারাধীন)। *নির্বাচন ব্যতিরেকে শাসন ক্ষমতা দখল ও সামরিক শাষনজারী রাস্ট্রদ্রোহ অপরাধ ২ মার্চ বি এন পি -জামাত জোটের গনহত্যার বয়ান শুনে আমি হতবাক, এটা যদি গনহত্যা হয় তাহলে গনহত্যার সংজ্ঞা নতুন করে লিখতে হবে এটা বুঝতে পারছি.. ----------------------------- বাংলাদেশের সাংবাদিকতার দায়িত্বহীনতা কিংবা মূর্খতা অথবা মুক্তিযুদ্ধের প্রশ্নে অবস্থানের অস্বচ্ছতা নিয়ে বলতে বলতে ক্লান্তি বোধ করছি— আজকের প্রথম আলোর সংবাদ থেকে উদ্ধৃত করছি ‘জামায়াতের সহিংসতায় নিহত আরও ৩-জামায়াতে ইসলামীর নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ফাঁসির রায়কে কেন্দ্র করে দেশব্যাপী দলটির সহিংসতা অব্যাহত আছে।

গতকাল শুক্রবারও দলটির নেতা-কর্মীরা দেশের ’ এই রির্পোটার ও সম্পাদককে কে বলবে জামাতের নেতার আগে সাইদী ৭১-এর যুদ্ধাপরাধী তাকে সেই অপরাধেই ফাঁসি দেয়া হয়েছে... ---------------------------------- মুক্তিযুদ্ধ বিরোধীদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সংক্রান্ত যে কোন কিছুতেই ভয়--- বাংলাদেশকে প্রথম স্বীকৃতি প্রদানকারী রাস্ট্র ভূটানের রাজা যখন শুভেচ্ছা সফরে, তখন তারা হরতাল দিল, মুক্তিযুদ্ধের বন্ধু রাস্ট্র রাশিয়ার (সোভিয়েত) সঙ্গে চুক্তি নিয়ে তারা বললো ‘চুক্তির সকল কিছু প্রকাশ করতে হবে’, কিন্তু ১৯৭৫ এর পর থেকে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতাকারী চীনের কাছথেকে তারা ধারাবাহিক ভাবে অস্ত্র কিনেছে, তার কোন কিছু কি তারা কখোনো প্রকাশ করেছে? আর ভারত বিরোধীতার জু জু তো আছেই... ১ মার্চ ছোটবেলায় বড়দের মুখে শুনতাম-বাংলাদেশের রাজনীতি আওয়ামী লীগ ও আওয়ামী বিরোধীতা এ দু’ভাগে বিভক্ত, এখোনো তাই, এবং এটা করতে গিয়ে দেশ যদি গোল্লায় যায় আওয়ামী বিরোধীদের তাতে কিছুই যায় আসে না, এটাই দেখছি আমার জ্ঞান হবার পরথেকে, এবং আওয়ামী বিরোধীতায় এরা ইসলামকে ব্যাবহার করে, আর আওয়ামী বিরোধীদের অন্ধত্ব এমন এক পর্যায়ে যে এরা নিজের অজান্তে (অথবা জেনে শুনে) মুক্তিযুদ্ধেরও বিরোধী হয়ে ওঠে... আমার আক্ষেপ এই অন্ধত্বই আওয়ামী বিরোধী একটি কার্যকর রাজনৈতিক দল গঠন হতে দিল না। -------------------------------------- যারা আজ বিএনপি নেত্রীর ঘোষনায় হতাশ, মর্মাহত তাদের স্মরণ করিয়ে দিতে চাই- আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন ১৯৭৩ বাতিল করেন ৩১ ডিসেম্বর ১৯৭৫-এ, ৭ নভেম্বর ১৯৭৫ জাসদের সিপাহী জনতার বিপ্লবের মধ্যদিয়ে দেশের প্রথম সামরিক শাষক হিসেবে সপথ গ্রহনকারী জেনারেল জিয়া, এবং বিএনপি গঠিত হয় এই সব মুক্তিপ্রাপ্ত যুদ্ধাপরাধীদের সঙ্গে নিয়ে (৭৩ এ সাধারণ ক্ষমা প্রাপ্ত ২৬ হাজার+১১ হাজার বিচারাধীন)। আজ কি তারা(বিএনপি) এর উল্টো দিকে হাটতে পারে। কেউ কেউ বলছে এর ফলে দেশে সামরিক শাষন ফিরে আসতে পারে- তাদের মনে করিয়ে দিতে চাই জেনারেল জিয়া দেশের প্রথম সামরিক শাষক হিসেবে সপথ গ্রহনকারী। বিএনপি (জে জিয়া) ও জাতীয় পার্টি (জে এরশাদ) জনগণের ট্যাক্সের পয়সায় সামরিক বাহিনী তথা সামরিক গোয়েন্দা বাহিনীর তত্বাবধানে তৈরী দল।

সামরিক শাষনের আকাঙ্খা নিশ্চই তাদেরই বেশী। এটা ছিল ১৯৭২-এর সরকারের নিতান্তই উদারতার নিবুর্দ্ধীতা- ১৯৭২-এ বাংলাদেশের প্রশাসন ও সেনাবাহিনীতে এ ৪ ধরনের লোককে নিয়োগ দেয়া-ক)যুদ্ধে অংশগ্রহন না কারী কিন্তু পাকিস্তান ও বাংলায় পাকিস্তান সরকারের আজ্ঞা পালনকারী তথাকথিত দক্ষ জনবল। খ) মুক্তিযুদ্ধকে ‘দুই কুকুরের লড়াই’ ঘোষনাকারী চীন পন্থি গ)মুাক্তযুদ্ধের চেতনায় সমৃদ্ধ নয় এমন হটাৎ অংশগ্রহন কারী মুক্তিযোদ্ধা ঘ)প্রান ভয়ে যুদ্ধে অংশগ্রহন না কারী পলাতক/শরনার্থী তথাকথিত দক্ষ জনবল এবং ২৬ হাজার রাজাকারকে সাধারন ক্ষমার ঘটনা। এর সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সেনাবাহিনীকে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর আদলে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ইনক আকারে তৈরী হতে দেয়া। ১৯৭৫-এর আগস্ট এই উদারতার নিবুর্দ্ধীতারই ফল।

(কর্ণেল তাহের সহ অনেকেই সেনাবাহিনী ইনক-এর বিরোধীতা করবার কারনেই চাকুরীচ্যুত হন, সেনাবাহিনী ইনক-এর বিরোধী এইসব মুক্তিযোদ্ধা সামরিক কর্মকর্তা ১৫ আগস্ট, ৭৫-৮১ সময় কালে বিভিন্ন ভাবে নিহত হন। সেনাবাহিনী ইনক-এরই প্রমান সেনাবাহিনী ও সেনাকল্যান সংস্থা ও তার বিভিন্ন বানিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, একই কারনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর {সেনা, বিমান, নৌ} বিভিন্ন বিজ্ঞাপন আজো বহুজাতিক কোস্পানীর ন্যায় ইংরেজীতেই প্রচারিত হয়। এ কারনেই বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর {সেনা, বিমান, নৌ}পরিচিতিতে ‘দেশ-প্রেমিক সেনাবাহিনী’ ‘স্বাধীনতা স্বাভভৌমত্বের প্রতিক’ ইত্যাদি ধরনের বিজ্ঞাপনের ভাষায় ট্যাগ লাইন-পাঞ্চ লাইন প্রয়োজন হয়) --------------------------- Shahriar Lin রাষ্ট্র তার নাগরিকের নিরাপত্তা দেবে, এখানে অন্য কোন অজুহাতের কোন অবকাশ নাই। কানসাট আন্দোলনের মত কোন আন্দোলন হোক বা গত কিছুদিনের মত একটি নির্দিষ্ট দলের সন্ত্রাস, এধরনের ঘটনায় নাগরিকদের নিরাপত্তা প্রদানে ব্যর্থতার দায় সরকারী ও বিরোধী উভয় জোটের, কারন তারা উভয়েই আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও বিচার ব্যবস্থাকে প্রশ্নের উর্দেধ রাখতে ব্যর্থ হয়েছে। Shahriar Lin এক বলিনি।

দেশের মানুষ তাদের খেলার পুতুল নয় যে এক একটা দায়িত্বজ্ঞানহীন বক্তব্য অথবা কর্মসুচী দিয়ে এরা জনগনের লাশ নিয়ে ভোট ভোট খেলবে। আজকে যখন বিরোধী দলীয় নেত্রীর বক্তব্য খুব একপেশে ছিল। তিনি যদি প্রশ্ন তুলতেন কেন সরকার শেষ বছরে এসে বিচার শেষ করছে, কেন নতুন প্রজন্মকে রাস্তায় নেমে আসতে হলো, কেন ২০০৬ এর সরকার আমলে এ বিচার শুরু হয়নি, কিংবা কেন সরকার গত কিছুদিনের তান্ডবে এতগুলো প্রাণ ঝরে যেতে দিল, তাহলে তাকে দায়িত্বশীল এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারনকারী একটি বিরোধীদলের মুখপাত্র মনে হতো। তিনি নতুন প্রজন্মের অহিংস আন্দোলনের স্লোগানে ফ্যাসিবাদ দেখেছেন, কিন্তু জামাত-শিবিরের তান্ডবে মানুষ পুড়িয়ে মারা থেকে শুরু করে মন্দির-মসজিদ ভাঙা পর্যন্ত কোথাও ফ্যসিবাদ দেখতে পাননি ! অপরদিকে সরকার ‘মৃদুমন্দ শাষনে’র নীতি গ্রহন করে জনগন’কে যেভাবে নিরাপত্তাহীনতার দিকে ঠেলে দিয়ে দেশের সার্বভৌমত্ব বিপন্ন করে তুলছে, তাতে তাদের ভোটের অংক হয়ত মেলে, কিন্তু জনগনের দেয়া দায়িত্বপালন হয়না। Najib Tareque দেশে যদি বিএনপি বা ছাগু না থাকতো তবে এই সব রাজাকার বা মুক্তিযুদ্ধ তথা বাংলাদেশ বিরোধী যুদ্ধাপরাধীর বিচারতো কবেই হতো, এ সহজ কথাটা কে কাকে বুঝাবে... Najib Tareque কানসাট ও জামাতের তান্ডব এক নয়... হিংস্রতা হয়তো সমর্থন করবো না, হয়তো বলবো পুলিশের একটু সহনশীল হওয়া উচিত ছিল... কিন্তু নাগরীক দায়টুকু সরকারের কাধে চাপনোর আগে একটু ভাববো... জেনারেল জিয়া যদি ৩১ ডিসেম্বর ১৯৭৫ এ আইন বাতিল করে এই সব রাজাকার বা মুক্তিযুদ্ধ তথা বাংলাদেশ বিরোধীদের বিচারের হাত থেকে মুক্তি না দিতেন তাহলে আজকের পরিস্থিতির জন্ম হতো না, সোজা ভাবে বললে বলতে হয় দেশে যদি বিএনপি বা জামাত না থাকতো, যদি তাদের সমর্থক ছাগুরা না থাকতো, তবে এই সব যুদ্ধাপরাধীর বিচারতো কবেই হতো, এ সহজ কথাটা কে কাকে বুঝাবে... Click This Link Shahriar Lin তোর আতলামি টা বুঝি।

জানিস না হয়ত কিংবা জেনেও না জানার ভান করছিস...বিরোধী নেত্রী’র বক্তৃতার পর ব্যক্তিগত কথোপকথনে উপরোক্ত দু’একটি প্রশ্নের উত্তরে একজন তরুন বিরোধীদলীয় নেতা বললেন, এ ধরনের বক্তব্য দেয়া ছাড়া নেত্রী’র উপায় ছিল না, কারন দেশে এখন দু’টি ধারায় রাজনীতি চলছে, একটা আওয়ামিলীগ পন্থী, আরেকটি বিরোধী। সচেতন নাগরিকরা তা মনে করে না। তিনটি ধারা চলছে আসলে, একটা জনগনের চেতনা ও আবেগ-কে পুঁজি করে ভোট যুদ্ধে জেতার, আরেকটি বাংলাদেশকে ধর্মান্ধ-ফ্যসিষ্টেএকটা “বাংলাস্থান” বানানোর, এবং দল-বিহীন অদৃশ্য একটি ধারা মুক্তিযুদ্ধে’র চেতনায় ধর্ম-নিরপেক্ষ বাংলাদেশ গড়ার কথা ভাবছে। সচেতন নাগরিকগণ এবং নতুন প্রজন্ম এই তৃতীয় ধারার, কিন্তু তারা সংগঠিত নন, কোন দলের কাঠামোতে নেই। এটা সেই তৃতীয় শক্তি, যা নিয়ে অনেকের অনেক জল্পনা-কল্পনা চলেছে, কিন্তু তল খুঁজে পায়নি কেউ।

পায়নি কারন এটা ভোটে দাঁড়ানোর রাজনীতি নয়, শুধুমাত্র সাধারণ নাগরিকদের সচেতনতার প্রতিফলন, এটাকে কোন দলের কাঠামোতে বন্দী করা যাবে না। Najib Tareque হু, ভারী চিন্তার বিষয়, ভোট বিহীন ভোট ভোট খেলা কেমনে খেলা যায়? অবশ্য বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা মহাসচীবের পুত্র ও সামরিক শাষক এরশাদের (প্রাক্তন) চেলারা এরকম একটি ম্যাজিক্যাল বা জাদুকরি বিষয় নিয়ে দারুন ভাবিত তা আমরা বুঝতে পারছি, কিন্তু সেখানেও বিষয়টি প্যাঁচ খাচ্ছে....ইসলাম ও আওয়ামী লীগ, বাংলাদেশ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাদ পড়ে যাচ্ছে... শাহবাগ হচ্ছে বাংলাদেশ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সন্ধান... আপাতত ভোট ভোট খেলায় আওয়ামী লীগ হয়তো লাভবান হবে, কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের চেতনাই আওয়ামী লীগকে বাধবার সবচেয়ে শক্তিশালী দড়ি, ইসলাম নয়, সামরিক শাষনের ভুত তো নয়ই... ------------------------------------------------- Shahriar Lin গত দু’দিনরে ৪২ টি হত্যাকান্ডসহ ’৯০ থেকে এযাবৎ-কালের এ ধরনের সকল হত্যাকান্ডের দায় সরকারী ও বিরোধী উভয় জোটকেই নিতে হবে... Najib Tareque হিংস্রতা হয়তো সমর্থন করবো না, হয়তো বলবো পুলিশের একটু সহনশীল হওয়া উচিত ছিল... কিন্তু নাগরীক দায়টুকু সরকারের কাধে চাপনোর আগে একটু ভাববো... Click This Link Shahriar Lin পুলিশের সহনশীল হওয়া বলতে তু কি বুঝিস ? দাড়িয়ে মারা যাওয়া ? ৪ জন পুলশ মারা গেছে, সহনশীল থেকে আরও ৪০ জন মারা যাওয়া উচিৎ ছিল ? Najib Tareque ৪ জন পুলশ মারা গেছে, সহনশীল থেকে আরও ৪০ জন মারা যাওয়া উচিৎ ছিল ? এ প্রশ্নটাই করতে চাই...ব্যারিস্টার পার্থ, ফর্দ মাজার, ছাদু খান, খালদে জিয়া, Fuckরুল, মদুদ ও বাকী ছাগুদের... ২৮ ফেব্রুয়ারি জামায়াত নেতা দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর ফাঁসির রায়: এ রায় আনন্দ দায়ক, এ রায় সস্তিদায়ক... কিন্তু এখোনো রয়ে গেছে ১১+২৬ হাজার রাজাকার, সঙ্গে বর্তমান জামাত+শিবির+বিএনপি (একাশং)+জাতীয় পার্টি (একাশং)+হয়তো কিছু আওয়ামী লীগও... আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন, ১৯৭৩ বাতিল করা হয়েছিল ৩১ ডিসেম্বর ১৯৭৫-এ, যারা করেছিল তারাও রাজাকার, এরা ৭১ এর রাজাকারের চেয়েও ভয়ঙ্কর... এ সময়ে ছাড়া পাওয়া রাজাকারদের তালিকা প্রকাশ করার সময় এসেছে, সঙ্গে আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন, ১৯৭৩ বাতিল প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত সচিব-কর্মকর্তাদের নামও প্রকাশ করা হোক... আমাদের সাংবাদিকতা কি এ কাজটা করতে সক্ষম? ----------------------------------------------------------- Saifullah Mahmud Dulal বিএনপি ও জামাত একই মায়ের পেটের দুই ভাই - রাজাকার সাইদী ! ( প্রথম আলো ২৪ সেপ্টেম্বর ২০০৫ ) Click This Link Najib Tareque আমাদের সুশীল সমাজ এটা বুঝলে হয়, দুই নেত্রীকে হাত মেলানোর আবদার তারা এর পরও কিভাবে করেন???? ------------------------------------------------------ কিছু বিষয় থাকে যেখানে বিষয়ই সব কথা বলে... Click This Link Sultana Rahman's status: মুখ ভর্তি কাচাপাকা দাড়ি, মাথায় জিন্নাহ টুপি, পরনে মলিন কোট। পিঠে ছোট কাঠিতে বাধা হলুদ মানচিত্র খোদিত বাংলাদেশের পতাকা। মুখে কোনও শব্দ না করে স্লোগানের তালে তালে ক্রমাগত নাড়ছেন হাত-মাথা। সকাল থেকে সন্ধ্যা, এক মুহুর্তের জন্যও তাকে ক্লান্ত হতে দেখিনি।

প্রায় ষাট বছর বয়সী একজন মানুষের এতো শক্তি আর উদ্দীপনা শাহবাগের সবারই চোখে পড়েছে। অনেক তরুনও তার ষাট বছর বয়সের কাছে নস্যি। ৫ ফেব্রুয়ারী থেকে প্রতিদিনই তাকে দেখেছি শাহবাগে। আজ বিকেলে দেখলাম সেই একই বেশভূষায় বসে আছেন যাদুঘরের সামনের আইল্যান্ডে। এগিয়ে গিয়ে জিজ্ঞেস করলাম, ‘চাচা, প্রতিদিন আসেন?’ বললেন, ‘যখনই সুযোগ পাই চলে আসি।

না আসলে ভালো লাগেনা। ’ আপনার নাম কি? কি কাজ করেন? একটি বিজনেস কার্ড বের করে দিলেন। নাম ফজলুর রহমান। পারচেজ অফিসার, হলিফ্যামিলি হাসপাপাতাল। বলি, কোন রাজনৈতিক দলে আছেন?’ ‘না আম্মা।

তবে বঙ্গবন্ধুকে বড় ভালোবাসি। তার কথা ভাবলে চোখে পানি চলে আসে’। বলতে বলতে তার চোখ সত্যিই ছলছল করে ওঠে। আমার আর কিছু বলতে হয়না, নিজে থেকেই বলতে থাকেন, ‘অনেকে বলে বঙ্গবন্ধুকে ভালোবেসে কি পাইছো? আমি বলি সব পাইছি। সব কিছু পাইছি।

এই যে যখন নবাবপুর যাই, বড় বড় দোকানপাট দেখি, সব আমরা-বাঙ্গালীরা। আগে বিহারী-পাকিস্তানীরা ছিলো এইসব দোকানের মালিক, আর আমরা ছিলাম ওইসব দোকানের কর্মচারী, চা আনার পিয়ন। এখন আমরাই মালিক। বঙ্গবন্ধু আর কি দেবে আমাদের?“ প্রশ্ন করি, মুক্তিযোদ্ধা আপনি? ‘হ আম্মা। এই জন্যই তো শরীরে এতো ঘিন্না।

রাজাকাররা যে কি অত্যাচার করছে যতদিন বাইচ্চা আছি কোনদিন ভুলবনা। ক্যাম্পে-বাঙ্কারে আটকাইয়া রাইখা ঘরের বউ-মেয়েদের যে অত্যাচার করছে তা মুথে বইলা বোঝানো যাবেনা। ক্যাম্প থেকে তাদের বের করতে গেছি, কিন্তু ভেতর থেকে তারা বলছে-আপনারা আইসেন না। আমাদের শরীলে কোন কাপড় নাই। একটা কাপড় ৩/৪ টুকরা কইরা তাদেরকে সেখান থেকে বের করে আনছি।

কাউরে মুখ দেখতে দেই নাই-পরে বলবে অমুকের মেয়ে, অমুকের বউ। রাজাকারদের আমরা যেমন ঘিন্না করি তরুন প্রজন্মও ওই রকম ঘিন্না করে। ওরা জীবনেও এই দেশে কিছু করতে পারবেনা। “ টুকটাক আরও কিছু কথা বলে আমি হেটে যাই ছবির হাটের দিকে। দেখি চল্লিশ পয়তাল্লিশ বছরের এক পুরুষ রাজাকারদের ছবি তুলছেন।

সম্ভবত চারুকলার ছেলেমেয়েদের শিল্লকর্ম। পুরুষটি তার সঙ্গীনীকে উদ্দেশ্য করে বলছেন, ‘ছবি তুলে রাখলাম। ছেলেমেয়ে বড় হয়ে জানতে চাইলে বলতে পারবো আমিও ছিলাম। “ ২৭ ফেব্রুয়ারি আমার ফ্রেন্ড,তারা ক্লাশে ফেল করত,এখন বুদ্ধিজীবী সেজেছে!আসাফদ্দৌলা Click This Link Najib Tareque ইউরোপ আমেরিকায়তো ভাই জামাত-শিবির রাজাকার আসফদৌলা নেই... শাহবাগ প্রজন্ম চত্বর আন্দোলনকে বিবিধ প্যাঁচালের প্যাঁচে ফেলে বিভ্রান্ত করবার প্রয়াস নেয়া হচ্ছে, আর সেটা সম্ভব হবে আমাদের পণ্ডিতি ফলানোর ইচ্ছার কারনে, পণ্ডিতি ফলাতে গিয়ে আমরা কাক ও শিয়ালের গল্পের মত সুকন্ঠি হতে গিয়ে ঠোটের মাংস খন্ডটি শিয়ালকে দিয়ে দিচ্ছি.... আসুন আমরা একদিন কোন স্ট্যাটাস দেবনা, খুব ইচ্ছে হলে স্বাধীনতা প্রজন্ম চত্বর বিরোধীদের বিভিন্ন পোস্ট-এ যুক্তিপূণ ও শালীন ভাষায় প্রতিবাদী কমেন্ট দেব ও ৮ ফেব্রুয়ারী ২০১৩-এ স্বাধীনতা প্রজন্ম চত্বরে নেয়া শপথটি নিজে বার বার উচ্চারন করবো ও সবার সঙ্গে শেয়ার করবো... এ শপথটি সাইবার ও মুদ্রিত আকারে ছড়িয়ে যাক সর্বত্র্র, যারা পারেন... Click This Link Najib Tareque "যারা বিভ্রান্ত হচ্ছে তারা সরল মুসলমান, কিন্তু তাদের যারা জেনেশুনে মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করছে, তারা কি মুসলমান? সরলেরা মুসলমান কিনা নিশ্চিত নই, তবে মিথ্যা তথ্য দাতারা কাফের তা নিষ্চিত.... Click This Link Najib Tareque আসফদৌলা ঠিকই বলেছেন, রাজাকারদের শুধু টুপিদাড়ী ওয়ালা দেখোনো হবে কেন? আসফদৌলা, মাহমুদুর রহমান বা শিবিরের জিন্স পড়ারা কি রাজাকার নয়? ২৬ ফেব্রুয়ারি বি এন পির নেতারা তাদের সমাবেশ থেকে বলেছেন-তরুন প্রজন্মের উচিত ফাঁসির রাজনীতি না করে ভালবাসার রাজনীতি করতে.... ওনারা ভালোবেসে কর্নেল তাহেরকে ফাঁসিতে মেরেছিলেন... মুজিব-তাজুদ্দিনের হত্যাকারী রশীদ-ফারখ গংকে ভালোবেসে রাস্ট্রদূত ও অন্যান্য পদে বসিয়ে ছিলেন... ১৯৭৫ এর ৩১ ডিসেম্বর আইন বাতিল করে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী লক্ষ লক্ষ সাধারন মানুষকে হত্যা ও নির্যাতন কারী জামাত-রাজাকারদের বিচারের হাত থেকে বাঁচিয়েছিলেন... এখোনো সে ভালোবাসায় কোন কমতি দেখা যাচ্ছে না... তরুন ভায়েরা একটু ভেবে দেখবেন? এই ভালোবাসা আপনারা নিবেনতো????? -------------------------------------------------------- Bijoy Majumdar সরকার কোথাও বলেনি যে ধর্মের অবমাননাকারীদের বিচারে তারা বাঁধা দেবে। ইসলামী সমমনা দলগুলো প্রামাণ সহকারে আদালতে যেতে পারে।

রাজপথে হানাহানির প্রয়োজন কি? Najib Tareque আইন মানলে মুসলমানের জাত যায়, তাই আদালতে নয় রাজপথে (খোলা তলোয়ার নিতে পারছিনা যদি জনগন পিটায়)... Bijoy Majumdar বস, যারা বিভ্রান্ত হচ্ছে তারা সরল মুসলমান, কিন্তু তাদের যারা জেনেশুনে মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করছে, তারা কি মুসলমান? Najib Tareque সরলেরা মুসলমান কিনা নিশ্চিত নই, তবে মিথ্যা তথ্য দাতারা কাফের তা নিষ্চিত.... Click This Link Najib Tareque Click This Link ---------------------------------------------------------- Johirul Quazi Islam সরকার খুব বিপদে আছে . মুখে মুখে Projonmo chottorke shomorthon korleo, jamater shathe ekti shomjhotar karone ekhan Phata banshe atke achhe. Najib Tareque সরকার যা করবে সেটা তাদের ব্যাপার, দাবী আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা অনড়, আমরা জানি না কাঁদলে মাও বাচ্চাকে দুধ দেয় না, আমরা ঘুমিয়ে না পড়লেই হয়...দাবী আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা অনড়... ------------------------------------------------------------ Moinul Ahsan Saber ২৭ দেশের কূটনীতিকদের সঙ্গে আলোচনায় শাহবাগ প্রশ্নে বিএনপি বলেছে, ওই আন্দোলনের ফসল সরকার ঘরে তুলতে চেয়েছে, যা জনগনের কাছে ধরা পড়ে গেছে। সরকার আন্দোলনের ফসল ঘরে তুলতে চেয়েছে বা তুলে যাচ্ছে, এ পুরনো কথা। কিন্তু বিএনপি আন্দোলনের ফসল ঘরে তোলার চেষ্টা না করে, কোন ফসল ঘরে তুলতে চাইছে, কথা এটাই। Najib Tareque "তাদের নেতা দেশের প্রথম সামরিক শাষক যে রকম বাই চান্স স্বাধীনতার ঘোষক (২১ থেকে ২৫ মার্চ পর্যন্ত পাক ভাইদের জন্য সোয়াত জাহাজ থেকে অস্ত্র খানাস করে বেলাল বেগ এর গাধামীতে ২৭ মার্চ স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের লিখিত ঘোষনা পাঠ), যে রকম বাই চান্স দেশের শাষক (৭ নভেম্বর, ১৯৭৫), সে রকম এক বাই চান্স এর অপেক্ষায় বি এন পি। তাদের কথা অনুযায়ী সকল কিছু আওয়ামী ণীগই করে...তারা কিছুই করেন না...আমার প্রশ্ন তাদের ইতিহাস ও বক্তব্য দু’ভাবেই তারা বাই চান্স, এ রকম নপুংসক একটি দলকে মানুষ কেমনে সমর্থন করে????" ২৫ ফেব্রুয়ারি Jamaat Dhaka City এর পোস্ট প্রকাশ্যে পুলিশ গুলী করে মারলো! এর জবাব... গত ৩৫ বছর ধরে প্রশাসন ও বিভিন্ন বাহিনীতে কাদের নিয়োগ হয়েছে, তারা কি তাদের দায়িত্ব পালন করবে না? শাহবাগ ডাইরি ২০১৩ টা পড়ুন...সাধারন তারুন্য কে বিভ্রান্ত করবার জন্যই এ সব...ক মাস আগে বি এন পির সমাবেশ এর তিন দিন আগে ডিআইজির গাড়ী হাইজ্যাক হয়েছিল মনে আছে, কিভাবে? কেন? কিংবা ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.