আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

১২০০০ লাশ আর কতো??

গত তিন বছরে ২০১০ থেকে শুরু করে ২০১২ পর্যন্ত প্রায় ১২০০০ হাজার হত্যাকাণ্ড সংগঠিত হয়েছে লাশের এই মিছিলে সাধারণ জনতা, রাজনৈতিক কর্মী, নেতা, কিশোর-কিশোরী, শিশু, বৃদ্ধ গৃহবধূ কে নেই। বিচার চেয়েছ?? না ওরা তো কেও ব্লগার না, যুদ্ধ অপরাধীর বিচারে সাক্ষী প্রদানকারী সাক্ষ্য না ওদের বিচার কেন চাবো!!বিরোধী দলের হাজার খানেক গুম হওয়া অপহরন হওয়া নেতার কথা জানতে চেয়েছ না ওরা তো রাজাকার ছাগু। কিশোর তকি খুন হবার পর চিৎকার শুরু করলে শিবির জামাত অথচ পত্র পত্রিকায় নিয়মিত চোখ রাখলে জানতে বিগত তিন বছরে নারায়ণগঞ্জে বয়েছে রক্ত স্রোত জানতে শুধু ২০১২ সালে এমন কোন সপ্তাহ নাই যে সপ্তাহে নারায়ণগঞ্জে কেও অপহৃত হয়নি খুন হয়নি। তকি পরিবার বিশেষ এক পরিবারের দিকে সন্দেহের তীর নিক্ষেপ করলেও তোমরা ভিন্ন কথা বল। সুরকার আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল ভাই হত্যার পর অন্য সকল সম্ভাব্য খুনের কারণ বাদ দিয়ে চিৎকার শুরু করলে জামাত শিবির অথচ রাষ্ট্রপতি যখন ফাঁসির আসামিদের সহ দেশের শীর্ষ সন্ত্রাসীদের সাজা মাফ করে তাঁদের কারা মুক্তি দিলেন তখন নীরব থাকলে।

শিবির জামাত অবশ্যই ভালো কোন দল না, তাঁরা হিংস্র তাই বলে একটি খুন সংগঠিত হলেই শিবির জামাতের উপর দোষ চাপিয়ে নাকে সরিসার তেল দিয়ে ঘুমানো সরকার এর যাই হোক দেশকে পরিচালনা করার যোগ্যতা রাখেনা। চট্টগ্রামে ব্রিজ ভেঙ্গে পড়ে মানুষ মরার পর বললে ব্রিজে শিবির জামাত কর্মী দেখা গেছে কি সুন্দর যুক্তি। গার্মেন্টসে আগুনে শতাধিক মানুষ মরার পর বললে শিবির জামাত আগুন দিয়েছে কি সুন্দর ভাষণ। সব যদি জামাত শিবির করে তাহলে সরকার কি করে?? আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল আক্ষেপ করে বলেছেন বারবার সরকারের কাছে আমার ও আমার পরিবারের নিরাপত্তা চেয়েছি সরকার কোন নিরাপত্তা প্রদান করেনি, অনেক টিভি চ্যানেল দেখলাম এই অংশটুকু সুন্দর করে কেটে দিয়ে সাক্ষাতকার প্রচার করেছে অথচ এই চ্যানেল গুলতেই দেখেছি শাহাবাগের আন্দোলনে কি সুন্দর করে পুলিশ সহ অন্যান্য আইন রক্ষাকারী বাহিনি ব্লগারদের নিরাপত্তা দিচ্ছে। ব্লগার রাজিবের বিচার আদায়ে যা করা হল এই ১২০০০ হাজার হত্যাকাণ্ডের জন্য তাঁর সিকি ভাগ করা হয়েছে??না হয়নি।

তবে কি এক ব্লগার রাজিবের জীবনের মূল্য ১২০০০ মৃত মানুষের সমান হ্যাঁ হয়তো তাই। জ্বালাময়ী আন্দোলন চালানর প্রত্যয়ে যখনি শাহাবাগের নেতারা নতুন কোন ডাক দেয় তখনি একটা না একটা লাশ পড়ে, যেমন শাহাবাগ থেকে ৩-১০টা সময় সুচিতে আন্দোলনের ডাক দেবার পর রাজিব মারা গেলো, নারায়ণগঞ্জে মঞ্চ করার পর সেখানে কর্মসূচী ঘোষণা করার পর তকি মারা গেলো। চট্টগ্রামে আন্দোলন দল নিয়ে যাওয়া হবে এবং উত্তরায় মঞ্চ করে শপথ বাক্য পাঠ করার পর আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলের ভাই খুন হল। লাশ গুলো স্বজনহারা পরিবার গুলোকে শোকের সাগরে ভাসালেও শাহাবাগের আন্দোলনকারীদের নেতারা পেল নতুন ভাষণের মন্ত্র আন্দোলনকে আরও তেজী করার নতুন যোগান। কয়েক দিন আগে মিরপুরে আরেকজন ব্লগার কে হত্তাকরা হলে শাহাবাগি তিন নেতা তাকে দেখতে যান এবং ক্ষোভ প্রকাশে ফেতে পড়েন, ব্লগারদের না নিরাপত্তা দেয়া হয়েছে তাহলে এই ব্লগার কে কিভেবে হত্যা করা হল??এই সব প্রস্নের একটাই উত্তর জামাত শিবির ওরা হিংস্র।

আইন রক্ষাকারী বাহিনি যদি রাজনৈতিক নেতাদের সাথে কুতকুত খেলায় নামে, মঞ্চ পাহারা দিতে যেয়ে তাঁদের নিয়মিত সেবা দিতে অক্ষম হয় ওই আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কোন দরকার নাই। যে সরকার মানুষের নিরাপত্তা দিতে পারেনা ওই সরকারের দরকার নাই। কে কি করছে সাধারন মানুষ আমরা তা এর শুনতে চাই না, আমরা আমাদের নিরাপত্তা চাই। যারা ভাবছেন কি সমস্ত রাজাকারি মার্কা কথা শালা ছাগু পাদা ইত্যাদি তাঁদের একটা কথা বলে শেষ করছি আপনি আওামিলিগ বলে সবাই রাজাকার ছাগু বিম্পি বা পাদা নয়। ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.