আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বে-পর্দা নারী আল্লাহর রহমত থেকে বঞ্চিত এবং বে-পর্দা জাহান্নামের দিকে ধাবিত করে.......



বে-পর্দা নারী আল্লাহর রহমত থেকে বঞ্চিতঃ আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের প্রিয় হাবীব হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন-"অচিরেই আমার শেষ জামানার উম্মতের মধ্যে এমন কিছু নারীর আগমন ঘটবে যারা পোশাক পরিচ্ছদ পরিধান করে উলঙ্গ থাকবে এবং তাদের মাথার উপর উটের মত ঝুটি থাকবে। তোমরা তাদের অভিশাপ কর। যেহেতু তারা অভিশপ্ত। " বে-পর্দা জাহান্নামের দিকে ধাবিত করেঃ হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন-"দুই শ্রেণীর দোযখবাসীকে আমি এখনও দেখিনি, তাদের এক শ্রেণীর হাতে গরুর লেজের মত লাঠি থাকবে এবং তা দিয়ে মানুষকে প্রহার করবে এবং ঐ সব স্ত্রীলোক যারা পোশাক পরিধান করেও উলঙ্গ থাকে। পর-পুরুষকে নিজেদের দিকে আকৃষ্ট করবে।

তাদের মাথা বড় উটের মাথার মত হবে। তারা জান্নাতে প্রবেশ করবে না এবং তার ঘ্রাণও পাবে না। " বে-পর্দা এক প্রকার ভন্ডামিঃ হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন-"তোমাদের স্ত্রীদের মধ্যে উত্তম হল তারা যারা স্থেহপরায়ণ, অধিক সন্তান প্রশবকারিনী বিনম্র সংবেদনশীল, কেননা, তারা আল্লাহ পাককে ভয় করে এবং তোমাদের স্ত্রীদের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ হল তারা যারা প্রকাশ্যে চলাফিরা করে ঘোড়ার মত চটপটে এবং তারাই হল মুনাফেক। তাদের মধ্যে কেউ জান্নাতে প্রবেশ করবে না। " বে-পর্দা অপমানজনকঃ ইমাম আল মানাভী (রহ.) বর্ণনা করেন যে, নবী করীম হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন-"কোন নারী বাড়িতে স্বামী ব্যতীত অন্য কারও সামনে পোশাক-পরিচ্ছদ ছেড়ে অনাবৃত হয়ে কাউকে তার সৌন্দর্য প্রদর্শন করে তবে সে যেন আল্লাহ ও তার মধ্যকার বন্ধন পর্দাকে ভেঙ্গে ফেলল।

" মহান আল্লাহ পাক ঘোষণা করেছেন-"হে বনী আদম! আমি তোমাদের জন্য পোশাক অবতীর্ণ করেছি সাজসজ্জার বস্তু হিসেবে এবং পরহেজগারীর পোশাক-এটি সর্বোত্তম। " সতুরাং আল্লাহ পাককে ভয় না করে যে নারী স্বামী ছাড়া অন্য কাউকে পোশাক ছেড়ে অনাবৃত হয়ে সৌন্দর্য প্রদর্শন করে তার সাথে আল্লাহর সম্পর্ককে ছিন্ন করে। নিজেকে অপমানিত করে স্বামীর বিশ্বাস ভঙ্গের দায়ে দোষী হয়, আল্লাহ পাক তাকে লজ্জিত ও লানত করবেন। বে-পর্দা শয়তানের পদাঙ্গ অনুসরণঃ আল্লাহর শত্রু শয়তান হযরত আদম আলাইহিস সালাম ও বিবি হাওয়াকে প্রলুব্ধ করে গোনাহে লিপ্ত করে উভয়কে বিবস্ত্র করে তাদের গোপনীয়তা প্রকাশ করে দেয়েছিল। শয়তানের উদ্দেশ্য সিদ্ধির প্রাথমিক লক্ষ্যই ছিল নারীর বে-পর্দা।

মহান আল্লাহ পাক ঘোষণা করেছেন-"হে বনী আদম! আমি তোমাদের জন্য পোশাক অবতীর্ণ করেছি তোমাদের দেহাবরণ ও সাজসজ্জার বস্তু হিসেবে এবং পরহেজগারীর পোশাক-এটি সর্বোত্তম। " এটা পরিস্কার যে, শয়তানই নারীদের বে-পর্দার দিকে ধাবিত করে। যারা নারী স্বাধীনতার ডাক দিয়ে তাদের বিপথগামী করছে শয়তান তাদেরই নেতা। আল্লাহ তায়ালার হুকুম উপেক্ষা করে যারা শয়তানকে মেনে চলে নারী স্বাধীনতার কথা বলে, শয়তানই তাদের ইমাম। আসলে তারা বেপরোয়া চলে মুসলমানদের ক্ষতি করছে এবং যুবক ছেলে মেয়েদের সাথে প্রতারণা করছে।

হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন-"আমি আমার পরে পুরুষদের জন্য স্ত্রীলোক অপেক্ষা অধিকতর কোন ফেতনার বস্তু রেখে আসিনি। " বে-পর্দা জাহিলিয়াতের ন্যায় নোংরা মূর্খতাঃ মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন ঘোষণা করেছেন-"জাহিলী যুগের ন্যায় নিজকে প্রদর্শন না করে নিজ বাসস্থানে অবস্থান কর। (সূরা-আহযাব, আয়াত-৩৩) হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নোংরা জাহিলী যুগের বর্ণনা দিয়ে তার ধরন পরিত্যাগ করার নির্দেশ দিয়েছেন। আল্লাহ তায়ালা তাঁর নবী যরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলেন-"আর তাদের জন্য পবিত্র জিনিসসমূহকে হালাল করা হয়েছে এবং হারাম করা হযেছে তাদের উপর অপবিত্র বিষয়াবলি। " (সূরা-আহযাব, আয়াত-১৫৭) বে-পর্দা জাহিলী যুগের ন্যায় অত্যন্ত গর্হিত কাজ এবং দুটোকেই মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বিধি বহিভূর্থ বলেছেন।

তিনি ইরশাদ করেন-"জাহিলী যুগের প্রতিটি বিষয় অবশ্যই আমার পায়ের তলায়। " মহান আল্লাহ তায়ালার পর্দার বিধানঃ মহান আল্লাহ পাক পবিত্র আল-কোরআনে ঘোষণা করেছেন-"(হে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি) ঈমানদার পুরুষদের বলে দিন, তারা যেন তাদের দৃষ্টি অবনমিত রাখে এবং যৌন পবিত্রতা রক্ষা করে চলে। ইহাই তাদরে জন্য পবিত্রতম পন্থা। নিশ্চয়ই তারা যা কিছু করে, আল্লাহ পাক তা জানেন এবং মুমিন নারীদের বলে দিন, তারা যেন তাদের দৃষ্টি নত রাখে এবং যৌনাঙ্গের হেফাযত করে, তার যেন যা সাধারণতঃ প্রকাশমান তা ব্যতীত তাদের সৌন্দর্য, বেশ-ভূষা ও অলংকারাদী প্রকাশ না করে এবং তারা যেন তাদের মাথায় ওড়না বক্ষদেশ পর্যন্ত ঝুলিয়ে রাখে। আর তারা যেন স্বামী, পিতা, শ্বশুর, পুত্র, স্বামীর পুত্র, ভাই, ভাইয়ের পুত্র, বোনের পুত্র, স্ত্রীলো , অধিকারভুক্ত বাদী, য়ৌন কামনামুক্ত পুরুষ ও বালক যারা নারীদের গুপ্তাঙ্গ সর্ম্পকে অজ্ঞ, তাদের ব্যতীত কারো নিকট তাদের সাজ-সজ্জা, পোশাক প্রকাশ না করে, তারা যেন তাদের গোপন সাজসজ্জা প্রকাশ করার জন্য (রাস্তা-ঘাটে) জোরে পদচারণা না করে, হে ঈমানদারগণ! তোমরা সকলে আল্লাহর দরবারে তওবা কর যাতে তোমরা সফলকাম হতে পার।

" (সূরা-নূর, আয়াত-৩০-৩১) মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আরো বলেন-"জাহিলিয়াতের যুগের যে ধরনের সাজ-সজ্জা ও ঠাট-ঠমক করা হত এখন তা কর না। " (সূরা-আহযাব, আয়াত-৩৩) মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আরো বলেন-"যদি তোমরা আল্লাহকে ভয় করো, তবে পরপুরুষের সাথে কোমল ও আকর্ষণীয় ভঙ্গিতে বাক্যালাপ করো না, কারণ তাতে অন্তরে ব্যধি রয়েছে সে কু-বাসনা করে। " (সূরা-আহযাব, আয়াত-৩২) পবিত্র আল-কোরআনের আলোকে নারী-পুরুষদের পর্দার আবশ্যকিয়তা কতটুকু গুরুত্বপূর্ণ তা উপরের লিখিত আল্লাহর বানীতেই প্রমাণিত।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.