আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

শ্রীমঙ্গলে ুদ্র ও কুটির শিল্পপন্য মেলায় চলছে জোয়া আর অশ্লীল নৃত্য

আমি সততা ও স্বচ্ছতায় বিশ্বাস করি। প্রশাসনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিন নেতা ও প্রভাবশালীদের ম্যানেজ করে শ্রীমঙ্গলের রেলওয়ে ফুটবল মাঠে আয়োজন করা হয়েছে মাসব্যাপী ুদ্র ও কুটির শিল্প পণ্য মেলা। মেলায় চলছে জুয়া আর অশ্লীল নৃত্যের রমরমা আয়োজন। মেলার নামে এখানে চলছে লটারীর জমজমাট খেলা। জুয়া আর অশ্লীল নৃত্যের কারণে মেলায় বখাটেদের উৎপাত বেড়েছে, বেড়েছে নেশাগ্রস্তের সংখ্যাও।

একদিকে অশ্লীল নৃত্য, জুয়া আর লটারী অপরদিকে বখাটেরা নেশাগ্রস্থ হয়ে মেলায় প্রবেশ করে মেলার পরিবেশ নষ্ট করছে। কোন ধরনের অনোমদন ছাড়াই মেলার নামে যা হচ্ছে, তাতে বিপথগামী হচ্ছে এলাকার ছাত্র ও যুবকরা। মেলা কমিটির এ অশালীন আয়োজনে সুশীল সমাজের ব্যক্তিরা মেলায় আসতে পারছেন না বলে অনেকের অভিযোগও রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে সচেতন মহলে দেখা দিয়েছে এক বিরূপ প্রতিক্রিয়া। এ বিষয়ে প্রশাসনের নিরব অবস্থানের কারনে জনমনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

স¤প্রতি মেলা প্রাঙ্গন ঘুরে এসব চিত্র দেখা যায়। সরজমিন ঘুরে দেখা যায়, মেলার বাহারী আইটেমসমূহ। মেলার চতুর্দিকে রয়েছে বিভিন্ন পণ্য-বিপনন ষ্টল। মাঝখানে খাবারের দোকান ও বিশাল লটারী প্যান্ডেল। মেলার রাউন্ডিংয়ের বাইরে একপাশে রয়েছে বিশ্ময়কর মটরসাইকেল ও কার রেইস খেলা এবং জাদুর সমাহার।

তবে এসব আয়োজনের সাথে এখানে আয়োজন করা হয়েছে মেয়েদের অশ্লীল নৃত্য ও গানের। বসেছে ওয়ান-টেন, ঝান্ডু-মান্ডু, সাবানে-রিং খেলা সহ বিভিন্ন ধরনের জুয়ার টেবিল। দেশের জনপ্রিয় একটি শিল্পকলা হিসেবে পুতুল নাচের কদর অত্যাধিক হলেও এই মেলায় কাঠের পুতুলের পরিবর্তে চলছে জ্যান্ত পুতুলের নাচ। অনেক সময় ঐতিহ্যবাহী এই পুতুল নাচ দেখতে কিংবা বাচ্চাদের দেখাতে স্বপরিবারে প্রবেশ করে বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হচ্ছে সুশীল সমাজের ব্যাক্তিদের। অন্যপাশে নিশ্চিদ্র পর্দার ভেতরে বিশাল আয়োজনে বিচিত্রানুষ্ঠানের নামে মেয়েদের অশ্লীল নৃত্য পরিবেশন করা হচ্ছে।

ফলে অশ্লীল নৃত্য দেখতে ভীড় জমেছে শহরের অশালীন ব্যাক্তিদের। উৎপাত বেড়েছে নেশগ্রস্ত ও বখাটেদের। একইসাথে জোয়া’র টেবিলগুলোর মাধ্যমে হাতিয়ে নিচ্ছে অনেক টাকা। এছাড়াও এখানে রয়েছে লটারীর জমজমাট ব্যবসা। শহরের বিভিন্ন প্রান্তে স্কুল কলেজের আশেপাশে রিক্সায় করে মাইক বাজিয়ে প্রতিদিন বিক্রি করা হচ্ছে লটারীর টিকেট।

মেলায় প্রবশ ফি ১০ টাকা, লটারী ২০ টাকা, পুতুল নাচ ২০ টাকা, মটর ও কার রেইচ ২০ টাক, বিচিত্রনুষ্ঠান ৫০ টাকা করে প্রতিদিন মেলায় এসে দুই থেকে আড়াইশ টাকা খরচ করছে বিভিন্ন স্কুল কলেজের ছাত্ররা। মেলায় যাবার বাহানা ধরে ঘর থেকে টাকা না পেয়ে অনেক বখাটেরা জড়িয়ে পড়েছে চুরি ছিনতাইয়ের কাজে। স্থানীয় উপজেলা অফিস ও থানা সূত্রে পাওয়া তথ্য অনুয়ায়ি স্থানীয় প্রশাসনের কাছ থেকে বিভিন্ন শর্ত সাপেে সুন্দর সমাজ ব্যবস্থাপনার মধ্য দিয়ে রাত ১১ টা পর্যন্ত মেলা চালানোর কথা থাকলেও গভীর রাত পর্যন্ত চলছে মেলার কার্যক্রম। রাত বাড়ার সাথে সাথে বেড়ে উঠছে মেলার অশ্লীলতা। এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অধিকাংশ সূত্রে জানা যায়, শ্রীমঙ্গলের বিভিন্ন মহল থেকে শত আপত্তির পরও প্রশাসনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও প্রভাবশালীদের মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে হাত করে একটি চক্র রেলওয়ের মাঠে এই মেলার আয়োজন করেছে।

এব্যাপারে মেলার অন্যতম আয়োজক কাজী আব্দুল গফুরের কাছে জানতে চাইলে মেলা পরিচালনার জন্য প্রশাসনসহ উধ্বতন কর্তৃপরে সকল প্রকার অনুমোদন রয়েছে বললেও এ বিষয়ে কোন বৈধ কাগজপত্র তিনি দেখাননি। অশ্লীল নৃত্য ও জোয়া বোর্ডের বিষয়ে প্রশ্ন তুললে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। তিনি অপ্রাসঙ্গিক উত্তরে বলেন, ‘মেলা উপলে ইতোমধ্যে কয়েক ল টাকা ব্যায় হয়েছে, এ অবস্থায় প্রতিদিনই আমাদের লস হচ্ছে, আমাদের অর্থ উঠে আসবে কিভাবে’। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অপর আরেকটি সূত্র জানায়, মেলা পরিচালনার জন্য প্রভাবশালী হাবিবুর রহমান কামাল মতাসীন রাজনৈতিক দলের নেতাসহ প্রশাসনকে ম্যানেজ করে এ মেলার আয়োজন করেছেন। এমনকি অনেক রাজনৈতিক নেতা ও পুলিশ সমস্যের নিরাপদ পাহাড়ায় চলছে মেলার রমরমা আয়োজন।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.