আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ওসামার বাড়িতে নিহত ৩ জনের ছবি প্রকাশ

>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>

ইসলামাবাদ, মে ০৫ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/রয়টার্স)- আল কায়েদার শীর্ষ নেতা ওসামা বিন লাদেন হত্যার মিশনে নিহত অন্য তিন জনের মৃতদেহের ছবি প্রকাশ করেছে রয়টার্স। ছবিগুলোতে দেখা যাচ্ছে, তিন জন মানুষ পড়ে আছে। তাদের আশপাশ ভেসে গেছে রক্তে। কিন্তু কোথাও কোনো অস্ত্র দেখা যায়নি। ছবিগুলো পাকিস্তানি নিরাপত্তা বাহিনীর এক কর্মকর্তা তুলেছেন।

অভিযানের পর সোমবার ভোররাতে ওই কর্মকর্তা বিন লাদেনের বাড়িতে ঢোকেন। ওই কর্মকর্তা ছবিগুলো রয়টার্সের কাছে বিক্রি করেন। ছবিগুলোতে দেখা যায়, নিহত তিন জনের মধ্যে দুজন পাকিস্তানের ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরে আছেন। একজনের পরনে গেঞ্জি। তাদের নাক, কান ও মুখ দিয়ে রক্ত বেরুচ্ছিলো।

নিহতদের কারো চেহারার সঙ্গে বিন লাদেনের চেহারার মিল নেই। আল কায়দার শীর্ষ নেতার লাশের ছবি প্রকাশ করবেন না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। এক্ষেত্রে যুক্তি হলো- সেগুলো গুলিবিদ্ধ হওয়ার কারণে খানিকটা বীভৎস। এছাড়া ছবিগুলোকে আল কায়েদা তাদের 'অপপ্রচারের' অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করতে পারে। নিহতদের ছবিগুলোতে সে সময়সীমার কথা উল্লেখ রয়েছে তা হচ্ছে, তার প্রথমটি তোলা হয়েছে ২ মে, রাত ২টা ৩০ মিনিটে।

এতে মনে হচ্ছে, ওই অভিযান শেষ হওয়ার প্রায় এক ঘণ্টা পর ছবিগুলো ধারণ করা হয়। পাশাপাশি মার্কিন বাহিনীর বিধ্বস্ত একটি চিনুক হেলিকপ্টারের ছবিও তোলা হয়েছে। রয়টার্স এ ছবিগুলো আসল বলেই মনে করছে। কেননা বিধ্বস্ত হেলিকপ্টারের ছবিগুলোতে বিস্তারিত সবকিছুই উঠে এসেছে। সবগুলো ছবিই একই মাপ ও পিক্সেলে তোলা এবং কোনো ছবিতেই টেম্পারিংয়ের কোনো আলামত পাওয়া যায়নি।

অভিযানের সময় যান্ত্রিক সমস্যার কারণে মার্কিন বাহিনী একটি চিনুক হেলিকপ্টার হারাতে বাধ্য হয় বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। পরবর্তীতে তারা সেটি ধ্বংস করে দিয়ে যায়। গত সোমবার প্রথম প্রহরে যুক্তরাষ্ট্রের সৈন্যদের বিশেষ একটি দল ইসলামাবাদাদের কাছে অ্যাবোটাবাদ শহরে ওই বাড়িতে অভিযান চালিয়ে বিন লাদেনকে হত্যা করে। অভিযানে নিহত বিন লাদেনকে তড়িঘড়ি আরব সাগরে সমাহিত করা হয় বলে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের উদ্ধৃতি দিয়ে সংবাদ মাধ্যমে খবর প্রকাশ হয়েছে। বিন লাদেন নেতৃত্বাধীন আল কায়দা ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর নিউ ইয়র্কের বিশ্ববাণিজ্য কেন্দ্রে (টুইন টাওয়ার) সন্ত্রাসী হামলা চালায় বলে মনে করা হয়।

ওই ঘটনায় প্রায় ৩ হাজার মার্কিনি মারা যায়।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।