আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

শাপলায় অন্ন সংস্থান

দিন দিন আমাদের জলাশয়ের আয়তন কমে আসছে। হ্রাস পাচ্ছে গভীরতা। তাই আমাদের ঐতিহ্যবাহী ও গৌরবের নানা গ্রামীণ সম্পদের মতো শাপলাও কমে যাচ্ছে দিনকে দিন।
শাপলা কাঁচা যেমন খাওয়া যায়, তেমনি রান্না করলেও হয় মজাদার। ভর্তা, ভাজি কিংবা সবজি হিসেবে গ্রামে ও শহরে এর বেশ কদর রয়েছে।


মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার কয়েকশ’ পরিবার শাপলা বিক্রি করে বছরের কয়েকটি মাস জীবিকার উপায় খোঁজেন।
উপজেলার বিভিন্ন জলাশয়ে বর্ষা মৌসুমে প্রচুর শাপলা ফোটে। এ সময় এলাকার কয়েকশ’ পরিবার শাপলা ‍তুলে বিক্রি করে স্থানীয় বাজারে।
এ সময় বিস্তীর্ণ কৃষিজমি পানির নিচে থাকায় কৃষকের তেমন কাজ থাকে না। তাই শাপলা বিক্রি করে অন্ন সংস্থানের চেষ্টা করেন।


ডুবে যাওয়া বিভিন্ন ইরি ও আমন ধান এবং পাটক্ষেতে শাপলা ফোটে। এছাড়া ইছামতি খাল এলাকায় বিলেও ব্যাপক শাপলা হয় বর্ষায়।
সাধারণত আষাঢ় থেকে শুরু করে কার্তিক মাস পর্যন্ত প্রচুর পাওয়া যায় এটি। বর্ষার শেষ অর্থাৎ কার্তিক মাসে খুব বেশি পাওয়া যায় না।
স্থানীয়রা জানান, শাপলা সংগ্রহকারীরা ভোরে নৌকা নিয়ে বের হন বিল জলাশয়ে শাপলা তুলতে।

ঘুরে ঘুরে দুপুর পর‌্যন্ত শাপলা সংগ্রহ করে বাজারে বিক্রি করেন।
শাপলা সংগ্রহকারী মোশারফ হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, দিনে একজন অন্তত ৪০ থেকে সর্বোচ্চ ৭০ মুঠা (৭০ থেকে ৮০টি শাপলায় এক মুঠা ধরা হয়) শাপলা সংগ্রহ করতে পারে।
সিরাজদিখানের রসুনিয়া, ইমামগঞ্জ ও তালতলায় শাপলার পাইকারি ক্রয়কেন্দ্র রয়েছে। পাইকাররা সংগ্রহকারীর কাছ থেকে শাপলা কিনে জমা করে।
পরে তারা ঢাকার যাত্রাবাড়ি পাইকারি বাজারে বিক্রি করে।


উপজেলার রসুনিয়া গ্রামের পাইকার লেলু মিয়া বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, শাপলা সংগ্রহকারীদের কাছ থেকে প্রতিদিন প্রায় দেড় হাজার থেকে দুই হাজার মুঠা শাপলা ক্রয় করের তিনি।
সংগ্রহকারীদের কাছ থেকে এক মুঠা শাপলা ১০ টাকা দরে কেনেন। তারপর গাড়ি ভাড়া গড়ে তিন টাকা, শ্রমিক এক টাকা, আড়তদারি খরচ দুই টাকাসহ গড়ে মোট ১৬ থেকে ১৮ টাকা খরচ পড়ে।
যাত্রাবাড়ি আড়তে এ শাপলা বিক্রি হয় ২৫ থেকে ২৭  টাকা প্রতি মুঠা।


সোর্স: http://bangla.bdnews24.com     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.