আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পর্দা না করার কুফল

আমি সরল মানুষ বেপর্দা হওয়া এবং রূপ প্রদর্শন করা অতি দুর্বল ও নোংরা মানসিকতার বহিঃ প্রকাশ। কোন ভদ্র ও কুলিন ঘরের মহিলারা বেপর্দা হয় না। ধর্মপ্রাণ মু’মিনাদের কথা আলাদা। একজন পর্দানশীন মহিলাকে দুর্বত্তরাও সম্মান ও শ্রদ্ধা করে থাকে। আর বেপর্দা মহিলারা সমাজে নানা সমস্যা তৈরি করে থাকে।

সমাজে মহিলা সংক্রান্ত যত অনিয়ম ও পাপাচার হচ্ছে তার একমাত্র কারণ বেপর্দা হওয়া। ঘরের বাহিরে কঠিন কাজ করার দায়িত্ব এবং সংসারে ভরণ-পোষণের দায়িত্ব পুরুষের। মহিলারা গৃহ অভ্যন্তরে থেকে সন্তান লালন পালন করবে এমন শারীরিক কাঠামো ও গঠন দিয়ে আল্লাহ্‌ পাক মানুষ সৃষ্টি করেছেন। নারী পুরুষের কর্মক্ষেত্রে সম্পূর্ণ আলাদা। প্রয়োজনে মহিলারা ঘরের বাইরে যাবে না- এমন কথা নয়।

তবে ঘরের বাহিরে তাদের সম্পূর্ণ পর্দা করে যেতে হবে। মেয়েদের বেপর্দা ইসলাম ধর্মে সম্পূর্ন নিষেধ। এই নিষেধ না মানার কারণে প্রতিনিয়ত ঘটে যাচ্ছে অসংখ্য অঘটন। এসবের কিছু আমরা পত্রিকার বদৌলতে জানতে পারি। আর বেশি সংখ্যক ঘটনা অজানাই রয়ে যায়।

এ রকম কিছু ঘটনা যা পত্রিকায় প্রকাশ পেয়েছে সেই নিষ্ঠুর ঘটনার দিকে পাঠকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। পঙ্গু হাসপাতালের এক সিনিয়র ডাক্তার তার স্ত্রীকে হত্যা করে পায়ের রগ কেটে দেয় এবং তার চক্ষুদ্বয় উপরে ফেলে। নির্মম এই হত্যার কারণ ডাক্তার সাহেবের পরকীয়া সম্পর্কিত। আর এই পরকীয়ার পেছনে কাজ করেছে বেপর্দা এবং অবৈধ মেলামেশা। বেপর্দার কারণে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক কর্তৃক ছাত্রী নির্যাতন, রোকেয়া হলে ছাত্রী আত্মহত্যা এবং প্রতিদিন এ ধরনের অসংখ্য ঘটনার জন্য দায়ী একমাত্র বেপর্দা।

আর এই সাধারণ বিষয়টি বুঝতে বেশি বিদ্যাবুদ্ধিরও প্রয়োজন হয় না। বেপর্দা থেকে সৃষ্ট সকল অঘটনের সমাধান শুধু পর্দা গ্রহণ করা। যতদিন মহিলাগণ বেপর্দা হবে ততদিন সমাজে নারীর প্রতি নির্যাতন বাড়বেই। সৃষ্টিগতভাবে নারীর প্রতি রয়েছে পুরুষদের দারুন আকর্ষণ। আর এই আকর্ষণ থেকেই অঘটন।

এ সব সমস্যার সমাধান একমাত্র পর্দা। পশ্চিমা আধুনিকতার যাঁতাকলে পরে বর্তমানে মহিলারা বেশি বেহায়া ও বেপর্দা হচ্ছে। এ সমস্যার সমাধান শুধু মহিলারাই নয়, মহিলাদের অভিভাবকদেরও এগিয়ে আসতে হবে। মহিলাদের পর্দা গ্রহণে উৎসাহী করতে হবে। মহিলারা ধার্মিক হলে সমাজ নারী সংক্রান্ত সকল অপরাধ থেকে মুক্তি পাবে।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।