আমি বিশিষ্ট বোদ্ধা হতে চাই তাই আপনাদের সরণাপন্ন হলাম...:(

খুলনার দোলখোলা ইসলামপুর রোডস্থ সাবেক প্রধানমন্ত্রী জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফর আহমেদের বাড়ির সামনে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিপরে গুলিতে প্রবীর দাশ (১৬) নামের এক স্কুল ছাত্র গুরুতর জখম হয়েছে। সন্ত্রাসীরা এসময় পরপর তিন রাউন্ড গুলি বর্ষন করে। গুলির বিকট শব্দে এলাকায় চরম আতংক ছড়িয়ে পড়ে। গুলিবিদ্ধ প্রবীরকে আশংকাজনক অবস্থায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাৎনিক উত্তেজিত জনতা সন্ত্রাসীর ব্যবহৃত মটর সাইকেলটি আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দিয়েছে।

ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে। ঘটনার সময় আশপাশের দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। সাধারণ মানুষ দিক-বিদিক ছোটাছুটি শুরু করে। প্রত্যদর্শীরা জানায়, সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে নগরীর দোলখোলা ইসলামপুর রোডস্থ সাবেক প্রধানমন্ত্রী কাজী জাফর আহমেদের বাস ভবনের সামনে জনৈক এক ব্যক্তি ঝালমুড়ি বিক্রি করছিলো। এসময় ৪৬ রায়পাড়া মেইন রোডের বাসিন্দা নিতাই দাসের পুত্র বিকে স্কুলের দশম শ্রেনীর ছাত্র প্রবীর তার কাছ থেকে ঝালমুড়ি খাচ্ছিল।

পাশ্ববর্তী ইসলামপুর জামে মসজিদের নিচতলায় ফেক্সিলোডের ব্যবসায়ী ও স্থানীয় পান বিক্রেতা নূর মোহাম্মাদের পুত্র সাঈদ ১২৫ সিসি ডিসকভারি মটর সাইকেল (খুলনা মেট্রো হ-১১-০৯৭৭) চালিয়ে ঝালমুড়ি বিক্রেতাকে ধাক্কা দেয়। তারপর ঝালমুড়ি বিক্রেতা তাকে নতুন গাড়ি কিনে এভাবে মানুষের গায়ে ধাক্কা দেয়া কি ঠিক ? একথা বলার সাথে সাথে সাঈদ তাকে চড়-থাপ্পড় মারে। এ ঘটনায় স্কুল ছাত্র প্রবীর ও তার বড় ভাই পলাশ প্রতিবাদ করায় সাঈদ কোমর থেকে পিস্তল বের করে মাথায় আঘাত করে। সে ভয়ে আতংকিত হয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী কাজী জাফর আহমেদের বাড়ির অভ্যন্তরে গিয়ে আশ্রয় নেয় এবং চিৎকার করতে থাকে। এসময় বাড়ির সামনের চত্বরে কিশোরদের একটি ক্রিকেট টুর্নামেন্ট চলছিলো।

চিৎকার চেঁচামেচি শুনে কিশোররা এগিয়ে আসে। এরমধ্যে সাঈদ প্রবীরকে বাসার সামনে মাটিতে ফেলে তিন রাউন্ড গুলিবর্ষন করে। তখন একটি গুলি প্রবীরের বাম পায়ের হাটুর উপরে বিদ্ধ হয়। রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সাঈদ তার ব্যবহৃত মটর সাইকেলটি কাজী জাফর আহমেদের বাসার গেটের সামনে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।

উত্তেজিত জনতা তার ব্যবহৃত মটর সাইকেলটি আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তিনটি গুলির খোসা উদ্ধার করেছে এবং জ্বালিয়ে দেয়া মটর সাইকেলটি থানায় নিয়ে যায়। এব্যাপারে খুলনা সিটি কর্পোরেশনের ২৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর জেড এ মাহমুদ ডন সাংবাদিকদের বলেন, এ ঘটনাটি একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা। এরা কোন সন্ত্রাসী নয়, এরা মূলত মাদকাসক্ত। হরহামেশা এরা এলাকায় এমন ঘটনা ঘটিয়ে থাকে।

এব্যাপারে খুলনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এসএম কামরুজ্জামান জানান, ঘটনা শুনে আমরা সেখানে যাই এবং ঘটনাস্থল থেকে তিন রাউন্ড গুলির খোসা উদ্ধার করি। এব্যাপারে তদন্ত শুরু করেছি।
।