আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আজকে আওয়ামী লীগ কি বিএনপির অধীনে নির্বাচন করত? আওয়ামী লীগকে নিজেদের স্বার্থেই সমঝোতার পথ খুজে বের করতে হবে

আজকে যদি আওয়ামী লীগ বিরোধী দলে থাকত, আর বিএনপি সরকারী দল হয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি বাতিল করে দিত, তাহলে আওয়ামী লীগের প্রতিক্রিয়া কি হত? বিএনপি আজকে বিরোধী দলে থেকে যা করছে, আওয়ামী লীগ আজকে বিরোধী দলে থাকলে কি তার চেয়ে কম কিছু করত? বিএনপি যতই নির্বাচন কমিশনকে শক্তিশালী করুক আওয়ামী লীগ কি বিএনপি সরকারের অধীনে নির্বাচনে যেত? উত্তরটা খুবই সহজ। আওয়ামী লীগের অতীত ইতিহাস অনুযায়ী বলা যায়, আজকে আওয়ামী লীগ বিরোধী দলে থাকলে তারা আরও বেশি হরতাল দিত। এক এগারোর তিক্ত অভিজ্ঞতার কারনে আওয়ামী লীগ চাইছেনা সেরকম কিছু ঘটুক, আবারও এক এগারোর মত কিছু ঘটলে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বের জেলে যেতে হতে পারে। দুর্নীতির কীর্তিকলাপ প্রকাশিত হয়ে যেতে পারে। যেমনটি হয়েছিল বিএনপি নেতাদের পুত্রকন্যাদের দুর্নীতির বিস্তারিত প্রকাশ হয়েছিল এক এগারোর পরেই।

এর আগে হাওয়া ভবন নিয়ে কিছু খবর বের হলেও বিএনপি ক্ষমতায় থাকায় তাদের দুর্নীতির খবর ব্যাপকভাবে প্রকাশিত হয়নি। এবারেও আওয়ামী লীগ ক্ষমতা ত্যাগ করার পরে তাদের দুর্নীতির কাহিনী প্রকাশিত হতে পারে, যা এখন হয়ত হামলা মামলার ভয়ে প্রকাশিত হচ্ছেনা। এবং আবার জেলে যেতে হতে পারে। বৃদ্ধ বয়সে কে জেলে যেতে চায়। তাই আওয়ামী লীগ তত্ত্বাবধায়ক বাতিল করে নিজেদের অধীনে নির্বাচন করে ক্ষমতায় থাকতে চায়।

এজন্য এরশাদকে বিরোধী দলের নেতা বানানোর চিন্তাও করা হচ্ছে। কিন্তু বিএনপিসহ তাদের শরীক দলগুলো নির্বাচনে না এসে একের পরে এক হরতাল দিলে আওয়ামী লীগ কি ক্ষমতায় থাকতে পারবে? বিএনপি এখন আওয়ামী লীগের অধীনে নির্বাচন করবেনা। যেমনটি আওয়ামী লীগও এখন বিএনপির অধীনে নির্বাচন করত না। সুষ্টু নির্বাচন ও নির্বাচনের সময় রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত প্রশাসন না পেলে বিএনপি নির্বাচনে গিয়ে সেই নির্বাচনকে বৈধতা দিবেনা। বিএনপি এসব জ্ঞান অর্জন করেছে আওয়ামী লীগকে দেখে।

আওয়ামী লীগও বিএনপির মনোনীত তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রধানকে মেনে নেয়নি। আওয়ামী লীগ তত্ত্বাবধায়কের জন্য ৯৬ টি হরতাল দিয়েছিল। নির্বাচনের আরও দুই বছরের বেশি সময় বাকী থাকতে আওয়ামী লীগ এই ইস্যুটি সামনে নিয়ে এসেছে, তার মানে এই দুই বছর ধরে তারা বিষয়টি নিয়ে নিজেদের ভিতরে ও বাইরে আলাপ আলোচনা চালিয়ে যাবে। সেটা হলেই ভাল। পরবর্তী নির্বাচন কিভাবে হবে, এটা নিয়ে বিএনপির সাথে সমঝোতা হওয়া প্রয়োজন।

বিএনপি এখন ক্ষমতায় নেই, তাই তাদের উপর জনগণের কোন আশা নেই। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় সুতরাং তাদের উপর জনগণের অনেক আশা। সেই আশার কিছুটা হলেও পূরণ করতে না পারলে , আওয়ামী লীগের সব অর্জন ব্যর্থ হয়ে যাবে। দ্রব্যমূল্য, বেকার সমস্যা, বিনিয়োগ, শিল্প, জ্বালানি, স্বাস্থ্য, সড়ক ও যোগাযোগ, আইনশৃঙ্খলা এসব ক্ষেত্রে আরও বেশি মনোযোগ দিতে হবে। এসব ক্ষেত্রে ব্যর্থ হয়ে প্রশাসনকে দলীয়করণ করে , সাজানো নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় থাকা যাবেনা।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.