আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

যাকাত কোন ব্যক্তিগতভাবে পালনীয় এবাদত নয়, রাষ্ট্রীয় এবাদত

জানি না কেন লিখি! তবু লিখি মনের খেয়ালে, পরিবর্তন করার মানসে, পরিবর্তিত হওয়ার মানসে। যদিও জানি সব ব্যর্থ হচ্ছে। তবুও আমি আছি সেদিনের সেই আলোকময় প্রত্যুষার আগমনের অপেক্ষায় { এই পোষ্ট টি সবার জন্য প্রযোজ্য নয়, কয়েকজন ব্লগার আমাকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করেছন এই কারণে যে আমি বলেছি যাকাত কোন ব্যাক্তিগত পালনীয় এবাদত নয়। তাদের জন্য আমার এই লেখা} বঙ্গদেশীয় মুসলমান তথা ভারতীয় উপমহাদেশের মুসলামনগণ প্রকৃত ইসলামের যুগ প্রত্যক্ষ করে নাই। তবে মুঘল এবং এর আগের সুলতানদের আমলে ইসলামের ছোয়া তারা কিছুটা পেয়েছিল।

এর কারণ হচ্ছে ইসলাম যখন ভারতে আসে তখন আরব থেকে পারস্য তথা ইরান এখানে আসে। ইসলাম গ্রহণের পূর্বে পারস্য সা¤্রাজ্য ছিলো পৃথিবীতে তৎকালীন দুইটি পরাশক্তির একটি। জাতিটি মূলত: অগ্নি উপাসক ছিল। কিন্তু ইসলামের আদর্শের সামনে তারা একই সময়ে রোমান সা¤্রাজ্যের সাথে পরাজিত হয়। এই সা¤্রাজ্যটি পরাজিত হয়ে ইসলামকে মেনে নিতে বাধ্য হয়।

কিন্তু ইসলামকে মেনে নিলেও তাদের অতীত ধর্ম অর্থাৎ অগ্নি উপাসনার বেশ কিছু রীতি নীতি এবং ধর্মীয় পরিভাষা ইসলামে বহাল রাখে। যেমন তারা যে সর্বময় দেবতার জন্য পুজা করতো তার নাম ছিলো খোদা। ইসলাম গ্রহণের পরে তারা মহান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহকে খোদা নামে ডাকা শুরু কোরল। এই দেবতার সামনে মাথা নত করে যে এবাদত করতো তার নাম ছিল নামায। ইসলাম গ্রহণের পর ইসলামের অন্যতম এবাদত আরবীতে যাকে বলা হয় সালাহ বা সালাত, এই সালাহকে তারা ডাকতে শুরু কোরল নামায বলে।

অন্যদিকে দেবতাকে তুষ্ট করার জন্য না খেয়ে অর্থাৎ উপবাস করার যে এবাদত রোজা- তা ইসলামের অন্যতম এবাদত সওম এর বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা শুরু কোরল। আরবীতে এই শব্দগুলো ব্যবহার হয় না। আমাদের এই উপমহাদেশে ইসলাম এসেছে মূলত পারস্য হয়ে। তাই পারস্যবাসীদের ব্যবহৃত ধর্মীয় পরিভাষাগুলো আমরা ব্যবহার করতে শিখেছি। আমাদের অনেক আলেম ওলামাদের সামনে সালাহ, সওম শব্দগুলো ব্যবহার করলে তারা অনেক সময় এমনকি বুঝতেও ব্যর্থ হোন।

পারস্য হয়ে আসায় ইসলামের প্রকৃত রূপটা ভারতে ১০০ ভাগ খাটি অবস্থায় আসে নি। প্রাচীন ইতিহাস ঘেটে যতটা জানা যায় তাতে দেখা যায় রসুলাল্লাহর সমসাময়িক কালে বিচ্ছিন্নভাবে কিছু ভারতীয় তাঁর সাহচর্য লাভ করেন। এর মধ্যে চার্মন পেরুমল (ঈযধৎসড়হ চবৎঁসধষ) অন্যতম। কিন্তু এখানে জাতীয়ভাবে ইসলাম আসে অনেক পরে। তবে ৭১১ ঈসায়ীর দিকে মোহাম্মদ বিন কাসেম সিন্ধু আক্রমন করে ইসলামের সূচনা ঘটান।

১১৯১ ঈসায়ীতে মোহাম্মদ ঘোরী রাজা পৃথ্বিরাজকে পরাজিত করে ইসলামী শাসন কায়েম করেন। অতপর: ১২০৩-০৪ ঈসায়ীতে ইখতিয়ার উদ্দিন বখতিয়ার খলজির প্রচ- আক্রমনের মুখে তৎকালীন রাজা লক্ষণ সেন পলায়ন করেন। এর মধ্য দিয়ে বাংলায় ইসলাম জাতীয়ভাবে প্রতিষ্ঠিত হবার সুযোগ পায়। আমি সংক্ষিপ্ত আকারে এই ইতিহাসটুকু তুলে ধরেছি এই জন্য যে এখানে ইসলাম কায়েম হয় রসুলাল্লাহর এন্তেকালের বহু পরে এ বিষয়টি তুলে ধরার জন্য। ইতিমধ্যে ইসলাম তার মূল আদর্শ হারিয়ে বসে ইসলামী আদর্শের বদলে রাজতন্ত্রকে গ্রহণ করেছে।

পারস্য হয়ে এখানে ইসলাম এসেছে পারস্য সুফিবাদ সাথে নিয়ে। অর্থাৎ ইসলামের প্রকৃত চেতনা ততদিনে মৃতবৎ। ভারতের মুসলমানদের মধ্যে তখন আরো যোগ হয়েছে হিন্দুয়ানী কালচার। একটা উদাহরণ দিলে সহজেই বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যাবে। হিন্দু ধর্মের অনুসারী পুরুষদের কখনোই একাধিক বিয়ে শাস্ত্রীয়ভাবে বৈধ নয়।

আবার বিধবা বিবাহও অবৈধ ছিল। সে সময়ে বিবাহিত মহিলাদেরকে স্বামীর সাথে সহমরণে (সতীদাহ) যেতে হোত। এই রীতির প্রভাবে বর্তমানে বাঙ্গালী তথা বাংলাদেশী মুসলমানগণ একাধিক বিয়েকে ঘৃণার চোখে দেখেন। অথচ আরবে তা অতিশয় স্বাভাবিক ব্যাপার। বরং যাদের একজন মাত্র বউ থাকে তারা অন্যদের সামনে লজ্জিত থাকে।

ক্ষেত্র বিশেষে এমনও হয় যে কোন একজন মেয়েকে বিয়ের প্রস্তাব দিলে ঐ মেয়ে বরকে শর্ত দেয় তার বান্ধবীকেও সাথে বিয়ে করলেই সে বিয়েতে রাজী হবে। যা বাংলাদেশে কল্পনাও করা যায় না। জীবন দেবে তবু তারা সতীনের সংসার করবে না। আমি এই কথাগুলো এই জন্য অবতারণা করেছি যে আরবে আসা প্রাথমিক ইসলাম আর ভারতীয় উপমহাদেশের ইসলামের ব্যবধানটুকু দেখানোর জন্য। অন্যদিকে মুসলমান সা¤্রাজ্যের পতনের পর বৃটিশরা আমাদের দু’শ বছর গোলাম করে রাখে।

তারা আমাদের অন্তর থেকে ইসলামের প্রকৃত চেতনা আরো মুছে দেয়। তারা সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে ষড়যন্ত্রমুলক দুটি ধারার শিক্ষা ব্যবস্থার অবতারনা করে। এর একটি ধর্মীয় শিক্ষা, অপরটি ইংরেজী শিক্ষা। ধর্মীয় শিক্ষায় ধর্মীয় কিতাবের বাইরে দুনিয়াতে করে খাওয়ার মত কোন শিক্ষা রাখে নি। অপরদিকে ইংরেজী শিক্ষিতদের শিখিয়েছে কেরানীমানের শিক্ষা ও ইউরোপের রাজা রানীর ইতিহাস।

এরা ইসলাম সম্বন্ধে অজ্ঞতার দরুন ইসলাম বিদ্বেষী হয়ে ওঠে। এই শিক্ষার প্রভাবে ইসলাম সম্বন্ধে তারা অবজ্ঞার দৃষ্টিতে তাকাত। দীর্ঘ দু’ শ বছরের গোলামী আর নির্যাতনের পর মুসলমান জাতীর মেরুদ- বলে আর কিছু থাকল না। ইসলাম যে জাতীয় জীবন ছাড়া ব্যক্তিগতভাবে পালন করা যায় না - তা তাদের জ্ঞান থেকে উঠে গেছে। বৃটিশ আমলে যে বৃটিশ শাসনের বিরোধীতা হয় নি, তা নয়।

ফরায়েজী আন্দোলন, তিতুমীরের আন্দোলন প্রভৃতি আন্দোলন মাঝে মাঝেই ইংরেজ সা¤্রাজ্যের ভীত কাঁপিয়ে তুলত। ঐ সময়ে ইসলামের কতিপয় আলেম ইসলামের আকীদা পর্যালোচনা করে সিদ্ধানেত উপনীত হন যে গোলাম রাষ্ট্রে জুম’আ হয় না, তারা ভারতকে দারুল হারব (যুদ্ধের স্থান আখ্যা দিয়ে ) ইংরেজ উচ্ছেদের সংগ্রামে ঝাপিয়ে পড়েন। কিন্তু এদেশীয় কিছু আলেমগণ বৃটিশদের পক্ষ নিয়ে (তারাই আজ ওলামায়ে ছু নামে পরিচিত), তাদের পৃষ্ঠপোষকতায় এই ফতোয়ার বাইরে ভারতকে দারুল ইসলামও নয় এবং দারুল হারব ও নয়- এর মাঝামাঝি দারুল আমান বলে ফতোয়া দিয়ে যুম’আ জায়েজ বলে ফতোয়া দেন। এবং জুম’আ বহাল রাখেন। মাওলানা কেরামত আলী এর মধ্যে অন্যতম একজন।

যাই হোক ১৮৫৭ সালে বিদ্্েরাহের মধ্য দিয়ে এদেশীয় মুসলমানদের মাজা পুরোপুরি ভেঙ্গে যায়। এ সময়ে বৃটিশদের মাদ্রাসায় শিক্ষা লাভ করে তারা ইসলামকে আর আটদশটা ধর্মের মতই একটি নিরীহ এবং নির্জীব ধর্ম মনে করে নিরুপায় হয়ে নামায রোজা করে সন্তুষ্ট হতে চাইল। ইংরেজদের ষড়যন্ত্রমূলক শিক্ষার প্রভাবে এবং ওলামায়ে ছু’দের ফতোয়ার কারণে তারা ভুলে গেছে যে রাষ্ট্রীয়ভাবে ইসলামের সার্বভৌমত্ব না থাকলে ইসলাম অর্থহীন হয়ে যায়, এর কোন বিধি বিধান প্রয়োগ করা যায় না। তাদের অবস্থা এখন পর্যন্ত ঐ মানসিকতায় অবস্থান করছে। তাদের সমষ্টিগত জীবনে মানুষের তৈরী বিধান চলে, আর নামায রোজা ব্যক্তিগতভাবে চলে।

এর দ্বারা প্রকারান্তরে তারা আল্লাহর হুকুমের একটি দিককে অস্বীকার করেছে। মানসিকতা ছোট হতে হতে তারা আজ মনে করছে যাকাতের মত একটা রাষ্ট্রীয় এবাদতও ব্যক্তিগতভাবে করা যায়। এরা সেই কেরামত আলীর উত্তরসুরী, জুমআ ও ঈদের মত রাষ্ট্রীয় এবাদত গোলাম রাষ্ট্রে জায়েজ না থাকলেও যারা জোর করে তা পালন করে যাচ্ছে। যা প্রকৃতপক্ষে আল্লাহর সাথে মশকরা করার শামিল। জেলখানার দরজা খুলে পাহারাদার পালিয়ে গেছে।

কিন্তু জেলখানায় থাকতে থাকতে কয়েদীরা বাইরের দুনিয়া ভুলে গেছে। তাই তারা বিশাল দুনিয়ায় না বের হয়ে এখনো জেলেই বসে আছে। আবার তাদের মধ্য থেকে কয়েকজনকে পাহারাদার বানিয়ে আগের মতই মনোযোগ দিয়ে জেল খেটে যাচ্ছে। কবে কোন ওলামায়ে ছু বলে গেছেন যেহেতু ইসলামী খলিফা নেই, বৃটিশরা আমাদের প্রভু- আবার আল্লাহও কোরানে যাকাতের কথা বলেছেন- তাই ব্যক্তিগতভাবে যাকাত দিয়ে আল্লার হুকুম পালন করা হউক। আর এই গোলাম মুসলমানগণ আজও জানেই না যে যাকাত রাষ্ট্রীয়ভাবে না আদায় হলে, বণ্টন না হলে কোন লাভ নেই।

রাষ্ট্র চলবে সুদভিত্তিক অর্থনীতিতে আর ওনারা ব্যক্তিগত জীবনে যাকাত ব্যবস্থা কায়েম করে উত্তম মুসলমান হবার চেষ্টা করে যাচ্ছেন। শুনুন হে মহা মুসলিম! আমার কথা না হয় বিশ্বাস নাই করলেন! এই লিঙ্ক থেকে ঘুরে আসুন। এখানে কি বলছে দেখুন। এখানে বলা হচ্ছে : যাকাত কোন নফল দান বা সদকা নয়। বলা হয়েছে, যাকাত আদায় করতে।

অর্থাৎ এনবিআর এখন যেমন করে ট্যাক্স আদায় করে। সংগত কারণে কাজটা রাস্ট্রের ঘাড়ে বর্তায়। রাস্ট্র যেহেতু এটা করছেনা তাই আমরা দিয়ে দিব। তবে যতটা সম্ভব ব্যক্তি টু ব্যক্তির পরিবর্তে ব্যক্তি টু সোসাইটি টু ব্যক্তি সিস্টেম বেটার। ইনাকে না হয় আলেম মনে না-ই করলেন।

বাদ দিলাম ওনার কথা। আপনাদের পছন্দসই অন্য আলেমরা কি বলেন দেখুন: “রসুলাল্লাহ বলিয়াছেন, মুসলিম সমাজের ধনীদের সম্প্রদায়ের নিকট হইতে আদায় করা হইবে এবং তাহা দরিদ্রদের মধ্যে বণ্টন করা হইবে ( ইসলামী জীবনাদর্শ- মাওলানা আব্দুর রশীদ ও মাওলানা আব্দুস সোবহান- পৃষ্ঠা: ৫৬)। ” পরে বলা হইতেছে- ইসলামী রাষ্ট্র বাধ্যতামুলকভাবে যাকাত উসূল করিবে এবং দেশের ও সমাজের সর্বস্তরের দরিদ্র জনসাধারণের কল্যাণে তাহা বণ্টন করিবে। ইহা এমন একটি কল্যাণ ট্রাষ্ট যাহা জনগণের সামগ্রিক কল্যাণে ও উন্নয়নে সর্বতোভাবে সাহায্য করিতে পারে। ইহার সাহায্যে দেশের দরিদ্র বেকার লোকদের জীবিকার বন্দোব¯ত করা ছাড়াও কর্ম ক্ষেত্রে তাহাদিগকে নানাভাবে প্রতিষ্ঠা করা যাইতে পারে।

ইত্যাদি ইত্যাদি..। অপরদিকে যাকাতের যে আটটি শর্ত রয়েছে তাতে একটি দফা হচ্ছে যাকাত উত্তোলনকারী একটা ভাগ পাবে। অর্থাৎ রাষ্ট্রের হয়ে যিনি যাকাত উঠাবেন, বণ্টন করবেন তিনি একটি ভাগ পাবেন। যদি আপনি ব্যক্তি উদ্যোগে যাকাত দেন তাহলে উত্তোলনকারীর প্রশ্ন আসছে কেন? তার হক কিভাবে আদায় করবেন? শেষ পর্যন্ত ঐ বইয়ের লেখকদ্বয় বলছেন, “যাকাত ব্যবস্থার তাৎপর্য ও গুরুত্বের প্রতি লক্ষ্য রাখিয়া সামাজিক ক্ষেত্রে উহা বাস্তবায়িত করা। মনে রাখিতে হইবে যাকাত ব্যক্তিগতভাবে আদায় না করিয়া বরং সমাজ ও রাষ্ট্রগতভাবে আদায় করার প্রতি মহান আল্লাহ ও মহানবী ইঙ্গিত করিয়াছেন।

আর এই জন্যই যাকাত উসূল করার জন্য কর্মচারী নিয়োগের কথা ঘোষণা করা হইয়াছে। সুতরাং ইসলামী রাষ্ট্রব্যবস্থাপনায় যাকাত উসূল করা এবং ব্যবস্থাপনায়ই উহা বন্টন কর বাঞ্চনীয়। ” এবার আসি শেষ কথায়। গোলামী করতে করতে স্বাধীনতার কথা মনে করিয়ে দিলেও দোষ। গোদার রাজ্যে সুস্থ্য মানুষই অসুস্থ।

কারণ সবার গোদা রোগ হলেও যার শরীরে গোদ নেই সেই ব্যতিক্রম, সুতরাং তারই দোষ কেন সে সবার মত গোদা নয়। গোলামীর কারণে ইসলামকে ব্যক্তিগতভাবে মানতে মানতে আপানারা স্বাধীনতার যুগকে ভুলে গেছেন । এবার একবার ঘেটে আসুন। আপনারা তো বলেছেন আমি ইসলাম বুঝি না। মানলাম আমি আপনাদের মত মহা প-িত নই, কিন্তু ইসলামের সামগ্রীক রূপ কি তা আমি আল্লাহর দয়ায় এক মহামানবের সংস্পর্শে বুঝতে পেরেছি।

তাই আপনাদের প্রতি আপনাদের উপদেশ- আপনারাও একটু জানার চেষ্টা করুন। কাঠ মোল্লাদের কাছ থেকে ইসলাম শিখে তা প্রচার করা বাদ দেন। প্রকৃত লাইটে আসুন। আরেকটা কথা: ইসলাম কোন ব্যাক্তিগত পালনীয় ধর্ম নয়। এটা সম্পূর্ণই রাষ্ট্রীয় ও সমষ্টিগতভাবে পালন করার মত একটা ধর্ম।

রাষ্ট্রীয় জীবনে ইসলাম না থাকলে ব্যক্তিগত এবাদত একমাত্র রোজা ছাড়া আর কিছুই পালনযোগ্য নয়। মাথা গরম না করে ঠা-া মাথায় ভেবে দেখুন। পড়ালেখা করুন। রসুলাল্লাহর এন্তেকালের পরে যে বিদ্্েরাহের সূচনা হয়েছিত তা যাকাতকে অস্বীকার করা নিয়েই সূত্রপাত ঘটে। যাকাত যদি ব্যক্তিগতভাবে দিলেই হোত, তাহলে আবুবকরের (রাঃ) জেহাদ ঘোষণা ভুল ছিল।

কারণ তারা খলিফার কাছে যাকাত দিতেই অস্বীকার করেছিল। ইসলামের অন্যান্য আর কোন বিধিবিধান অস্বীকার করে নাই। যাকাত ব্যক্তিগতভাবে পালনীয় নয় এই কথা বোঝাতে আমি আর কোন বাক্য ব্যয় করতে রাজী নই। যার জ্ঞান আছে বুঝে নিক। যার চোখ নাই তাকে বোঝানো সম্ভব নয়।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.