আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বেহুশ বামদের হুশ হবে কবে?

বলুনঃ সত্য এসেছে এবং মিথ্যা বিলুপ্ত হয়েছে। নিশ্চয় মিথ্যা বিলুপ্ত হওয়ারই ছিল। [১৭:৮১-পবিত্র কুরআন]
আমাদের দেশে যারা বাম রাজনীতি করে তাদের কথাবার্তা শুনলে আর লেখা পড়লে মনে হয় তারা বুঝি চোখ কান বন্ধ রেখে রাজনীতি করে। কেনই বা চোখ কান বন্ধ রাখবেন না? তারা তো স্বপ্ন দেখতে পছন্দ করেন। চোখ কান খোলা রেখে তো আর স্বপ্ন দেখা যায় না।

তাদের আচার আচরণ আমাকে পবিত্র কুরআনের সূরা বাকারার এই আয়াতগুলোর কথা মনে করিয়ে দেয় "তাদের অবস্থা সে ব্যক্তির মত, যে লোক কোথাও আগুন জ্বালালো এবং তার চারদিককার সবকিছুকে যখন আগুন স্পষ্ট করে তুললো, ঠিক এমনি সময় আল্লাহ তার চারদিকের আলোকে উঠিয়ে নিলেন এবং তাদেরকে অন্ধকারে ছেড়ে দিলেন। ফলে, তারা কিছুই দেখতে পায় না। তারা বধির, মূক ও অন্ধ। সুতরাং তারা ফিরে আসবে না। " [২:১৭-১৮ পবিত্র কুরআন] পশ্চিমবঙ্গের তথাকথিত বাম দূর্গের পতনের পর এক বুড়ো বাম 'রাজনীতিবীদ'কে টিভিতে বলতে শুনলাম যে এই ঘটনা নাকি বাংলাদেশের বাম রাজনীতিতে প্রভাব বিস্তার করতে পারবে না।

এই কথা শুনে হাসতে হাসতে আমার চোখে পানি এসে যায়। প্রভাব বিস্তার করার মতো কিছু থাকলে তো প্রভাব বিস্তার করবে। হাতুড়ী কাস্তে ছেড়ে নৌকায় চড়েছেন। প্রভাব বিস্তার করার কোন পথতো খোলা রাখেননি। আরেক বাম 'রাজনীতিবিদ' বললেন বাম নীতি থেকে সরে যাবার কারণেই নাকি পশ্চিমবঙ্গের বাম রাজনীতির এই দশা।

আমার প্রশ্ন কেন ভাই আপনারা এই বামনীতি থেকে বারবার সরে যাচ্ছেন? বামনীতি ধরে রাখতে কষ্ট হচ্ছে, মুখ ফুটে বলতে পারছেন না! খুবই দুঃখজনক! আপনারা তো ছোট বাম, বড় বড় বামেরাই বামনীতিতে থাকতে পারছেন না আপনাদের দোষ দিয়ে লাভ কি। সোভিয়েত ইউনিয়নের স্ট্যালিন, ক্রুশ্চেভ, গর্বাচেভরা বামনীতিতে থাকতে পারেননি, পারেননি চায়নার নেতা দেং বা কিউবার ক্যাস্ট্রো আর আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ মিয়ানমারে তো সমাজতন্ত্রের নামে চলছে স্বৈরশাসন। কেন বামেরা বামনীতিতে থাকতে পারছেন না তা নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের পর বামদের সংবাদ সম্মেলনে বোঝা যায়। বামেরা বলে যে তারা নাকি মানুষের মন বুঝতে পারেননি। পশ্চিমবঙ্গে যে পরিবর্তনের হাওয়া লেগেছে তা তারা নাকি টেরই পাননি।

এতো খুবই ভয়ানক কথা। আপনারা মানুষের জন্য রাজনীতি করেন আর সেই মানবজাতিকেই বুঝতে পারেন না তাহলে কি করে আদর্শ প্রতিষ্ঠিত করবেন। আগে মানুষকে বুঝতে শিখুন। মানুষের আশা আকাঙ্ক্ষা দাবিয়ে রাখা যায় না। মানুষের চাহিদা অসীম।

মানুষকে গবাদি পশুর ন্যায় খাটাতে পারবেন না। আপনারা যখন মানব মন বুঝতে পারবেন তখন দেখবেন আপনাদের আদর্শ শুধুমাত্র কাগজে কলমেই সঠিকভাবে প্রতিষ্ঠিত করা সম্ভব বাস্তবে নয়। অন্য আদর্শের সমালোচনা আর গালিগালাজ করে যে পরিমাণ সময় আপনারা নষ্ট করেন সাধারণ মানুষকে বোঝার মত সময় আপনাদের না থাকারই কথা। সাধারণ খেঁটে খাওয়া মানুষকে সমাজতন্ত্র বোঝানোর জন্য কতটুকু সময় ব্যয় করেছেন বলুন তো? আমার মনে হয় বামেরা জানে যে তাদের আদর্শ বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়। তাই তারা অন্যের সমালোচনা করে আর দিবা স্বপ্ন দেখে সময় পার করে দিচ্ছে।

সময় যত সামনের দিকে এগিয়ে চলছে বামদের পায়ের তলার মাটি তার চেয়েও দ্রুত গতিতে সরে যাচ্ছে। এরা ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিতে চায় না। আপনি এদের মাথায় ঠান্ডা পানি ঢেলে অথবা এদের দুই গালে চড় থাপ্পর মেরেও এদের দিবা স্বপ্ন দেখা থেকে বিরত রাখতে পারবেন না। কারণ এদের হুশ নেই, এরা বেহুশ। আর এভাবে থাকতেই এরা স্বাচ্ছন্দ বোধ করে।


 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।