আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হরেক রকম ছাত্র-ছাত্রী// ছাত্র-ছাত্রীদের প্রকারভেদ(একটি ছাত্র/ ছাত্রী+ পোস্ট)

যতোবার আমি শান্তি খুঁজেছি, ঠিক ততোবার আমার মাথায় শুধু একটি চিন্তাই এসেছে। সেটা হচ্ছে একটা ড্রিল মেশিন দিয়ে মাথার খুলিটা ফুটো করে দেওয়ার চিন্তা। দিন দিন যত বড় হচ্ছি, পড়ালেখা গোল্লায় যাচ্ছে। সারাদিন মুভি দেখতে ভালো লাগে, গান শুনতে শান্তি লাগে, ব্লগে আসলে চরম আনন্দ লাগে, কিন্তু পড়াশুনার কথা মনে হলেই টায়ার্ড লাগে! নিজের পড়ালেখা নিয়ে আকাশ পাতাল কাঁপিয়ে চিন্তা শুরু করলাম কিছুক্ষন আগে। পড়ালেখার অবস্থা ভয়াবহ, ফেল্টুসরাও এখন আমার আগে থাকবে বলে আমার ধারনা।

আগে কি ছিলাম, এর এখন কি হইছি!! ক্লাসের সব ছাত্র ছাত্রীদের মাঝে নিজের অবস্থানটা নতুন করে বের করতে ইচ্ছা হল। আরেকটা জিনিস চিন্তা করে বেশ মজা পেলাম। সেটা হচ্ছে- ব্লগের সবাই ই কোন না কোন কালে ছাত্র ছিলেন, বা এখনো ছাত্র আছেন। পোস্টটা তাই দিয়েই দিলাম। যেকোনো স্কুল, কলেজ কিংবা ভার্সিটি এর যেকোনো স্তরের ছাত্র ছাত্রীদের দুইটি প্রধান গ্রুপে ভাগ করা যায়।

ভালো ছাত্র-ছাত্রী এবং খারাপ ছাত্র-ছাত্রী। এখন ভালো কিংবা খারাপ, দুটো ক্যাটাগরিই অনেক বড়। আসলে এরকম বড় ক্যাটাগরি করে ছাত্র কিংবা ছাত্রী এর ধরন নিরূপণ করা কষ্টকর। তার চেয়ে এরকম করে ছোট ছোট গ্রুপ করলে বোধহয় সব ধরনের ছাত্রদের বৈশিষ্ট্য ব্যাখা করা যায়। আতেল গ্রুপঃ এরা কোন এক কারনে নিজেদের "আতেল" সিল টা নিয়ে বেশ সন্তুষ্ট বলে আমার ধারনা কারন এরা এই নামটা পরিবর্তনের জন্য কোনো চেষ্টাই করে না! দুঃখজনক হলেও সত্য, আতেল ছাত্রীদের থেকে আতেল ছাত্রের সংখ্যা অনেক বেশি।

অনেক শিক্ষকরা আবার এই সম্প্রদায়ের ছাত্র ছাত্রীদের বেশ পছন্দ করে থাকেন। আতেল হওয়ার জন্য যে শুধু মোটা মোটা বই পড়তে হয় তা কিন্তু না। মোটা মোটা বই না পড়েও ক্লাসে আতলামি করা যায়। এই জন্য দরকার ক্লাসে পড়ার ফাকে ফাকে শিক্ষকদের প্রশ্ন করবার অতুলনীয় ক্ষমতা। ক্লাসে এদের সচরাচর অবস্থান হয় সামনের দিকে।

আতেলরা মাত্রাতিরিক্ত পরিমান নিয়মিত। তবে এরা কিছুটা স্বার্থপর গোছের হয়ে থাকে। এদের সাথে সহজে কারো বন্ধুত্ব হয় না। এদের নিয়ে ক্লাসের অন্য সবাই হাসি ঠাট্টা করতে বেশ পছন্দ করে। মহাজ্ঞানী গ্রুপঃ এই গ্রুপের অন্তর্ভুক্ত ছাত্র ছাত্রী এর সংখ্যা বেশি নয়।

সাধারনত প্রতি ক্লাসে গড়ে ৩- ৪ জন মহাজ্ঞানী থেকে থাকে। এদের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হল, এরা অন্যান্য ১০ টা সাধারন ছাত্রদের তুলনায় বেশি জানে, এবং সেটা জাহির করতে দ্বিধা করে না। এদের আরেকটা বৈশিষ্ট্য হল- এরা তর্ক করতে বিশেষ পছন্দ করে। এরা কোন কারনেই হার মানতে নারাজ। ক্লাসের অন্যান্য ছাত্র ছাত্রীরা এদের কিছুটা হলেও সমীহ করে চলে, যদিও মন থেকে এদের পছন্দ করে, এমন সহপাঠীর সংখ্যা নিতান্তই নগন্য।

বিচক্ষণ গ্রুপঃ এরা অবশ্যই ভালো ছাত্র কিংবা ছাত্রী তবে আতলামি কিংবা নিজের জ্ঞান বুদ্ধি অন্যের কাছে জাহির করার মানসিকতা তাদের মধ্যে অনুপস্থিত। এরা বেশ শান্তিপ্রিয়, এবং বন্ধু হিসেবে বেশ ভালো। এরা নিয়মিত ক্লাস করে, এবং একটা রুটিন এর মাঝে পড়াশুনা স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে। প্রতিযোগিতা মুলক মনোভাব এদের মাঝে খুব একটা দেখা যায় না যদিও পরীক্ষার ফলাফলে তারা বেশ এগিয়ে থাকে। এরা কিছুটা মুখচোরা স্বভাবের হয়।

সহপাঠীরা এই ধরনের ছাত্র ছাত্রীদের বেশ পছন্দ করে। ফাঁকিবাজ গ্রুপঃ এরা যে কোন একটা ক্লাসের প্রান শক্তি। ফাকিবাজ স্টুডেন্ট ছাড়া কোন ক্লাসকেই আসলে ক্লাস বলা যায় না। এদের প্রধান বৈশিষ্ট্য হল, এদের পড়ালেখা "পরে পড়বো" টাইপ। পড়ালেখা বাদে ক্লাসের অন্য সব অনুষ্ঠান আয়োজনে এদের উৎসাহ থাকে সর্বাধিক।

এরা খুব একটা ক্লাস করে না, তবে এই সম্প্রদায়ের সবাই পালাক্রমে ক্লাসে প্রক্সি দিতে সিদ্ধ হস্ত। ফাঁকিবাজ গ্রুপে মাঝে মধ্যে কিছু ব্রিলিয়ান্ট ছাত্র ছাত্রীও এসে পড়ে, তখন বেশ মজা হয়। ফাঁকিবাজি আসলে একটা অনেক বড় শিল্প। সবাই সেই শিল্পী হবার যোগ্যতা অর্জন করতে পারে না। জেট প্লেন গ্রুপঃ এই গ্রুপের ছাত্র ছাত্রীদের প্রধান বৈশিষ্ট্য এরা পুরো বছর কোন পড়ালেখা করে না, কিন্তু পরীক্ষা আসলে তাদের পড়ালেখা এর গতি হয় অনেকটা জেট প্লেন এর মতো।

ছাত্রীদের থেকে এটা মুলত ছাত্রদের মধ্যে বেশি পরিলক্ষিত হয়। জেট প্লেন গ্রুপ স্কুল কিংবা কলেজ পর্যায়ে কম, তবে ভার্সিটি লেভেলে অত্যাধিক। পরীক্ষার আগে তখন নাওয়া খাওয়া হারাম হয়ে যায় এদের। মাঝে মাঝে কিছু জেট প্লেন অবশ্য ক্রাশ ও করে। তবে জেট প্লেন গ্রুপের অন্তর্ভুক্ত হতে হলে যেকোনো ছাত্র ছাত্রীকে কিছুটা তো মেধাবী হতে হয় বটেই।

তবে যারা এভাবে পড়াশুনা করে, এবং ভালো রেজাল্ট করে, তাদের ছাত্র জীবন বেশ মজায় কাটে। স্টাইলিশ গ্রুপঃ বই খাতা, কাগজ কলম কিংবা পড়াশুনা সংক্রান্ত জিনিসে এদের আগ্রহ না থাকলেও নিজেদের সৌন্দর্যের প্রতি এদের খেয়াল ও মনোযোগ সর্বাধিক। এটি মুলত ছাত্রীদের গ্রুপ, কারন এরকম স্টাইলিশ ছাত্র এর সংখ্যা ছাত্রীদের তুলনায় নিতান্তই নগন্য। এরা অধিকাংশই বড়লোক ঘরের সন্তান। এরা বিশেষ করে চুল ও পোশাক এর ব্যাপারে অতিরিক্ত মাত্রায় সচেতন।

নিত্য নতুন পোষাকে ভার্সিটিতে আসাই খুব সম্ভবত তাদের একমাত্র লক্ষ্য। এদের মাঝে সমালোচনা করা এবং নাক সিটকানোর এক অদ্ভুত প্রবনতা লক্ষ্য করা যায়। বিপরীত লিঙ্গ এর অনেকেই এদের উপর বেশ ভালো রকম ভাবে আকৃষ্ট হয়। খুব দ্রুত নোট, লেকচার, সাজেশান ইত্যাদি পেয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে এদের জুড়ি মেলা ভার। এদের সাহায্য করার জন্য একদল সহপাঠী সর্বদাই মুখিয়ে থাকে।

পুংটা গ্রুপ/ বান্দর গ্রুপঃ ক্লাসের যে কোন রকম অনাচার কিংবা বিশৃঙ্খলা তৈরিতে এরা সর্বদা তৎপর। এদের হাত থেকে এমন কি শিক্ষকরাও রেহাই পান না। ক্লাসের পেছনের সিট গুলো এদের জন্য সর্বদা নির্ধারিত। এরা প্রায় সবাই শিক্ষকদের নজর কাড়তে বেশ ভালো রকম ভাবে সমর্থ এবং এদের সাথে কথা বলতে শিক্ষকদের বেশ বেগ পেতে হয়। টিফিন চুরি, স্কুল পালানো, ক্লাস বানচাল, বেত লুকানো, শিক্ষকদের নাজেহাল, সহপাঠীদের পচানো (বিশেষ করে মেয়েদের) থেকে আরম্ভ করে এদের গুনের কথা বলে শেষ করা যায় না।

যে কোন ক্লাসের মধ্যে এরা ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করে ফেলে বেশ অল্প সময়ের মধ্যেই। গবেট গ্রুপঃ এই গ্রুপের ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে বাবা মা দের বেশ বিপদে পড়তে হয়। এরা প্রচুর চেষ্টা করে, কিন্তু পাশ নামক বস্তুটি এদের কাছে সহজে ধরা দেয় না। স্কুল, কলেজ কিংবা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিটা স্তরের যেকোনো ক্লাসে এদের সংখ্যা সাধারণত ৪-৫ জনের মতো। এরা সহজে সবার সাথে খুব একটা মিশে টিশে না।

তবে এরা নিয়মিত ক্লাস করে। এরা পড়ালেখাও করে সাধারন ছাত্র ছাত্রীদের থেকে বেশি, কিন্তু পরীক্ষার খাতার অবস্থা সর্বদাই অপরিবর্তিত থাকে। গুন্ডা গ্রুপঃ ছেলেরা গুন্ডা হয় বেশি, মেয়েরা গুণ্ডি হয় কম। গুন্ডা গ্রুপ একটি ভয়ংকর গ্রুপ। এদের মধ্যে হাস্য রসবোধ খুব কম।

এই গ্রুপ থেকে সবাই একটু দূরত্ব বজায় রাখতে চায়। কারনে অকারনে ঝামেলা করতে এরা বিশেষ পছন্দ করে। স্কুল পর্যায়ে অনেক সময়ই ক্লাস ক্যাপ্টেনরা এদের হাতে রামধোলাই খায়। পড়াশুনা কিংবা পাশ করা এর প্রতি এদের কোন আগ্রহই নেই। গুন্ডা ছাত্ররা মনে করে, যেকোনো সমস্যার সমাধান করা যায় মারমারি, পিটাপিটির মাধ্যমে।

এদের বন্ধুদের সংখ্যা কম, তবুও এদের বন্ধু হতে পারলে এরা বন্ধুদের জন্য অনেক করে থাকে। পলিটিশিয়ান গ্রুপঃ স্কুল কিংবা কলেজ পর্যায়ে এই গ্রুপের অস্তিত্ব নেই। এই গ্রুপ এর ছাত্র ছাত্রী শুধুমাত্র বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে পাওয়া যায়। রাজনীতি কিন্তু শুধু ছাত্ররাই করে না বরং মেয়েরাও এক্ষেত্রে সমভাবে এগিয়ে আছে। এদের বিশ্ববিদ্যালয়ে আসার মুল উদ্দেশ্য ক্লাস করা নয়, বরং রাজনৈতিক ভাবে সক্রিয় হওয়া।

ক্লাস চলাকালীন সময়ে এদের পাওয়া যায় ক্যাম্পাসে, বা ক্যান্টিনে কিংবা ছাত্র সংসদে। ক্লাসে অতটা নিয়মিত না হলেও মিছিল, মিটিং, রাজনৈতিক মারধর অথবা গুপ্তচর বৃত্তি তে এদের অবদান উল্লেখ করার মতো। এরাই দেশের ভবিষ্যৎ কারন দেশ পরিচালনার দায়িত্ব এদের উপরেই ন্যস্ত হবে কোন একটা সময়ে। পরীক্ষা পাশ নিয়ে এরা চিন্তা করে না। কারন পরীক্ষা পাশের জন্য এদের সুপারিশের অভাব হয়না।

চালাক গ্রুপঃ এরা শর্ট কাট নীতিতে বিশ্বাসী। পড়ালেখা কে এরা খুব সুন্দর করে সাইজের মধ্যে নিয়ে আসতে পারে। সাজেশান ,সাজেশান বলে ক্লাসের যে দল সবসময় গলা ফাটায়, তাদের নেতৃত্ব এই গ্রুপের ছাত্র ছাত্রীদের হাতে থাকে। এরা যাই পড়ুক, এদের পরীক্ষা সব সময়ই ভালো হয়। এরা এদের প্রধান কেরামতি দেখায় পরীক্ষার সময়, পাশের ছাত্রদের কাছ থেকে উত্তর যোগাড় করার মাধ্যমে।

এদের রাডার অত্যন্ত রকম শক্তিশালী, যেকোনো ভাবেই উত্তর সংগ্রহ করে ফেলতে পারে তারা, শিক্ষকের চোখ ফাকি দিয়ে। এরা যতটুকুই জানুক না কেন, ভাইভা বোর্ড এ কিংবা উত্তর পত্রে এদের উপস্থাপনা ভালো। শুধুমাত্র এ কারনেই অনেক অল্প পড়া সত্ত্বেও তারা বেশ ভালো করে থাকে। ঘাড় ত্যারা গ্রুপঃ এদের নিয়ে শিক্ষকরা প্রায়ই বিপদে পড়েন। এদের কোন জিনিস একবারে বুঝানো কষ্টকর।

এদের গায়ের চামড়া গণ্ডারের মতোই পুরু হয়। এদের আত্মসম্মান বোধও কম, এবং সহপাঠীরা কোন কারনে তাদের উপর বিরক্ত হলেও এরা সেই বিরক্তি বুঝতে অসমর্থ। এরাও বুঝুক কিংবা না বুঝুক, প্রচুর তর্ক করে থাকে। বিরক্তির দিক থেকে আতেলরা শীর্ষে হলেও ঘাড়ত্যারারা দ্বিতীয় শীর্ষে। অনিয়মিত গ্রুপঃ এরা সাধারনত ফেল করা, কিংবা এক দুই বছর পড়ালেখা ড্রপ দেওয়া ছাত্রছাত্রী।

পড়াশুনা নিয়ে এদের খুব একটা আগ্রহ নেই, কোনোভাবে টেনেটুনে শেষ করতে পারলেই হয়। এরা সাধারন দের সাথে খুব একটা মিশে না, এবং এরা নিজেদের সাথে দলবদ্ধ ভাবে থাকতে পছন্দ করে। খেলোয়াড় গ্রুপঃ এরা স্কুল, কলেজে আসে শুধু খেলতে। ক্রিকেট এবং ফুটবল তাদের মধ্যে অন্যতম। সিনিয়র বা জুনিয়র দের সাথে, কিনবা আন্তঃ স্কুল, কলেজ,ভার্সিটিতে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা আয়োজনে এদের উৎসাহ থাকে সর্বাধিক।

তোতাপাখি গ্রুপঃ এটা মেয়েদের গ্রুপ, মাঝে মধ্যে কিছু ছেলে ঢুকে পড়ে প্রকৃতির ব্যাতিক্রম সুত্রানুসারে আরকি। এদের তোতাপাখি নামকরনের শানে নুজুল হচ্ছে এরা মুখস্ত বিদ্যায় অসম্ভব রকম পারদর্শী। লাইন এর পর লাইন না বুঝেও এরা মুখস্ত করে যেতে পারে। এমনকি অঙ্ক মুখস্ত করতেও এদের কষ্ট হয় না। যেহেতু তাদের এমন একটা ক্ষমতা আছে, সুতরাং তারা বুঝতে যেয়ে সময় নষ্ট করে না।

তবে পরীক্ষার খাতায় কিংবা ভাইভাতে একটা লাইন এর মাত্র একটা শব্দ মিস হলে এদের কলম বা মুখ কোনটাই চলে না। এদের অর্জিত সকল জ্ঞানই নিরেট! এটা শুধু আমার দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা, এটার ব্যাতিক্রম থাকতেই পারে। আমি নিজে এক বছর আগেও জেট প্লেন গ্রুপে ঘুরাঘুরি করতাম, তবে আমার অবস্থান বর্তমানে গবেট পর্যায়ে নেমে এসেছে। ব্লগাররা কে কেমন ছাত্র ছিলেন বা আছেন তা জানতে মুঞ্চায়।  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।