আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নিয়ম ভেঙে পুলিশে ৬৮৬ ক্যাডার পদ সৃষ্টি

আমরা হেরে যাইনি। এশিয়া কাপ না জিতলেও তোমরা আমাদের হৃদয় জয় করেছ। আমরা গর্বিত

কোনো নিয়ম-নীতির তোযা়ক্কা না করেই আজ বৃহস্পতিবার পুলিশ প্রশাসনে ১০টি মহা পুলিশ পরিদর্শক এবং ২০টি অতিরিক্ত মহা পুলিশ পরিদর্শকসহ ৬৮৬টি ক্যাডারভিত্তিক পদের অনুমোদন দিযে়ছে সরকার। মন্ত্রিপরিষদের সভা শুরুর আগ মুহূর্তে এ সম্পর্কিত নথিতে প্রধানমন্ত্রী স্বাক্ষর করেছেন বলে দাযি়ত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে। সূত্র জানায়, পুলিশে ৬৮৬টি ক্যাডারভিত্তিক পদ সৃষ্টির জন্য সকাল থেকেই এক শ্রেণীর অতি উৎসাহী তরুণ পুলিশ অফিসার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে শোডাউন করেন।

এরপরই তারা যান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালযে়। এসব তরুণ অফিসার পুলিশ বাহিনীতে প্রস্তাবিত ক্যাডারভিত্তিক পদগুলো সৃষ্টিতে সরকারের অনুমোদন দাবি করেন। একই সঙ্গে তারা বাহিনীতে এসব ক্যাডার পদ সৃষ্টিতে বিলম্ব হওযা়য় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এরপরই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তডি়ঘডি় করে এ সংক্রান্ত একটি সারসংক্ষেপ তৈরি করে। স্বরাষ্ট্র সচিব আব্দুস সোবহান শিকদার সারসংক্ষেপ সংক্রান্ত ফাইলটি সরাসরি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে নিযে় যান।

প্রধানমন্ত্রীর একজন প্রটোকল অফিসারের মাধ্যমে ফাইলটি মন্ত্রিপরিষদের সাপ্তাহিক বৈঠক শুরুর ঠিক আগ মুহূর্তে প্রধানমন্ত্রীর কাছে উপস্থাপন করা হলে তিনি তাতে অনুমোদন দেন। জানা গেছে, অনুমোদন দেযা় নবসৃষ্ট ক্যাডার পদের মধ্যে রযে়ছে ১০ জন মহা পুলিশ পরিদর্শক, ২০ জন অতিরিক্ত মহা পুলিশ পরিদর্শক, ৫২ জন ডিআইজি, ৭৫ জন অতিরিক্ত ডিআইজি, ১৫২ জন এসপি, ১৭৪ জন অতিরিক্ত এসপি, ৯৫ জন সিনিয়র এএসপি এবং ১০৮ জন এএসপি। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিযে়ছে, সরকারের কোনো বিভাগের পদ সৃষ্টির দাযি়ত্ব জনপ্রশাসন মন্ত্রণালযে়র। নিয়ম অনুযাযী় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় পদ সৃষ্টি করে তা আর্থিক মঞ্জুরির জন্য অর্থ মন্ত্রণালযে় প্রেরণ করে থাকে। আর্থিক মঞ্জুরি দেযা় হলে সচিব কমিটিতে তা অনুমোদন করাতে হয়।

অনুমোদনের পর এটি সারসংক্ষেপ আকারে পাঠানো হয় প্রধানমন্ত্রীর দফতরে। প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের পরই তা কার্যকর হওযা়র কথা। সূত্রগুলো বলেছে, এক্ষেত্রে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিধি বহির্ভূতভাবে সারসংক্ষেপ পাঠিযে়ছে যা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালযে়র এখতিযা়রের মধ্যে পডে় না। জনপ্রশাসন ও অর্থ মন্ত্রণালয়কে বাইপাস করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কিভাবে পুলিশে ৬৮৬টি পদ সৃষ্টি করে প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের জন্য পাঠাল এ নিযে় প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন মহলে।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।