আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কৃষি ঋণ: ফসল ও জমির আওতা বাড়ল

নতুন নীতিমালায় বিভিন্ন শষ্যের জন্য বাড়ানো হয়েছে ঋণসীমাও।
এবার কৃষিঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১৪ হাজার ৫৯৫ কোটি টাকা, যা আগের অর্থবছরের চেয়ে ৩ দশমিক ২৯ শতাংশ বেশি।
বিদায়ী অর্থবছরে দেশের ব্যাংকগুলো ১৪ হাজার ৬৬৭ কোটি টাকা কৃষিঋণ বিতরণ করে এবং যা ওই বছরের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৩ দশমিক ৮০ শতাংশ বেশি।
গভর্নর আতিউর রহমান মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংকের জাহাঙ্গীর আলম কনফারেন্স হলে এ নীতিমালা ঘোষণা করেন। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা  এবং দেশে কার্যরত সব ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।


কৃষিঋণ বিতরণের ক্ষেত্রে অনগ্রসর এলাকা যেমন, চর, হাওর ও  উপকূলীয় এলাকাকে অগ্রাধিকার দিতে বলেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
নতুন নীতিমালায় একজন কৃষককে সর্বোচ্চ ১৫ বিঘা বা ৫ একর জমি চাষাবাদের জন্য ঋণ দেয়া যাবে, যেখানে আগে মাত্র ৫ বিঘা বা দেড় একর জমি চাষাবাদের জন্য ঋণ পেত কৃষক।  
এছাড়া আখ ও আলু চাষের ক্ষেত্রে একজন কৃষককে সর্বোচ্চ আড়াই একর জমি চাষের জন্য ঋণ দেয়া যাবে। এসব ঋণে চাষের ফসল জামানত হিসেবে থাকবে।
এবার লটকন, লেবু, মালটা, আমড়া, ছবেদা ইত্যাদি ফসলকেও কৃষিঋণের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

অয়েল পাম চাষের জন্যও ঋণ দেয়ার কথা বলা হয়েছে। কেঁচো কপোস্ট সার খাতকেও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে কৃষি ঋণের আওতায়।
এছাড়া কেঁচো কম্পোস্ট সার ও বায়ো ফার্টিলাইজারকে ২০০ কোটি টাকার নবায়নযোগ্য তহবিলের আওতায় পুনঃঅর্থায়ন সুবিধা দেয়ার বিধান থাকছে। কন্ট্রাক্ট ফার্মিংয়ের নীতিমালা স্পষ্ট করা হয়েছে।
জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুঁকি মোকাবেলায় উদ্বুদ্ধ করতে এবারের নীতিমালায় নতুন কিছু বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

অনাবাদি জমিতে চাষাবাদের জন্য বিশেষ সহযোগিতা ঋণ দেয়ার কথা বলেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
গভর্নর আতিউর রহমান অনুষ্ঠানে বলেন, বিদেশি মুদ্রার মজুদ (রিজার্ভ) বাড়াতে রপ্তানিকারকদের পাশাপাশি দেশের কৃষকরাও অবদান রাখছেন। খাদ্য উৎপাদন বাড়ায় সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দেশে কার্যত চাল আমদানি করতে হয়নি। বরং কিছু চাল রপ্তানিও হচ্ছে। এতে বিদেশি মুদ্রার খরচও কমে এসেছে, যা প্রকারান্তরে রিজার্ভ বাড়াতে সাহায্য করেছে।


“কৃষকদের হাড়-ভাঙা প্ররিশ্রমের ফলেই এ অর্জন সম্ভব হয়েছে। ”
কৃষিঋণ বিতরণে ব্যাংকগুলোকে আরো আন্তরিক হওয়ার আহ্বান জানান গভর্নর।

সোর্স: http://bangla.bdnews24.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.