আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

শসার মত, তবে...

http://farm5.staticflickr.com/4084/5106907209_d4c9a50a8b_z.jpg Click This Link শাপলা বড়ুয়া সমুদ্রের যত পাথর আর লতাগাছকে পাশ কাটিয়ে গুর গুর করে চষে বেড়াচ্ছে এক শসা। কখনো ধীর পায়ে আবার কখনোবা হন্তদন্ত হয়ে! এরই মধ্যে হঠাত্ কী যেন ভেবে নিয়ে আবার কিছুক্ষণের জন্য থমকেও দাঁড়াচ্ছে কোথাও। চোখ পিট পিট করে বোঝার চেষ্টা করছে আশপাশকে। এমনি সময় কখন যে চোখ পাকিয়ে পথের সামনে শত্রুটি এসে দাঁড়িয়েছে, তা শসা খেয়ালই করেনি। এই যা! আর বাঁচা গেল না বুঝি।

এদিকে পা চালিয়ে কোথাও পালাবার জোটিও নেই । অমনি চিড়িক দিয়ে বুদ্ধিটা খেলে গেল। জোরসে নিজের নাকটি চেপে ধরে নিথর হয়ে পাথরের গা ঘেঁষে পড়ে রইল শসা। ভাবখানা এমন যে, সাগর তলের কোন গাছের ফল যেন। মাছটিও যেন পাজির পা ছাড়া, সরে যাবার নামটিও করছে না! সেই কখন থেকে ছানাবড়া চোখ নিয়ে তাকিয়ে আছে শসার দিকে।

কী আর করা শসাও পাখনার আড়ালে থাকা আলোর ছটা ছুঁড়ে দিল শত্রুর দিকে! এদিকে রীতিমতন ধন্দে পড়ে গেল বেচারা মাছটি। কিছুক্ষণের জন্য ভিমরি খাবার জোগাড় হল যেন। আর এই সুযোগটিই মনে মনে খুঁজছিল শসা। শত্রুটির কিছু বুঝে ওঠার আগেই লেজ তুলে পড়ি মরি করে দে ছুট! এমনি করেই শত্রুর হাত থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে চলে এরা। এভাবে শুধু শত্রুদেরই নয়, শিকার ধরতেও কাজে লাগায় ওরা এই কৌশলকে।

যারা ওদের চেনে না তারা ঠিকই পা দিয়ে বসে সেই খপ্পরে। মূলতঃ শসাদের এই বেশভূষা নিজেদের অজান্তেই এনে দেয় বাড়তি সুবিধা। শুধু সামুদ্রিক প্রাণীরাই নয়, গবেষকরাও দ্বিধা-দ্বন্দ্বে পড়ে যায় এদের নিয়ে। শসা আবার মাছ হয় কী করে! যেমনি দেখতে এরা তেমনি গন্ধেও হার মানায় যেন এক একটি শসাকে। লম্বায় প্রায় ৪০ সেমি।

থাকেও সাগরের ১৫০-৪০০ মি. নিচে। তবে গবেষকরা কিন্তু ছেড়ে দেবার পাত্র নন। এরই মধ্যে পৃথিবীজুড়ে প্রায় আট প্রজাতির শসা মাছ খুঁজে পেয়েছেন তারা। তবে গড়ন ও ধরন-ধারণের দিক থেকে নাকি কোনটার সঙ্গে কোনটার কোনো মিলই নেই। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.