আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এতগুলো সংবাদ মাধ্যমের কথা ঠিক হলে মুহিত নিশাত ২০১২ সালের ছবি -ভিডিও নিয়ে নিশ্চিত ভাবেই মিথ্যা বলেছেন !

যাদের হাতে দলীল প্রমাণ কম তারা গালি দেয় বেশি সব সংবাদ মাধ্যমেই আসে মুহিত-নিশাত ২০১২ সালে নেপালের স্হানীয় সময় সাড়ে নয়টায় সামিট করেছেন । যা বাংলাদেশ সময় পৌনে দশটা । কিছু সুত্রে দেখা যায় আরো ৬ মিনিট আগে, অর্থাৎ বাংলাদেশ সময় ৯:৩৯। মুহিত আর নিশাতের দল বিএমটিসির প্রধান এনাম আল হক প্রথম আলো ডট কম, বিডিনিউজ ২৪ এসব জায়গায় নিজে এ সংবাদ জানান । এখন দেখা যাক কেন ছবির-ভিডিওর বিষয়ে মুহিত-নিশাতের দাবী মিথ্যা ।

উপরের ছবিটা কি সাড়ে নয়টার ? না । কখনই না ! ১৯শে মে , এভারেষ্ট - এ (27° 59′ 17″ N, 86° 55′ 31″ E 27.988056, 86.925278 ) তে সোলার নুন ১২:০৮ - এ । মানে সূর্য মাথার উপর আসে ১২টা ৮ - এ। সকাল বেলার সূর্য আর ছায়ার অবস্হা এরকম : কিন্তু উপরের ছবিটি মুহিতের ফেসবুকে দাবী করা হচ্ছে সাউথ সামিটেরও নীচে । এরপর সাউথ সামিট ।

৯:৩০ এ সোলার পজিশন ( এজিমূথ আর এলিভেশন ) পাবেন সোলার পজিশন ক্যলকুলেটরে http://www.suncalc.net , দেখবেন ৯:৩০ - এ সুর্য ৬০ ডিগ্রীর মত উচুতে থাকে । নীচের ছবিটার মত : তারপর হিলারী ষ্টেপ, এরপর সার্প রিজ পার হয়ে ট্রু সামিট ! করেক ঘন্টার মামলা । সূর্য ১১টার দিকে ছিল মাকালু বরাবর দিকে, ১২টার দিকে লোসের উপর বা কম্বু গ্লেসিয়ার বরাবর। অনেকটা নীচের ছবির সৌর অবস্হানের মত । মুহিতের ফেসবকে দাবী করা হচ্ছে এটা হিলারী ষ্টেপ! এটা তো হিলারী ষ্টেপের পর সার্প-এজ-রিজ ।

যা শেষ হয়েছে সামিটে গিয়ে। যাই হোক নীচে দেখুন: সূর্য ছবির পজিশনে আসতে আসতে সাড়ে বারোটা - একটা বাজবে। কোন কোন ছবির পজিশনে আসতে দুইটা বাজবে। সামিটের ভিডিও এবং ছবি গুলোতে ছায়া দেখলে এটা পরিষ্কার হয় ছবিগুলো একদম মধ্য বেলা বা তার পরের। সূর্য একদম মাথার উপর, ছায়া গুলো পায়ের একদম কাছে ।

সেই সাথে আলো আসছে মাকালুর বিপরীত দিক থেকে ! যা ৯:৩০ বা ১০:৩০ এ-ও সম্ভব না! অন্য দিকে বি এম টি সি সুত্রে জানা যায় নেপানের সময় সাড়ে নয়টা, বাংলাদেশ সময় পৌনে দশটায় সামিট হয় । নয়টা - দশটা -এগারোটার সামিটের ছবি এগুলো নয় ! সোলার পজিশন ক্যলকুলেটর দিয়ে হিসেব করে যে কেউ এখন তা দেখতে পারেন। অন লাইনে ম্যাপ সহ, পাহাড়ের পজিশন দিয়ে অনেক ক্যালকুলেটর আছে যা আপনি সহজেই চালাতে পারবেন । আর দেখতে পারবেন ১১টায় সামিটে দারিয়ে সূর্যকে দেখা যাবে মাকালুর দিকে ! যা আলোচ্য ছবিগুলোতে একদমই বিপরীত! অন্যদিকে সবগুলো সংবাদ সুত্রই বলছে, সামিট হয়েছে সাড়ে নয়টায় : প্রথম আলো, ১৯ শে মে, শেষের পাতা বাংলাদেশের নিশাত মজুমদার বিশ্বের সর্বোচ্চ পর্বত-শৃঙ্গ এভারেস্টে পৌঁছেছেন। তিনিই দেশের প্রথম নারী, যিনি এভারেস্ট জয় করলেন।

...... ..... বাংলা মাউন্টেনিয়ারিং ক্লাব সূত্রে জানা গেছে, ক্লাবের দুই সদস্য নিশাত মজুমদার ও এম এ মুহিত আজ সকাল সাড়ে নয়টায় মাউন্ট এভারেস্টের চূড়ায় আরোহণ করেন। .... ......... বাংলা মাউন্টেনিয়ারিং ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা ইনাম-আল হক প্রথম আলো ডট কমকে বলেন, ‘নেপালের পেমবা দর্জি শেরপা ফোন করে নিশাত ও মুহিতের এভারেস্ট জয়ের খবর দিয়েছেন। গত মাসের প্রথম সপ্তাহে তাঁরা এভারেস্ট অভিযান শুরু করেন। ’ Daily star news : Nishat Majumder has become the first Bangladeshi woman to scale Mount Everest, the world's highest mountain. She reached the summit at 9:39am Bangladesh time on Saturday, Enam Ul Haque, the president of Bangla Mountaineering and Trekking Club, told The Daily Star. মানবজমিন : এবার নিশাতের এভারেস্ট জয় রবিবার, ২০ মে ২০১২ স্টাফ রিপোর্টার: বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম নারী হিসেবে বিশ্বের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ এভারেস্ট চূড়ায় পা রাখলেন নিশাত মজুমদার। এর সঙ্গে দেশের নারী সমাজের সংগ্রাম ও সাহসিকতার ইতিহাসকে তুলে ধরলেন অনন্য উচ্চতায়।

গতকাল সকাল সাড়ে নয়টায় নিশাত হিম শীতল এভারেস্ট চূড়ায় তুলে ধরেন লাল সবুজ পতাকা। একই সময়ে প্রথম বাংলাদেশী হিসেবে এমএ মুহিত দ্বিতীয়বারের মতো এভারেস্ট চূড়ায় পা রাখেন। এর আগে তিনি তিব্বতের দিক থেকেও এভারেস্ট চূড়া জয় করেছিলেন। এমএ মুহিতই একমাত্র বাংলাদেশী যিনি উত্তর ও দক্ষিণ দুই দিক থেকে এভারেস্ট জয় করলেন। নেপাল থেকে পেমবা দর্জি শেরপা সকালে টেলিফোনে এ খবর নিশ্চিত করেন।

এছাড়া এ নিয়ে প্রকাশিত প্রায় ডজন খানেক ব্লগ ও নিউজে দেখা যাচ্ছে সকাল সাড়ে নয়টা । তখন কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে নিশত মুহিতের ছবি ভিডিওতে পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে সূর্য মাথার উপর, বেলা সাড়ে বারোটা - একটার দিকের ছবি সব গুলো ! কিভাবে সম্ভব ?  ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.