আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

তানোরে প্রেমিকা গৃহবন্দী আর প্রেমিক পাগল ঘর বাঁধা হলো না



তানোরে এক প্রেমিক জুটির ঘর বাঁধা হলো না। প্রেমিকা গৃহবন্দী আর অন্যদিকে প্রেমিক নির্বাক উদাসীন পাগল প্রায়। তাঁরা চেয়েছিল নিজেদের মতো করে তাদের ভালবাসার ভুবন সাজাতে। ওরা আবেগের ভেলায় চড়ে পাড়ি দিতে চেয়েছিল সাত সমুদ্র তের নদী। দু’চোখ ভরা স্বপ্ন নিয়ে ওরা বাড়ি ছেড়ে পাড়ি জমায় অজানার উদ্দেশ্যে।

তারপর যখন তারা প্রস্তুতি নিচ্ছিল বিনে সুতোর বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে জনম জনমের সাথী হওয়ার ঠিক তখনই বাধে বিপত্তি। প্রেমিকার পিতা দৈত্য হয়ে হানা দেয় তাদের প্রেমের ভুবনে। ঢালিউডের সিনেমার মতো মেয়ের পক্ষ মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে মেয়েকে নিজেদের আয়ত্তে নিয়ে গৃহবন্দী করে। ফলে প্রেমিক নির্বাক উদাসীন হয়ে পড়েছে। অন্যদিকে প্রেমিকের বিরুদ্ধে অপহরণ মামলা দায়েরের হুমকি দেয়ায় প্রেমিক দিশেহারা ও এলাকা ছাড়া হয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে বলে জানা গেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, তানোরের অমৃতপুর গ্রামের জনৈক আব্দুল হামিদের ৯ম শ্রেণীতে পড়–য়া মেয়ে সুলতানা খাতুনের (ছদ্মনাম) সঙ্গে একই গ্রামের প্রতিবেশী শফিকুল ইসলামের পুত্র নাজমুল হোসেনের দীর্ঘদিন ধরে মন দেয়া-নেয়া করছিল। এরই মধ্যে প্রেমিকার পরিবার তার জন্য পাত্র খুঁজতে থাকলে প্রেমিকা তার প্রেমিক নাজমুল হোসেনকে বিয়ে করতে বলে। এরপর প্রেমিকার কথামতো গত ৪মে বুধবার তারা রাজশাহীতে গিয়ে নাজমুলের এক আত্মীয়র বাড়ীতে অবস্থান করে। পরের দিন বিয়ের উদ্দেশ্যে তাঁরা বের হলে প্রেমিকার পরিবার তাকে মুঠোফোনে সংবাদ দেয় তারা ফিরে এলে তাদের পারিবারিকভাবে বিবাহ দেয়া হবে। পরিবারের আশ্বাস পেয়ে সুলতানা খাতুন (ছদ্মনাম) বাড়িতে এলে তাঁর পরিবার তাকে গৃহবন্দী করে রাখে।

অন্যদিকে প্রেমিক নাজমুলকে বলে তাকে ভুলে যেতে নইলে তাঁর পরিনিতি খারাপ হবে। তাদের কথা অমান্য করলে তাঁর নামে অপহরণ মামলা দায়ের করা হবে বলে হুমকি দেয়। এরপর থেকে প্রেমিক নাজমুল হোসেন নির্বাক ও উদাসীন হয়ে পাগল প্রায়। এদিকে এ প্রেমের ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যর সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়রা এই প্রেম কাহিনীর নাম নিয়েছে নয়া লাইলী নয়া মজনুর প্রেম কাহিনী।

এ ব্যাপারে নাজুল হোসেন বলেন, আমি তাকে চিনি তবে আমার সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক নেই। এলাকায় যা রটেছে তা সত্য নয়। সূত্র

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।