আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও সাবেক রাষ্ট্রপতির স্ত্রীর বাড়িতে এতটুকু আসবাব কি অস্বাভাবিক?



বাংলাদেশের প্রধান বিরোধী দলীয় নেত্রী খালেদা জিয়াকে তার ৪০ বছরের স্মৃতি বিজড়িত বাড়ি থেকে উচ্ছেদের পর রোববার সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে সাংবাদিকদের নিয়ে যাওয়া হয়েছিল সে বাড়ি দেখাতে। যদিও উচ্ছেদের সময় তিনি যখন 'পুলিশ ও র্যা বের সহযোগিতায়' বাড়ি ত্যাগ করছিলেন, তখন সাংবাদিকদের ক্যান্টনমেন্টে প্রবেশাধিকার দেয়া হয়নি। সাংবাদিকরা খালেদা জিয়ার বাড়ি দেখে আসার পর এক এক টিভি চ্যানেল এক এক রকম এবং ভিন্ন ভিন্ন সংবাদপত্র ভিন্ন ভিন্নভাবে বাড়িটির আসবাবপত্রসহ অন্যান্য জিনিসের বিশদ বিবরণ দিয়েছে। ঢাকার একটি পত্রিকার বর্ণনা এখানে উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরছি। Click This Link এখন আমার প্রশ্ন হলো খালেদা জিয়ার বাড়ির আসবাবপত্রের বর্ণনা যেভাবে ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে দেয়া হয়েছে, তাতে মনে হবে তিনি প্রাসাদোপম বাড়িতে রানীর হালে থাকতেন।

কিন্তু বেগম খালেদা জিয়া তো একজন সাধারণ মানুষ ছিলেন না। তিনি বর্তমানে বাংলাদেশের প্রধান বিরোধী দলীয় নেত্রী। তিনি তিনবার দেশের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। তিনি একজন সাবেক রাষ্ট্রপতি ও সেনাপ্রধানের স্ত্রী। বেগম জিয়া ছিলেন একজন মেজর জেনারেলের স্ত্রী।

আমি সাংবাদিক ভাইদের কাছে প্রশ্ন করতে চাই, আপনারা আইএসপিআর এর পরিচালক শাহিনুল ইসলাম এবং অপর খুদে কর্মকর্তা লে. কর্নেল (অব.) ওয়ালিউল্লাহ'র কথা উল্লেখ করেছেন। একবার সাহস করে এই দুই কর্মকর্তাসহ সোনাবাহিনীর পদস্থ কর্মকর্তাদের বলুন না, তাদের বাড়িগুলো আপনাদের দেখাতে। তাহলেই আপনাদের সামনে পরিস্কার হবে খালেদা জিয়া কত সাধারণ জীবনযাপন করতেন। খালেদা জিয়ার বাসভবনে তো সুইমিং পুল পাওয়া যায়নি। সেনা কর্মকর্তাদের বাড়িতে গিয়ে দেখুন তারা এক একজন হীরক রাজা সেজে বসে আছেন।

তবে আমার কাছে সবচেয়ে অবাক লেগেছে, বিএনপি নেতা ও সাবেক সেনাপ্রধান মাহবুবুর রহমানের বক্তব্য শুনে। তিনি 'সব আবসাবপত্র খালেদা জিয়া'র নয় বলে বেগম জিয়ার বাড়ির আসবাবপত্রের ব্যাখ্যা দেয়ার চেষ্টা করেছেন। Click This Link আমার মতে এই ব্যাখ্যার কোন প্রয়োজন ছিল না। দেশের জনগণ ভালোভাবেই জানে ক্ষমতা যার হাতে থাকে সে কী কী করতে পারে। সেনাবাহিনীর পক্ষে সরকারের নির্দেশ পালন না করে যে উপায় নেই তা জনগণকে নতুন করে বুঝিয়ে বলতে হবে না।



এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.